1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

গার্ডিয়ানে প্রকাশিত শেখ হাসিনার নিবন্ধ: ‘আ থার্ড অফ মাই কান্ট্রি ওয়াজ জাস্ট আন্ডারওয়াটার। দ্য ওয়ার্ল্ড মাস্ট অ্যাক্ট অন ক্লাইমেট’

ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০

‘সাহায্যের আশায় নয়, বলছি সতর্ক করার জন্য: শেখ হাসিনা’
মঙ্গলবার ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের প্রধান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি নিবন্ধ গার্ডিয়ানে ‘আ থার্ড অফ মাই কান্ট্রি ওয়াজ জাস্ট আন্ডারওয়াটার। দ্য ওয়ার্ল্ড মাস্ট অ্যাক্ট অন ক্লাইমেট’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা অনুবাদ:

জলবায়ু প্রশ্নে বিশ্বকে উদ্যোগী হতেই হবে

শেখ হাসিনা

গতমাসেও আমার দেশের এক তৃতীয়াংশ ছিল পানির নিচে। প্রায় এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে এবার, বর্ষা এখনও শেষ হয়নি। ১৫ লাখের বেশি বাংলাদেশি (বন্যায়) ঘর হারিয়েছে; হাজার হাজার হেক্টর ধানের জমি ভেসে গেছে। আমার দেশে এ বছর লাখ লাখ মানুষের খাদ্য সহায়তার দরকার হবে।
বিপদ কখনও একা আসে না। মে মাসে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পর এল বন্যা। তাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা আরও কঠিন হয়ে গেল। ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঝুঁকিতে থাকা এলাকা থেকে ২৪ লাখ মানুষকে আমাদের সরিয়ে নিতে হয়েছে, আর তা করতে হয়েছে তাদের কোভিড-১৯ এর আরও বড় ঝুঁকিতে না ফেলে। আপাতত সংক্রমণ আর মৃত্যু হার সীমিত রাখা সম্ভব হলেও যতক্ষণ পর্যন্ত এ রোগ থেকে কার্যকর সুরক্ষার একটি উপায় পাওয়া না যাচ্ছে, ততক্ষণ নিশ্চিন্ত হওয়ার উপায় নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখতে হওয়ায় আমাদের তৈরি পোশাক খাত এবং রপ্তানি আয় বড় ধাক্কা খেয়েছে। হাজার হাজার প্রবাসী কর্মীকে দেশে ফিরে আসতে হয়েছে, তাদের একটি বড় অংশ এখনও কাজ জোটাতে পারেনি।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা অন্য সব দেশের মত বাংলাদেশকেও এখন লড়তে হচ্ছে জীবন বাঁচানোর জন্য। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিনিয়োগ বাড়াতে হচ্ছে, আর্থিক ক্ষতি সামাল দিতে কোটি কোটি মানুষকে সাহায্য করতে হচ্ছে। আর এর সবকিছুর সঙ্গে এটাও দেখতে হচ্ছে, অর্থনীতি যেন ধসে না পড়ে।
আমি সাহায্য পাওয়ার জন্য এসব বলছি না; বলছি সতর্ক করার জন্য। অনেক দেশ হয়ত জলবায়ু সঙ্কটে এতটা ঝুঁকির মধ্যে নেই। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এই বিধ্বংসী শক্তিকে এড়ানো তাদের পক্ষেও সম্ভব হবে না। আমাদের চেয়ে যারা ভাগ্যবান, সেসব দেশের খুব ভালো করে দেখা উচিৎ, কীসের মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এভাবে বাড়তে থাকলে এই শতকের মাঝামাঝি সময়েই পৃথিবীর নিচু এলাকাগুলোর শত কোটি মানুষকে বাস্তুহারা হতে হবে। সেরকম একটি বিপর্যয় এড়ানোর জন্য বিশ্বের মানুষ কি সময় মত উদ্যোগী হবে?
জলবায়ু পরিবর্তন আর কোভিড-১৯ আজকের বিশ্বের জন্য বড় হুমকি, দুটোরই ফলাফল অনুমান করা সম্ভব। কাজেই, এসব ঝুঁকি কমিয়ে আনার জন্য আমাদের আরও বেশি উদ্যোগী হতে পারা উচিৎ ছিল। কিন্তু বিপদ যখন ঘাড়ের ওপর এসে পড়েছে, তখন আন্তর্জাতিক সমন্বয়ের মাধ্যমে একসাথে এর মোকাবেলা করাই সবচেয়ে ভালো উপায়, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
(বিডিনিউজ২৪ এর সৌজন্যে)


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ