1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

আওয়ামী লীগকে মাঠে-ময়দানে সরব ও সতর্ক থাকতে হবে

অধ্যাপক ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২২

আওয়ামী লীগ সরকারে আছে চৌদ্দ বছর। এই চৌদ্দ বছর বিএনপি ক্ষমতার বাইরে। বিএনপিও তিন বার রাষ্ট্র-ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু টানা দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের অদম্য স্পৃহা তৈরি হয়েছে। তারই বহিঃপ্রকাশ আমরা তাদের সাম্প্রতিক একাধিক কর্মসূচিতে দেখতে পাচ্ছি। ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের জন্য রাজনীতির মাঠে তারা বিচিত্র কৌশলের অবলম্বন করছে। বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে তারা দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য একটি আসন শূন্য রেখে সাধারণের সহানুভূতি লাভের চেষ্টা করছে। তাদের এই কৌশলটি আবেগনির্ভর এবং রাজনৈতিক চিন্তাপ্রসূত সন্দেহ নেই। কিন্তু এরূপ প্রকাশ্য কৌশলের চেয়ে ষড়যন্ত্রমূলক অপকৌশলেরও কম আশ্রয় বিএনপি নেয় না। বিএনপিকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সহজাত বিবেচনা একটিই যে, তারা জামায়াত-শিবিরের অধ্যূষিত নানা ষড়যন্ত্র ও অপকৌশলের ডিপো। কিন্তু ক্ষমতার রাজনীতিতে বিজয়ী হতে পারলে ‘অপকৌশল’ও শেষ পর্যন্ত ‘সুকৌশল’ হিসেবেই প্রশংসিত হয়, সমাদৃতও হয়! তাই ক্ষমতায় আরোহনের লক্ষ্যে নানাভাবেই তারা চেষ্টা শুরু করেছে- করেছে।

ক্ষমতা-বলয়ের বাইরে থাকা বিএনপি এবং তার ডান-বামঘেঁষা মিত্ররাও আজ যেন মাত্রাহীন অসহনশীল! যে কোনো সুযোগকেই তারা কাজে লাগাতে তৎপর। বর্তমান সরকার, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তারা সাধারণ মানুষকে নানাভাবে উস্কে দিতে শুরু করেছে। ইতোপূর্বে অনেকবার তারা বিভিন্ন ঘটনা-দুর্ঘটনা থেকে সরকার পতনের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী লীগ এবং বিশেষ করে সরকারেরও মনে রাখা জরুরি, তাদেরই কোনো অসতর্ক কর্মকাণ্ডের ফাঁক দিয়ে জামায়াত-বিএনপির সাফল্য চলেও আসতে পারে! সুতরাং সতর্কতা ও সাবধানতার কোনো বিকল্প নেই আওয়ামী লীগের।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তবু মাঝেমধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজপথেও থাকা দরকার। যদিও বর্তমানে বিভিন্ন সম্মেলন উপলক্ষ্যে মাঠে ময়দানে আওয়ামী লীগকে সরব দেখা যাচ্ছে এটি আরো আগে থেকে চালু করা প্রয়োজন ছিল। নিয়মিত সভা-সমাবেশের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ যে মাঠের দল, মানুষের দল তার প্রমাণ রাখতে হবে।

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘দায়িত্ব’ হিসেবে মানেন। বিগত চৌদ্দ বছরে তার দায়িত্বশীল নেতৃত্বে দেশের প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে- উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবেই বৈশ্বিক পরিচিতি বাংলাদেশের। শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টির কারণে শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নই নয়- উন্নয়ন ঘটেছে সাধারণের জীবনমানেরও। মাথাপিছু আয় বেড়েছে, বেড়েছে সক্ষমতা। দ্রব্যমূল্যের ক্রমবৃদ্ধি ঘটলেও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের ক্রয়-ক্ষমতাও বেড়েছে। বেড়েছে মানুষের গড় আয়ু। উন্নয়নের সামগ্রিক সূচকে ইতিবাচক অগ্রগতির কল্যাণে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায়ও অভিষিক্ত হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ভারত ও পাকিস্তানকে পর পর কয়েকবার পেছনে ফেলে এশিয়ার টাইগার হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কিন্তু এই উন্নয়ন ও অগ্রগতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘটছে বলে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি, সাম্প্রদায়িক চেতনাপুষ্ট ধর্মব্যবসায়ীরা সহজভাবে গ্রহণ করতে পারছেন না। নানা ইস্যুতে তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। আওয়ামী লীগকে উপলব্ধি করতে হবে আসছে ডিসেম্বরে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীকে বানচাল করার লক্ষেও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি দেশের ভেতর কেবল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিই নয় ধ্বংসযজ্ঞও চালাতে পারে! কারণ তারা কখনোই স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি।

ইতোমধ্যে বিএনপির কোনো কোনো নেতা ১০ ডিসেম্বরকে টার্গেট করে ঘোষণা দিয়েছেন রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের- তারা সদম্ভে ঘোষণা করেছেন ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে দেশ চলবে খালেদা-তারেকের কথায়! সুতরাং সরকারের সাবধানতা ও সতর্কতার যেমন বিকল্প নেই তেমনি আওয়ামী লীগের সামনেও মাঠে-ময়দানে থাকার বিকল্প কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি, গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের সতর্ক নজরদারিও তীক্ষ্ণ এবং চৌকস করতে হবে।

জামায়াত-বিএনপি তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়ে ছলে-বলে-কৌশলে সরকার পতনের লক্ষ্যে দিন দিন মারিয়া হয়ে উঠছে। আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীর ভুল-ভ্রান্তি-বিকৃতি-বিচ্যুতি কিংবা দলীয় ভুল কোনো কর্মকাণ্ড তাদের মোক্ষম মারণাস্ত্র হিসেবে কাজ করবে। সাধারণের সম্মুখে তিলকে তাল বানিয়ে, রঙ লাগিয়ে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে ভাইরালও করবে! সাধারণকে নানা পন্থায় উস্কে দিতেও তারা তৎপর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের মাধ্যমে নানা অপপ্রচারেও বিএনপি ও তার মিত্ররা তৎপর।

জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় যখন দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত আছে, যখন তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্ন আমাদেরকে দেখান তখন দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর মধ্যে আমরা দেখতে পাই অসততা, অদূরদর্শিতা এবং অসলংগ্ন কমকাণ্ড! দেশের উন্নয়ন ঘটলেও এদের জন্যই নেতিবাচক কিছু প্রত্যয়ও বেড়েছে! বেড়েছে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, বেড়েছে সাম্প্রদায়িক চিন্তার মনস্তাত্ত্বিক মেরুকরণও। সামাজিক অস্থিতিশীলতাসহ খুন, ধর্ষণের পাশাপাশি বেড়েছে আত্মহত্যা প্রবণতাও। সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রসার সমাজমানসকে অন্তর্গতভাবে উন্মূল করেছে। রাজনীতি, প্রশাসন, ব্যবসায় সর্বত্রই দুর্নীতিতে আচ্ছন্নপ্রায়! রাজনৈতিক কর্মী, প্রশাসনের কেরানি, পিয়ন, ড্রাইভার, দর্জি, দোকানদার থেকে শুরু করে আসল ও নকল (!) ঊর্ধ্বতন আমলা, ব্যাংকার, ব্যবসায়ী এবং পুলিশের বিভিন্ন সারির অফিসারদের মধ্যেও দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে!

গণমাধ্যমে শ্রেণিপেশা নির্বিশেষর দুর্নীতির এরূপ বিস্তারদৃষ্টে সাধারণের মনস্তাত্ত্বিক জগতও বিপর্যস্ত। ওপরে বর্ণিত পেশাগুলো প্রতীকী মাত্র! শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ সব পেশাজীবীর মধ্যেই আমরা আর্থিক বিষয়ে অস্বচ্ছতার চরম দৃষ্টান্ত দেখতে পাই। বিপুল পরিমাণ অর্থের এমন অনর্থপাত দেখে মনে হয় এসব অর্থের সঠিক ব্যয় ব্যবস্থা নিশ্চিত সম্ভব হলে বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে যেতে পারতো!

বিগত কয়েক বছরে আওয়ামী লীগে নেতা-কর্মীর সংখ্যাও বেড়েছে- বেড়েছে নির্বিচারে। জামায়াত-বিএনপি এমনকি যুদ্ধাপরাধী বা তাদের বংশধরগণও আওয়ামী লীগের ছাতার নিচে আশ্রয় নিয়েছেন- ‘সাচ্চা’ কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠাও করে ফেলেছেন নিজেদেরকে! তাই বেড়েছে সুবিধাভোগীর সংখ্যা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবর্গও বিষয়টি অবগত। তারা এদের নাম দিয়েছেন ‘হাইব্রিড’। হাইব্রিড নেতাকর্মীর সংখ্যা এতই বিপুল যে, প্রকৃত নেতাকর্মীদেরকেই এখন চেনা কঠিন, ত্যাগীরা আড়ালে পড়ে গেছেন! তাই বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপি তো বটেই সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে অভিযুক্তরাও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পান! ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রধান আসামীরা স্থানীয় নির্বাচনের টিকিট পেয়েছিলেন! আমাদের মনে পড়ে, গণমাধ্যমে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সেসব প্রার্থী পরে পরিবর্তন করা হয়েছিল। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পদস্থ কর্মীরাও সত্যাসত্য যাচাই ছাড়াই কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননা নিয়ে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াতে তৎপর হয়! যদিও এরাও বহিষ্কৃত হয়েছেন। সাম্প্রদায়িক মানসিকতা লালনকারী শত-সহস্র কর্মী আওয়ামী লীগে ঢুকে গেছেন যারা কেবল ব্যক্তিগত সুবিধাভোগের জন্য মুখে ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেন! বঙ্গবন্ধু কিংবা আওয়ামী-আদর্শ এদের অন্তরে নেই! দলকে ঘটনা পরম্পরায় গুরুত্বের সাথে এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে।

আওয়ামী লীগকে অবশ্যই এই আত্মসমালোচনাও করতে হবে- টানা দীর্ঘ চৌদ্দ বছর ক্ষমতায় থাকার ফলে এক শ্রেণির নেতাকর্মী দুর্নীতি ও অবৈধ পন্থায় অঢেল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন! বিত্ত-বৈভবে ফুলে-ফেঁপে স্ব-স্ব এলাকায় তারা ‘ত্রাস’ হিসেবেও সুনাম (!) অর্জন করেছেন! ফলে, শান্তিপ্রিয় ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের সাথে ‘দূরত্ব’ বজায় রেখে চলতেই অভ্যস্থ হয়ে পড়েছেন। বিচ্ছিন্নতা বোধ তৈরি হওয়ায় শান্তিবাদীদের মধ্যে এক প্রকার উদাসীনতাও তৈরি হয়েছে। চৌদ্দ বছরে অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জনকারীরা একদিকে এবং অন্যদিকে মৌন অবস্থান নিয়েছেন সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ ত্যাগী নেতাকর্মীগণ। দলীয় সকল কর্মকাণ্ডে সকলের সমান অংশগ্রহণেও এক ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ২০২৩ সালের শেষদিক। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যকার দূরত্ব ঘুচাতে হবে। বিচ্ছিন্নতার অবসানও ঘটাতে হবে অনেকের মন থেকে। ক্ষমতায় থেকে কিংবা ক্ষমতার আরাম-আয়েশে যারা এতদিন আশ্বস্ত ছিলেন তাদেরকে ঘর থেকে বের হয়ে সাধারণের দাবি ও চাহিদা নিয়ে কথা বলার জন্য রাজপথে দাঁড়াতে হবে। ক্ষমতায় থাকলেও জনগণের ইস্যু নিয়ে দলকে মাঝেমধ্যে রাজপথের মিছিলেও আসতে হবে। মিছিলে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা বলতে হবে। মিছিলে দাঁড়ালে অভ্যন্তরীণ তিক্ততারও অনেকটা অবসান হয়। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা প্রয়োজন। মিছিলে উচ্চারিত স্লোগানে ধর্মনিরপেক্ষ চেতনাসহ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের প্রতি হুংকারও থাকতে হবে। আওয়ামী লীগকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে অনৈক্যেই সর্বনাশ! সর্বস্তরের কর্মীদের মধ্যকার অনৈক্য দূর করতে হবে।

আওয়ামী লীগ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার শত্রুর সংখ্যা কম নয়, কম নয় ডান-বাম নির্বিশেষে ষড়যন্ত্রকারীর সংখ্যাও। সাম্প্রদায়িকতার বীজ রাষ্ট্র থেকে উন্মূলের লক্ষ্যে মননের পরিবর্তন দরকার। কিন্তু আমাদের ‘সাইবার ওয়ার্ল্ড’ পরিচ্ছন্ন ব্যতিরেকে তা সম্ভব নয়। সেখানে সমস্ত কনটেন্ট সহজলভ্য তাতে সহজেই শিশু-কিশোরদের মগজধোলাই সম্পন্ন হয়ে যায়। যৌবনে পৌঁছানোর আগেই তাদের মনে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প। ইসলাম ব্যাতীত অন্যান্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত মনোভাবকেই তারা আদর্শরূপে গ্রহণ করে। সেই মানসিক পটভূমিতে ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা জাগ্রত করা কষ্টকর। তরুণ সমাজকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ফেরানো কতটা সম্ভব জানি না। আমরা আমাদের সময় নষ্ট করে ফেলেছি! কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে অসাম্প্রদায়িক মানস গঠনেও সাংগাঠনিকভাবে আওয়ামী লীগকে তৎপর হতে হবে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা পার করে এসেছি। পার করে এসছি আমাদের বিজয়েরও সুবর্ণজয়ন্তী। বিজয়ের ডিসেম্বর মাস সমাগত প্রায়। এবার ১০ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসমাবেশ। এই সমাবেশ থেকে বিএনপি যদি তাদের হুমকি মতো ‘হেফাজতি’ স্টাইলে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করতে চায় তাহলে আমাদের বুঝতে অসুবিধা হবে না যে, বিজয়ের মাসকে কলঙ্কিত করাই তাদের ও তাদের মিত্রদের অন্যতম উদ্দেশ্য। কিন্তু আমরা এও উপলব্ধি করতে পারি যে, আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কাকে যদি বিএনপি প্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করে থাকে তবে তার সাফল্য ঘরে তুলতেও তাদেরকে হয় আফগানিস্তান কিংবা শ্রীলঙ্কায় ‘হিজরত’ করতে হবে!

মহান বিজয়ের মাসে আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা দেখতে চাই না। আগে থেকেই গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের সূক্ষ্ম তৎপরতা এবং প্রশাসনের দক্ষ ব্যবস্থাপনা দেখতে চাই। দেখতে চাই আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যন্ত সব শ্রেণির নেতাকর্মীর দলবদ্ধ ও আন্তরিকভাবে ঐক্যবদ্ধ কঠোর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। মাঠে-ময়দানে আওয়ামী লীগের সোচ্চার অবস্থানও দেখতে চাই। কোনো অপকৌশল বা কোনো ষড়যন্ত্র যেন স্বাধীন দেশে আর কোনোদিন ডালপালা মেলে বেড়ে উঠতে না পারে সেজন্যও সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বন করে আওয়ামী লীগকেই এগিয়ে যেতে হবে।

লেখক : ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম – অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ