1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তায় জোর দিচ্ছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২

কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখার স্বার্থে আরও ১ লাখ ৪০ হাজার মে. টন সার কেনা হচ্ছে। এতে মোট খরচ হবে ৯৭৭ কোটি টাকা। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোর করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে কৃষকদের কাছে ভর্তুকি মূল্যে সার সরবরাহ রাখার বিষয়টি অন্যতম। কৃষকদের মাঝে ভর্তুকি মূল্যের সার বিতরণ অব্যাহত থাকবে।

কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার ও শক্তিশালী করার উদ্যোগ রয়েছে সরকারের। সারা বছর ফসল ফলাবেন কৃষকরা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন কাস্টম হাউস ও দপ্তরের জন্য ছয়টি পূর্ণাঙ্গ ‘কন্টেনার স্ক্যানার সিস্টেম’ কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট খরচ হবে ৩২৭ কোটি টাকা।

বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ১ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট পাঁচ ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সার এবং স্ক্যানার সিস্টেম কেনায় সিংহভাগ অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ৫টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ১টি প্রস্তাব ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ৫টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৩০৪ কোটি ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৩ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৩২ কোটি ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৫ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ ৯৭৭ কোটি ১২ লাখ ১৩ হাজার ২৮৮ টাকা।

উল্লেখ্য, মহামারী করোনা পরবর্তী সংকট এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে চাল ও আটার দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের কষ্ট সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এ অবস্থায় কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সর্বোচ্চ জোর দিয়েছে সরকার। দেশের এক ইঞ্চি জমিও যাতে পতিত না থাকে সে বিষয়ে সতর্ক করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

মূলত দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো হবে। এ কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি কমাতে কয়েক দফায় দাম বাড়ানো হলেও কৃষিতে ভর্তুকি কমানো হয়নি। বরং ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের সার সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বেশি মূল্যে কিনে দেশে সার বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে কৃষকরা কৃষি উৎপাদনে উৎসাহী হচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ঋণ প্রদানের শর্ত হিসেবে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি ও নগদ সহায়তা কমানোর সুপারিশ করলেও কৃষি উৎপাদনে ভর্তুকি প্রদানের বিষয়টি সমর্থন করেছে সংস্থাটি। আশা করা হচ্ছে, কৃষি উৎপাদন বাড়লে দেশে খাদ্যপণ্য সহনীয় মূল্যে পাওয়া যাবে। ইতিপূর্বে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সারে ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হবে। শুধু তাই নয়, ডলার সংকটের এই সময়ে বিদেশ থেকে সার কেনা অব্যাহত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

চলতি অর্থবছরে শুধু সারে ভর্তুকি প্রয়োজন হতে পারে ৪৫-৪৮ হাজার কোটি টাকা। বৈঠক সূত্র জানায়, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং দেশীয় কোম্পানি কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে এক লাখ ৪০ হাজার টন সার ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট খরচ হবে ৯৭৭ কোটি ১২ লাখ ১৩ হাজার ২৮৮ টাকা। এর মধ্যে ৫৬২ কোটি ৯৮ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৮ টাকার ইউরিয়া সার রয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন (কেসিসি) থেকে অষ্টম লটে ৫০ হাজার টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪১৪ কোটি ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৩০০ টাকা।

এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৮৮ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার ৬৪৪ টাকা।

সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বিসিআইসির মাধ্যমে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে নবম লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৮৫ কোটি ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৭০০ টাকা। সেই সঙ্গে সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বিসিআইসির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের মুনতাজাত থেকে এগারোতম লটে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এতে ব্যয় হবে ১৮৮ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার ৬৪৪ টাকা। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ অব্যাহত রাখতেই প্রতিটি বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দিচ্ছে সরকার। আগামীতেও সার কেনা অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছে বৈঠক সূত্র।

ছয়টি কন্টেনার স্ক্যানার সিস্টেম কেনা হবে: পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে সেবার মান বাড়াতে দেশের বিভিন্ন কাস্টম হাউস ও দপ্তরের জন্য ছয়টি পূর্ণাঙ্গ ‘কন্টেনার স্ক্যানার সিস্টেম’ কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট খরচ হবে ৩২৭ কোটি ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৫ টাকা। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বিভিন্ন কাস্টম হাউস ও দপ্তরের জন্য ছয়টি পূর্ণাঙ্গ কন্টেনার স্ক্যানার সিস্টেম আমদানি করা হবে। নিউটেক কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে ৩২৭ কোটি ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৫ টাকায় এই সিস্টেম কেনা হবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ