1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ঝিনুকের আদলে দৃষ্টিনন্দন ‘আইকনিক রেলস্টেশন’

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে নির্মিত হচ্ছে ঝিনুকের আদলে দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন। অত্যাধুনিক অনেক সুযোগ-সুবিধা থাকবে এই রেলস্টেশনে। সামনে অংশে তৈরি হবে বিশাল আকৃতির ঝিনুকের ফোয়ারা। ঝিকঝিক শব্দ করে ট্রেন আসার পর যার পাশ দিয়ে প্রবেশ করতে হবে স্টেশনে। তারপর চলন্ত সিঁড়ির মাধ্যমে সেতু হয়ে চড়তে হবে ট্রেনে।

গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য থাকবে বড় তিনটি জায়গা। স্টেশনভবনে থাকবে কাউন্টার, স্বাগত জানানোর কক্ষ, তারকামানের হোটেল, রেস্তোরা, মালামাল রাখার লকার, শিশু যত্ম কেন্দ্র, মসজিদসহ অত্যাধুনিক সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা। যদি কেউ চাইলে রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজার পৌঁছে মালামাল স্টেশনে রেখে সারাদিন সমুদ্রসৈকত বা পর্যটন স্পট ঘুরে রাতে ফিরে যেতে পারবেন। আর বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। প্রতিদিনই এই স্টেশনে আসা যাওয়া করবে ৯০ হাজারের বেশি যাত্রী।

দোহাজারি-কক্সবাজার রেলওয়ে প্রজেক্টের ইঞ্জিনিয়ার তাইজুল ইসলাম বলেন, এই আইকনিক স্টেশনে প্রতিদিনই ৪৬ হাজার যাত্রী গমন করতে পারবে এবং ৪৬ হাজার যাত্রী বহির্গমন করতে পারবে। যাত্রীরা কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে নেমে লাগেজ মালামাল রাখার লকারে রেখে সমুদ্রসৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে আবারও নিজ গন্তব্যে ফিরতে পারবে। এই আইকনিক স্টেশনে ৩টি বিশাল গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা থাকবে। আর প্রতিদিনই এই ঝিনুক আকৃতির রেল স্টেশন, পানির ফোয়ারা ও অন্যান্য সৌন্দর্য দেখতে লোকজন ভিড় করবে। আশা করি, এটি একটি বিনোদনের স্থান হয়ে উঠবে।

এরই মধ্যে চীন থেকে এসেছে ৭শ মেট্রিক টন স্টিল ক্যানোফি, যা ছাদের ওপর বসানোর জন্য পুরোদমে কাজ করছেন শ্রমিকরা। একই সঙ্গে চলছে সৌন্দর্য বর্ধন, গ্লাস ফিটিং, ফায়ার ফাইটিং, স্যানিটারি আর বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ। আর মূল স্টেশনের ভনের পাশেই হচ্ছে উড়াল সেতু।

দোহাজারি-কক্সবাজার রেলওয়ে প্রজেক্টের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. আশরাফুল আলম বলেন, এখন ছাদে মূল স্টিল ক্যানোফির কাজ চলমান রয়েছে। এর পাশাপাশি ফুটওভার ব্রিজ, তিনটি প্লাটফর্ম এবং স্টেশন ভবনের ফিনিশিং এর কাজ চলছে। চীন থেকে ২১ সেপ্টেম্বর স্টিল ক্যানোফির মালামালগুলো এসেছে। তাই দ্রুত গতিতে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর এতো বড় একটি প্রকল্পে আমরা বাংলাদেশি প্রকৌশলীরা কাজ করতে পেরে গর্বিত।

তবে নির্ধারিত সময়ের আগে প্রকল্পের সব কাজ শেষ হবে বলে জানালেন দোহাজারি-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের পরিচালক মো. মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়সীমার আগেই দোহাজারি-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারব। আমরা ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ করব এবং ২০২৪ সাল পর্যন্ত লাগবে না।

২৯ একর জমিতে নির্মিত হচ্ছে দেশের একমাত্র আইকনিক রেলস্টেশন। যার নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে ২১৫ কোটি টাকা।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ