1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

৩০ বছর সংরক্ষিত হিমায়িত ভ্রুণ থেকে জন্ম হলো যমজ শিশুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২

৩০ বছরেরও বেশি সময় আগে হিমায়িত ভ্রূণ থেকে জন্ম নিয়েছে যমজ শিশু। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যে গত ৩১ অক্টোবর শিশু দুটোর জন্ম হয়। খবর বিবিসির।

ধারণা করা হচ্ছে এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পুরোনো হিমায়িত ভ্রুণ থেকে জন্মদানের নতুন রেকর্ড।

১৯৯২ সালের ২২ এপ্রিল মাইনাস ১২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার তরল নাইট্রোজেনে ভ্রুণগুলো সংরক্ষণ করা হয়।

৩০ বছর পর আইভিএফ পদ্ধতিতে ভ্রুণগুলো গর্ভে ধারণের মাধ্যমে যমজ সন্তানের মা-বাবা হলেন অরিগন রাজ্যের র‍্যাচেল রিজওয়ে ও তাঁর স্বামী ফিলিপ রিজওয়ে।
রিজওয়ে দম্পত্তির ইতোমধ্যেই চারটি সন্তান আছে। দুই যমজ সন্তানের নাম লিডিয়া অ্যান রিজওয়ে ও টিমোথি রোনাল্ড রিজওয়ে রেখেছেন তারা।

সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঘটনাটিকে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করে সদ্য বাবা হওয়া ফিলিপ বলেন, ‘আমার বয়স যখন মাত্র পাঁচ বছর তখনই ঈশ্বর লিডিয়া ও টিমোথিকে জীবন দিয়েছিল। সেই হিসেবে আমাদের ছয় সন্তানের মধ্যে লিডিয়া ও টিমোথি সবার বড়। অথচ ওরাই আমাদের সর্বকনিষ্ঠ শিশুসন্তান। এসব চিন্তা করলেও ভীষণ অদ্ভুত লাগে’।

দান করা ভ্রুণ থেকে এর আগে ১,২০০ শিশুর জন্ম দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল এমব্রায়ো ডোনেশন সেন্টার (এনইডিসি)। এর আগে ২০২০ সালে তাদের ২৭ বছরের পুরোনো একটি ভ্রুণ থেকে মলি গিবসন নামে একটি শিশুর জন্ম হয়।

র‍্যাচেলের গর্ভে ভ্রুণ প্রতিস্থাপনকারী চিকিৎসক জন ডেভিড গরডন জানান, ‘৫, ১০ বা ২০ বছর আগে সংরক্ষিত ভ্রুণ থেকে সন্তান নেওয়ার বিষয়ে যারা সন্দিহান থাকেন, তাদের আশ্বস্ত করবে এই ঘটনা’।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দম্পতির জন্য আইভিএফের মাধ্যমে সন্তান গ্রহণে যমজ এই ভ্রুণ দুটো তৈরি করা হয়েছিল। ভ্রুণটি ৫০ বছর বয়সী এক পুরুষের দান করা শুক্রাণু ও ৩৪ বছর বয়সী নারীর দান করা ডিম্বাণু থেকে তৈরি করা হয়।

২০০৭ সাল পর্যন্ত দত্তক নেওয়া দম্পতি ভ্রুণটি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট কোস্টের একটি ফার্টিলিটি ল্যাবে সংরক্ষণ করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সন্তান না নিয়ে তারা এই ভ্রুণ দুটো টেনেসির অপর এক দম্পতির জন্য এনইডিসিকে দান করেন।

চলতি বছরের শুরুতে এনইডিসির সহযোগী ক্লিনিক সাউদইস্টার্ন ফার্টিলিটিতে সন্তানলাভে আগ্রহী র‍্যাচেলের গর্ভে ভ্রুণগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়।

এক বিবৃতিতে এনইডিসি জানিয়েছে তাদের আশা এই ঘটনায় অনেক দম্পতিই নিজেদের জন্য ভ্রুণ দত্তক নিতে আগ্রহী হবেন।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ