দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে হ্যালোইন উৎসবে হঠাৎ হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৯ জনের। আহত হয়েছেন শতাধিক। দুর্ঘটনাকবলিতদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ শোক জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। খবর রয়টার্সের।
স্থানীয় সময় শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে সিউলের ইওংসানগুয়ের ইথেওয়ানের হ্যালোইন পার্টিতে জড়ো হন এক লাখেরও বেশি মানুষ। অনুষ্ঠানে এক তারকা উপস্থিত হয়েছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই শুরু হয় হুড়োহুড়ি। সরু রাস্তায় অতিরিক্ত ভিড়ে চাপা পড়েন অনেকে। পদদলিত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান অনেকে।
খবর পেয়ে দ্রুতই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি হতাহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পদদলিত হওয়ার পর হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সিউলের ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের প্রধান, চোই সেওং -বিওম সংবাদ সংস্থা এপিকে জানান, জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মীরা এখনো আহতদের হাসপাতালে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন; তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এক ভিডিওতে ইটাওনের রাস্তায় দুর্ঘটনায় মৃতদের লাশ বডিব্যাগে রাখার দৃশ্য দেখা যায়। জরুরি সেবা দানকারীদের এ সময় আহতদের সিপিআর প্রদান ও শরীরের নিচে চাপা পড়াদের উদ্ধার করতেও দেখা যায় সে ভিডিওতে।
এর আগে দেশটির ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছিল, হঠাৎ ফায়ার সার্ভিসের অফিসে ৮১টি কল আসে। সেখানে তাদের শ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে বলে জানান তারা।
দুর্ঘটনার পরপরই আহতদের দ্রুত চিকিৎসার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইউল। এমনকি ইথেওয়ানে অতিরিক্ত চিকিৎসক পাঠানোর পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত সেবা নিশ্চিতের নির্দেশ দেন তিনি। এদিকে দুর্ঘটনার খবরে ব্যবসায়িক কারণে ইউরোপ সফরে থাকা সিউলের মেয়র ওহ সে-হুন তাৎক্ষণিক দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের মতে, বেশকিছু কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট রোগী রয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েক ডজন মারা যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শতাধিক ব্যক্তি এখনও ইথেওয়ান হ্যামিল্টন হোটেলের পাশের একটি গলিতে পড়ে আছেন।
এ ছাড়াও প্যারামেডিক যাদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল তারা সিপিআর করার চেষ্টা করছেন। কিছু রোগীকে নিকটবর্তী সুনচুনহ্যাং বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।