1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ইভিএম : ১০ আঙুলের ছাপ যুক্ত হলে দূর হবে জটিলতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটারদের আঙুলের ছাপ নিয়ে জটিলতা দূর করতে জানুয়ারি থেকে মাঠে নামছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই এনআইডি সার্ভারে সব ভোটারের ১০ আঙুলের ছাপ যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনার আলমগীর হোসেন।

এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ইভিএম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে দূর হবে আঙুলের ছাপ বিতর্ক।

ইভিএমে ভোটের প্রথম শর্ত আঙুলের ছাপ মিলিয়ে এনআইডি যাচাই করা। তবে মেশিনে আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন অনেকেই। এ ক্ষেত্রে এনআইডি দিয়ে ভোটারকে শনাক্ত করা সম্ভব হলে, নির্বাচন কর্মকর্তা তার নিজ আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে তাকে ভোট দেয়ার অনুমতি দিতে পারেন। তবে প্রতি কেন্দ্রে এ সংখ্যা মোট ভোটারের ১ শতাংশের বেশি নয়। এবারও একই বিধান থাকছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, বিশেষ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় সংখ্যা বাড়ানোর বিধান আছে।

মো. আলমগীর বলেন, ইভিএমে ওভাররাইট করার সুযোগ নেই এবং সে রকম কোন বিষয়ও নেই। কারও আঙুলের ছাপ না মিললে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোট দেয়ার অনুমতি দেন। তার আগে সংশ্লিষ্ট ভোটারের পরিচিতি এনআইডি নম্বর দিয়ে শনাক্ত করা হয়।

যখনই নির্বাচন হবে, আমাদের যেটা টার্গেট সেটা হচ্ছে ১০ আঙুলের ছাপ নেয়া। যাতে ইভিএমে আঙুলের ছাপ নিয়ে ঝামেলা না হয়। সে ক্ষেত্রে এ জটিলতা নিরসনে আগামী জানুয়ারি থেকে ইসি ১০ আঙুলের ছাপ নেয়ার কার্যক্রম শুরু করছে বলেও জানান তিনি।

ইভিএম বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হায়দার আলী বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমার মনে হয়, এটি আরও আগে নেয়া উচিত ছিল। যদি স্মার্টকার্ড নাও দেয়া যায়, নতুন নম্বর, এনআইডি দিয়ে লেমিনেটেড কার্ড দিয়ে হলেও খুব তাড়াতাড়ি ১০ আঙুলের ছাপ নেয়া দরকার।

স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কমিশনকে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন এ বিশেষজ্ঞ।

এর আগে গত রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মো. আলমগীর জানান, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করার জন্য ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। সম্ভব হলে ৩০০ আসনেই এটির ব্যবহার করা হতো। আলমগীর আরও বলেন, ইভিএমের ভোটে সবাই নির্বাচনে আসবে। ২০২৩ সালে শেষদিকে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে, তাতে সব দল অংশগ্রহণ করবে বলে আমরা আশাবাদী। নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলই নির্বাচনে আসবে বলে আশা করি।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ