দীর্ঘদিন পর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো সুন্দরবন। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগ ও জেলা থেকে মাত্র চার ঘণ্টায় সুন্দরবনে পৌঁছাতে পারবেন পর্যটকরা। অনুকূল আবহাওয়া ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো থাকলে এবার দেশি-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা দু-তিন গুণ বাড়বে বাড়বে বলে মনে করছে বন বিভাগ।
চলতি মৌসুমে সুন্দরবনের করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, নিলকমল, পক্ষীর চর, দুবলার চর, আলোরকোল হিরণ পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্পটে ঘুরতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত বোট মালিক-কর্মচারী এবং টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
মোংলা টুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিলাল উদ্দিন বলেন, সরকার পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য সুন্দরবনকে উন্মুক্ত করায় দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হলো। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় পর্যটক আগের তুলনায় কয়েক গুণ বাড়তে পারে। সে জন্য সুন্দরবনে দর্শনার্থীরা ভ্রমণের জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে বন বিভাগ ও টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সাউদার্ন ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান ও লঞ্চ মালিক কাজী মাহফুজ জানান, বনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ট্যুর কোম্পানিগুলোর অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই শিল্পের ওপর নির্ভরশীল মোংলায় প্রায় দুই থেকে তিন হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর এই সময়টায় চরম দুর্দিন চলছিল। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় এখন কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন জানান, বন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি লঞ্চে সর্বোচ্চ ৭৫ জনের বেশি টুরিস্ট পরিবহন করা যাবে না। এ ছাড়া বন বিভাগের নিয়মানুযায়ী পর্যটকদের সামাজিক দূরত্ব ও বনের কিনারায় না উঠে সরকারের বিধিনিষেধ মেনেই চলতে হবে সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আসা দর্শনার্থীদের।
সুন্দরবনে বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে প্রতিবছর এক থেকে দেড় লাখেরও বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন।