1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মাসে এক কোটি ডোজ টিকাপ্রাপ্তির ব্যবস্থা হয়েছে: সংসদে শেখ হাসিনা

ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

প্রতি মাসে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়ার ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সংসদ অধিবেশনের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে এ কথা জানান সংসদ নেতা। এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

সরকার দলের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, এ পর্যন্ত (৩০ আগস্ট) ১ কোটি ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ১৮ জনকে প্রথম ডোজ ও ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬৯ জনকে দ্বিতীয় ডোজসহ ২ কোটি ৬১ লাখ ২৯ হাজার ১৮৭ ডোজ কভিড প্রতিরোধী টিকা দেয়া হয়েছে। এখন দেশে মজুদ রয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৩ ডোজ। টিকা সংগ্রহ ও বিনামূল্যে তা সাধারণ মানুষের শরীরে প্রয়োগের কাজ চলমান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি মাসে যাতে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সিনোফার্মের দেয়া শিডিউল অনুযায়ী অক্টোবর থেকে প্রতি মাসে দুই কোটি হিসেবে ডিসেম্বরের মধ্যে ছয় কোটি টিকা পাওয়া যাবে। নভেল করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনার টিকা সংগ্রহে আমরা বিশ্বের সব উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গেই যোগাযোগ করেছি। এর মধ্যে শুরুতে কেবল ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে সাড়া পাওয়া যায়। এরপর অগ্রিম টাকা দিয়ে তাদের কাছ থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহের চুক্তি করি। তখন পর্যন্ত অন্যান্য উৎপাদনকারী সংস্থা থেকে টিকা পাওয়ার বিষয়ে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরবর্তী সময়ে কেবল চীনের সিনোফার্ম ও রাশিয়ার স্পুতনিক-৫ সাড়া দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করি। এর মধ্যে সিনোফার্মের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদনের জন্য সমঝোতা চুক্তিও হয়েছে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার নদীভাঙনের স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে। বন্যা থেকে রক্ষা, নদীভাঙন নিয়ন্ত্রণ, নদী শাসন, নাব্যতা রক্ষাসহ সামগ্রিক নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ গ্রহণ করা হয়েছে।

এতে সারা দেশকে সাতটি নদী বেসিনে বিভক্ত করে সমীক্ষা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে কর্ণফুলী, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর বেসিন ভিত্তিক সমীক্ষা শেষ হয়েছে। পানিপ্রবাহের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নদীগুলোকে স্থিতিশীল রাখা ও যথাযথ পলি ব্যবস্থাপনা কৌশল অনুসরণ করে কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে দেশের বন্যা ঝুঁকি হ্রাস ও নদীভাঙন কবলিত এলাকার ভাঙন রোধ করে টেকসই উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত অর্জন সম্ভব হবে।

আরেক সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে গত চার বছর ধরে দেশীয় গবাদি পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। গত ঈদুল আজহার সময় কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭০০টি। এর মধ্যে কোরবানি করা হয় ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি পশু। অর্থাৎ কোরবানিযোগ্য প্রায় ২৮ লাখ পশু উদ্বৃত্ত থেকে যায়। এছাড়া গত ১২ বছরে দেশে দুধ উৎপাদন পাঁচ গুণ ও ডিমের উৎপাদন চার গুণ বেড়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ