আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশকে সহজ শর্তে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার দেবে দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশে দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-গুন বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিকাব টক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান। রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে সমর্থন করে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের মধ্যেই এ সংকটের চূড়ান্ত সমাধান রয়েছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের সমস্যা নয়। এটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যা। ৩০০ কোটি ডলার ঋণ প্রসঙ্গে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী ২০২২ সাল থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে পাঁচ বছরে ওই অর্থ দেওয়া হবে। এর আগে ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে দক্ষিণ কোরিয়ার ৭০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার কথা ছিল।
সহজ শর্তে দক্ষিণ কোরিয়ার ঋণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ) নামে পরিচিত। এই ঋণের সুদের হার দশমিক শূন্য থেকে দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এযাবৎ বাংলাদেশের ২৭টি প্রকল্পে কোরিয়া ১৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়া এখন বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে সহযোগিতা জোরদার করতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এটি ২০২৬ সালে বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ প্রক্রিয়া সহজ করতে পারে। ’
লি জ্যাং-গুন বলেন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের তুলনায় বাংলাদেশে কোরিয়ার সরকারি উন্নয়ন সহযোগিতা (ওডিএ) কম। এর পরও কোরিয়া থেকে ওডিএ পাওয়া দেশগুলোর তৃতীয় শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) খাতে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে কোরিয়ার বিনিয়োগ পাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশে পঞ্চম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী। এ থেকেই প্রতিফলিত হচ্ছে, বাংলাদেশ-কোরিয়া সম্পর্ক কেমন বাড়ছে।