আদালত নির্দেশ দেয়ার পরও শিশু আইন সংশোধন না করায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১২ নভেস্বর আদালতের হাজির হয়ে তাদের ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর সমাজকল্যাণ সচিবকে তলব করে আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। ওই আদেশের সমাজকল্যাণ সচিবকে গতকাল সশরীরে হাজির হওয়ার কথা ছিল। ওইদিন আদালতে এ মামলার কার্যক্রম শুরু হলে সচিবের পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আশিকুর রহমান আদালতকে জানান, তলবের আদেশ সংক্রান্ত কোনও নোটিশ তারা পাননি।
এ সময় আদালত হাইকোর্ট বিভাগের বিবিধ (ফৌজদারি) শাখার কর্মকর্তাদের কাছে বিষয়টি জানতে চান। তখন তারা সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারায় আদালত তাদের প্রতি ভর্ৎসনা করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শিশু ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ঢাকা, কক্সবাজার ও রংপুরে করা পৃথক চার মামলায় বিভিন্ন সময়ে প্রাপ্তবয়স্ক চার আসামি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করে। চারটি মামলার মধ্যে দু’টি করা হয় শিশু আইনে, অন্য দু’টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে। পৃথক দুই আইনে দায়ের হওয়া মামলার সাজাও আলাদা। শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আসামি প্রাপ্তবয়স্ক হলে তার বিচার কোন আইনে বা কোন আদালতে হবে, সে বিষয়ে গতবছর ১৪ আগস্ট ওই তিন সচিবের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হলেও কেউই ব্যাখ্যা দাখিল করেননি। এ কারণে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে রুল জারি করেন। এরপর গতবছর ডিসেম্বরে তারা আদালতকে জানান, শিশু আইন-২০১৩ সংশোধনের মাধ্যমে অস্পষ্টতা দূর করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই আইন সংশোধনের ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ না নেয়ায় আদালত সমাজকল্যাণ সচিবকে তলব করে এ আদেশ দেন।