মালালা ইউসুফজাই বিয়ে প্রথার বিরোধী ছিলেন। বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে লিখেছিলেন, ‘আমি এখনও বুঝি না মানুষ কেন বিয়ে করে? আপনার জীবনে যদি একজন মানুষের দরকার হয়, তাহলে কেন আপনাকে বিয়ের কাগজে স্বাক্ষর করতে হবে? কেন শুধুমাত্র এটি এক ধরনের পার্টনারশিপ হতে পারে না?’
এবার তার বিয়ের খবর জানা গেল।
এদিকে ইংরেজ কোনো হ্যান্ডসাম ছেলেকে বিয়ে না করে এক পাকিস্তানি নাগরিককে বিয়ে করায় মালালা ইউসুফজাইয়ের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখক তাসলিমা নাসরিন।
মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। তাসলিমা নাসরিন বলেন, ‘মালালা একজন পাকিস্তানি ছেলেকে বিয়ে করায় আমি মর্মাহত। তার বয়স কেবল ২৪ বছর। সে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে, এজন্য আমি ভেবেছিলাম সে অক্সফোর্ডের কোনো প্রগতিশীল ইংরেজ হ্যান্ডসাম ছেলের সাথে সম্পর্ক করবে এবং ৩০ বছরের আগে বিয়ের কথা ভাববে না। কিন্তু…।’
এর আগে, বুধবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা আছার মালিককে বিয়ে করেন মালালা ইউসুফজাই। ইংল্যান্ডের বাড়িতেই তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান মালালা। বরের সঙ্গে দুইটি ছবি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন তিনি।
Quite shocked to learn Malala married a Pakistani guy. She is only 24. I thought she went to Oxford university for study, she would fall in love with a handsome progressive English man at Oxford and then think of marrying not before the age of 30. But..
— taslima nasreen (@taslimanasreen) November 9, 2021
এ সময় টুইট বার্তায় মালালা লিখেন, ‘আজকের দিনটি আমার জীবনের একটি মূল্যবান দিন। অ্যাসার এবং আমি গাঁটছড়া বেঁধেছি। পরিবারের সঙ্গে বার্মিংহামের বাড়িতে একটি ছোট নিকাহ অনুষ্ঠান উদযাপন করেছি। আমাদের জন্য দোয়া করুন।’
১৯৯৭ সালের ১২ই জুলাই উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াত জেলায় এক সুন্নি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মালালা ইউসুফজাই। তার বাবার নাম জিয়াউদ্দিন ও মা তুর পেকাই ইউসুফজাই। ২০১২ সালে স্কুলে যাওয়ার পথে জঙ্গি হামলার শিকার হন মালালা। পরে ওই হামলার দায় স্বীকার করে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান।
শত বাধা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও নারী শিক্ষা বিস্তারে সক্রিয় অবদান রাখার জন্য সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান মালালা। বর্তমানে তিনি নিজের দাতব্য সংস্থা মালালা ফান্ডের মাধ্যমে মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করছেন। তার দাতব্য সংস্থা থেকে ২০ লাখ মার্কিন ডলার আফগানিস্তানে মেয়েদের শিক্ষায় সহায়তার জন্য অনুদান দেওয়া হয়েছে।