সৌদি দূতাবাসে কর্ম ভিসার আবেদনে প্রতিটি আবেদনের বিপরীতে দালালদের মাধ্যমে ‘অনানুষ্ঠানিকভাবে’ বাংলাদেশের নিয়োগকারী সংস্থাগুলোর অতিরিক্ত ২২০ থেকে ২৫০ ডলার দেওয়া বন্ধ হয়েছে। নিয়োগকারীরা বলেছেন, সৌদিগামী শ্রমিকদের ভিসা প্রতি অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হচ্ছে না।
রিক্রুটিং এজেন্টদের অভিযোগ, তারা দালালদের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা না দিলে দূতাবাস ভিসা দেয় না।
তবে গত কয়েক সপ্তাহে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে। এখন শ্রমিকরা অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই ভিসার সুবিধা পাচ্ছেন। জানা গেছে, এই অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের পেছনে একটি সিন্ডিকেট সক্রিয় ছিল। তবে আপাতত তা বন্ধ আছে। প্রায় এক বছর ধরে গোপনে এই অর্থ আদায় চলছে বলে দাবি করে নিয়োগকারী সংস্থাগুলো।
কর্ম ভিসা পেতে হলে নিয়োগকারী সংস্থাগুলোকে দালালদের সরাসরি অর্থ দিতে হয় উল্লেখ করে একজন রিক্রুটিং এজেন্ট জানান, এই অতিরিক্ত অর্থ শেষ পর্যন্ত আবেদনকারী ভিসাপ্রত্যাশীদের ওপরেই বর্তায়। ফলে সরকারিভাবে নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়ের চেয়ে অবৈধ লেনদেনসহ নানা কারণে বর্তমানে ব্যয় বেশি হওয়ার পরেও ভিসা পেতে আরও টাকা খরচ করতে হয়।
সৌদি আরবে যেতে সরকার-নির্ধারিত অভিবাসন খরচ এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা, কিন্তু একজন কর্মীকে সৌদি যেতে খরচ করতে হয় সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা। এর আগে, সৌদি দূতাবাস টিবিএসকে জানায় যে দূতাবাসে ভিসার আবেদন করার জন্য কোনও ফি বা চার্জ নেই।