1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

আগাম আলু বাম্পার ফলন, দামেও খুশি কৃষকরা

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২২

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আগাম আলু তোলার ধুম পড়েছে। আলুর ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন কৃষকরা। তবে একসঙ্গে সবাই আলু তোলার ফলে কৃষি শ্রমিকদের জন্য বাড়তি মজুরি গুণতে হচ্ছে। এবছর আবহাওয়া আলু চাষের অনুকূলে থাকায় কিশোরগঞ্জসহ জেলার অন্যান্য আলু চাষিরা খোশ মেজাজে রয়েছেন।কিশোরগঞ্জ কৃষি অফিস জানায়, সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে এবছর আগাম জাতের আলুর চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।

কিন্ত কৃষকরা আরও বেশি জমিতে আলু চাষ করেন। আলু লাগানোর পরপরই বৃষ্টিতে কৃষকের কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হলেও আর বড় কোনো বিপদ আসেনি। এরপর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি আলু ৬০/৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুঠির কৃষক আনারুল ইসলাম জানান, আমি এবার ১৫ বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেছি। এরমধ্যে ২ বিঘা জমির আলু তুলে পাইকারের কাছে বিক্রি করেছি। ২ বিঘায় কীটনাশক, আলু বীজ, সার, মজুরি বাবদ ৫০ হাজার টাকা বাদ দিয়েও আমার লাভ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা।

উপজেলার সর্বত্র নারী-পুরুষ শ্রমিকরা ক্ষেত থেকে আলু তুলছেন। এ ক্ষেত্রে পুরুষ শ্রমিককে দৈনিক ৪০০/৫০০ টাকা ও নারী শ্রমিককে ১৫০/২০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। অনেক কৃষক ক্ষেতেই পাইকারি দরে আলু বিক্রি করছেন। এই আলু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে পাঠানো হচ্ছে।

উপজেলার দুরাকুঠি গ্রামের আদর্শ আলু ‘চাষি আলম’ হোসেন জানান, আগাম জাতের আলু চাষে অভাবী এলাকা ‘কিশোরগঞ্জের অর্থনৈতিক’ চিত্র পাল্টে গেছে। কৃষকরা যেমন স্বনির্ভর হচ্ছেন, তেমনি শ্রমিকরা কৃষিকাজ পেয়ে ভালোভাবে দিন কাটাচ্ছেন। এই আলুর আবাদ না হলে এলাকায় অভাব দেখা দিত।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, আগাম জাতের আলু আবাদে চাষিরা খুব ভালো অবস্থানে রয়েছে। অন্যান্য ফসলে উৎপাদন ও দামে মার খেলেও এই আলু আবাদে লাভবান হচ্ছেন কিশোরগঞ্জের মানুষ। প্রতিবছর এই আলু আবাদের পরিধিও বাড়ছে।

আগাম আলু উৎপাদনের সুতিকাগার হিসেবে পরিচিত ‘নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ’। পতিত ও উঁচু জমিতে এসব আলু আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। একসময় এসব জমিতে কাঁশবন হতো। এখন উপজেলার কৃষকদের আয়ের প্রধান উৎস আলু চাষাবাদ।

১৯৯০ সালে উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের এক কৃষক বাড়ির পাশের জমিতে খাওয়ার জন্য আগাম আলুর চাষাবাদ শুরু করেন। ভাল ফলন পাওয়ায় সেখান থেকে এই অঞ্চলের কিশোরগঞ্জ উপজেলাসহ আশেপাশের এলাকায় আগাম আলু চাষাবাদ শুরু হয়। রোপণের ৫৫ দিনের মাথায় নতুন আলু বাজারে উঠতে শুরু করেছে। জমি থেকেই ব্যবসায়ীরা পাইকারি হিসেবে আলু কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছেন। সর্বত্র নারী- পুরুষ সবাই মনের আনন্দে জমি থেকে আলু তুলছেন।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত

নির্বিঘ্নে মেট্রোরেল ব্যবহার করছেন শারীরিক প্রতিবন্ধীরা

পাকিস্তানে বাংলাদেশের পতাকা! ৭১-এ বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদণ্ডাদেশের স্বীকারোক্তি

স্মার্ট, উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়তে ৫টি সহায়তা চাইলেন শেখ হাসিনা

জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণের দিন আজ

৩১ মে’র মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ই-রেজিস্ট্রেশনের নির্দেশ

মোস্ট ইন্সপিরেশনাল ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

কোথাও পাওয়া যায়নি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট : চট্টগ্রামে শনাক্ত যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকান

সেপ্টেম্বর থেকে ইতালিতে চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট সেবা

মেডিকেল সেক্টরে এগিয়ে নারীরাই

ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৯১ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা