অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার হাতে উঠল অধরা ট্রফি। প্রথমবারের মতো তারা জিতে নিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা। নিউজিল্যান্ডকে পাত্তা না দিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের নতুন সম্রাট এখন অ্যারন ফিঞ্চের দল।
দুবাইয়ের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের দেয়া ১৭৩ রানের টার্গেটকে রীতিমতো ছেলেখেলা বানিয়ে জেতে অস্ট্রেলিয়া। সাত বল ও আট উইকেট অক্ষত রেখে পৌঁছায় টার্গেটে।
এতে করে ট্রফি ক্যাবিনেটে অনুপস্থিত থাকা ক্রিকেট বিশ্বের একমাত্র ট্রফিটিও জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। সামনের বছর নিজ মাটিতে সেটি রক্ষায় নামবে ফিঞ্চের দল।
অথচ বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টানা দুই টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে বসায়, বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই ধারণা ছিল ফরম্যাটটি অস্ট্রেলিয়ার জন্য নয়। সবাইকে অবাক করে প্রতাপের সঙ্গে খেলে একপেশে ফাইনাল শেষে ট্রফি এখন সেই অজিদের।
এর আগে এই দুই দল ফাইনাল খেলে ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে। সেই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে সাত উইকেটে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তার ছয় বছর পর আরেক ফাইনালে হল একই কাণ্ড!
বড় সংগ্রহ গড়েও পাত্তা পেল না নিউজিল্যান্ড। তবে অজিদের রান তাড়ার গল্পের শুরুটা ছিল ভিন্ন।
কিউইদের করা ১৭২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দলপতি অ্যারন ফিঞ্চকে হারিয়ে চাপে পরে অস্ট্রেলিয়া।
নিমিষে সেই চাপ কেটে যায় ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের ব্যাটে। দুই জনের ৯২ রানের জুটিতে ভর করে জয়ের কাছে চলে যায় অস্ট্রেলিয়া।
দলীয় ১০৭ রানে ৩৮ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে ওয়ার্নার বিদায় নিলেও আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকেন মার্শ। সঙ্গে নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে।
মার্শের অপরাজিত ৭৭ ও ম্যাক্সওয়েলের অপরাজিত ২৮ রানের ইনিংসে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া। সেই সঙ্গে প্রথমবারের মত স্বাদ পায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের।
অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংস খেলে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয় মিচেল মার্শ।
এর আগে ফাইনালের টস জিতে উইলিয়ামসনদের ব্যাটিংয়ে পাঠান অ্যারন ফিঞ্চ। ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৮ রানে ড্যারেল মিচেলকে হারায় ব্ল্যাক ক্যাপস।
কিন্তু তাতে টলেনি নিউজিল্যান্ড। মার্টিন গাপটিলকে নিয়ে অজি বোলারদের ওপর আগ্রাসন চালাতে থাকেন কেইন উইলিয়ামসন।
৩৫ বলে ২৮ করে যখন ক্রিজ ছাড়েন গাপটিল, দলের স্কোরবোর্ডে রান তখন দুই উইকেটে ৭৬।
সঙ্গী হারালেও ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন উইলিয়ামসন। তুলে নেন দুর্দান্ত এক অর্ধশতক। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ৩২ বলে ৫০ করে ব্যাট চালান সেঞ্চুরির দিকে। গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে দলকে নিয়ে যেতে থাকেন বড় সংগ্রহের দিকে।
১৭ বলে ১৮ করে আউট হন ফিলিপস। ৪৮ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলে স্মিথের হাতে ধরা দেন উইলিয়ামসনও।
এরপর জিমি নিশ্যামের ১৩ ও টিম সেইফার্টের ৮ রানে অজিদের সামনে ১৭৩ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ফাইনালের দিন বল হাতে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন মিচেল স্টার্ক। ৪ ওভারের স্পেলে ৬০ রান দিয়ে উইকেট নিতে পারেননি এ ফাস্ট বোলার।
অজিদের সেরা বোলার ছিলেন জশ হেইজলউড। ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৬ রান। উইকেট পান তিনটি। আর ২৬ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট যায় অ্যাডাম জ্যাম্পার ঝুলিতে।