1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দুর্নাম ঘুচিয়ে অকল্পনীয়ভাবে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে

ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৭

যুগের পর যুগ ধরে লোকমুখে শুনে আসা প্রবাদ ‘নয়টার ট্রেন কয়টায় ছাড়ে’ থেকে পুরোপুরি দুর্নাম ঘুচিয়ে অকল্পনীয়ভাবে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। একসময় তা অসম্ভব ভাবা হলেও গত ছয় মাসে রেল কর্তৃপক্ষের দেয়া টাইম টেবিল অনুযায়ী প্রবাদের সেই নয়টার ট্রেন ঘড়ির কাঁটা দেখে ঠিক নয়টায়ই ছেড়ে যেতে দেখা যাচ্ছে।
সময়মতো ট্রেন ছেড়ে যাওয়া ও গন্তব্যে পৌঁছার কারণে আস্তে আস্তে স্থলপথের অন্যতম ও প্রধান বাহন হয়ে উঠছে রেলওয়ে।
দীর্ঘ বছরের ঢিলেঢালা টাইম সিডিউল থেকে বেরিয়ে এসে যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের কারণেই এমনটা করা সম্ভব হয়েছে। রাজধানীর ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যাওয়া প্রায় সকল ট্রেনই সিডিউলের দেয়া সঠিক সময়ই মেনে চলছে। এমনকি এসব ট্রেন শুধু ছেড়ে যাওয়া নয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রায় সকল ট্রেনই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছেও যাচ্ছে নিয়মিত।
গত ছয়মাসে কমলাপুর স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের লক্ষ্যে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের সময়সূচী অনুযায়ী গড়ে প্রায় ৯৪ থেকে ৯৫ ভাগ আন্তঃনগর ট্রেনই সময়মতো স্টেশন ছাড়ছে।
আর প্রায় ৮৫ থেকে ৮৬ ভাগ লোকাল ট্রেন সঠিক সময়ে স্টেশন ছাড়ছে।
এমনটি রেলওয়ের ইতিহাসে আর কখনও দেখা যায়নি বলে জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি রাজধানীর সাবেক কমলাপুর বর্তমান ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী ট্রেনের প্রায় ৯৫ ভাগ ট্রেনই নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে।
এর বাইরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিদিনের মোট কতটি ট্রেন কোন কোন সময়ে স্টেশন ছেড়ে গিয়েছে ও কোন ট্রেনগুলো (লোকাল ও আন্তঃনগর) সময় মেনে যায়নি, কেন যেতে পারে নি তার সঠিক কারণ ব্যাখ্যা করা ও কোন কোন ট্রেন নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছেছে এ সম্পর্কিত সার্বিক তথ্য পর দিন সকাল দশটার মধ্যেই সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তাগণ রেলওয়ের মহাপরিচালক, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও রেলপথমন্ত্রীর টেবিলে হাজির করার নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। রেলওয়ের এ তিন প্রধানকর্তা এই তালিকা দেখে প্রয়োজন অনুযায়ী দায়িত্বে গাফিলতি পেলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রদান বা প্রয়োজনীয় নানা দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। এতে ট্রেন পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সকল দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সতর্ক হয়ে দায়িত্ব পালন করেন বলে জানা গেছে। যার ফলেই ট্রেনের সময়সূচীর নিয়ম মানা সম্ভব হবে।
এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রেলপথকে নাগরিকের চলাচলের অন্যতম বাহন করতে কঠোর অবস্থান নেয়। গত কয়েক বছরের রেলওয়ের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাত্রীসেবা বৃদ্ধি করে সরকারী এ গণপরিবহনকে এগিয়ে নিতে সর্বোচ্চ আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। এরই অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী রেলের সার্বিক উন্নয়নে এ পর্যন্ত বিশাল বাজেটের প্রায় অর্ধশত প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। যার মধ্যে কয়েকটি ছাড়া প্রায় সবগুলোই বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশে দৈনিক মোট ৫১ লোকাল, মেইল ও আন্তঃনগর ট্রেন ছেড়ে যায়। এর মধ্যে ৩১টি আন্তঃনগর ও বাকি ২০টি মেইল ও লোকাল ট্রেন চলাচল করে। এছাড়া সারাদেশে প্রতিদিন তিন শতাধিক ট্রেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ