1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে দ্রুত শিল্প কারখানা স্থাপনে বেপজা’র তাগিদ

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২

দেশের অন্যতম বৃহৎ মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে দ্রুত শিল্প স্থাপন চায় বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। এজন্য তাগিদও দেওয়া হয়েছে। গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল মিরসরাই (প্রথম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভায় এ তাগিদ দেওয়া হয়। বেপজা কমপ্লেক্স সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বেপজার নির্বাহী চেয়াম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান। এসময় বলা হয়, দ্রুত শিল্পকারখানা স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা দরকার।

সূত্র জানায়, পিআইসি সভায় বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভূমি বরাদ্দ করা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে কারখানা স্থাপন করে উৎপাদন শুরু করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের এ বিষয়ে অনুরোধ করতে হবে। এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালককে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

প্রকল্প পরিচালক জানান, ভূমি বরাদ্দ করা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারখানা স্থাপন শুরু করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নিয়মিত যোগাযোগ ও তাগাদা চলমান রয়েছে। মোট ১৫টি প্রতিষ্ঠান প্লট বুঝে নিয়েছে। ৩টি প্রতিষ্ঠান বন্ড লাইসেন্স পেয়েছে। নির্মাণ সামগ্রী আমদানি কার্যক্রম শুরু করেছে। এরমধ্যে ৭টি প্রতিষ্ঠান সয়েল টেস্ট করে ড্রয়িং ডিজাইন তৈরি করেছে। ৩টি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। আরও ৩টি প্রতিষ্ঠান আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু করবে। বর্তমানে ৯৮টি আগ্রহী শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ প্রস্তাব বিভিন্ন পর্যায়ে যাচাইবাছাই চলমান আছে।

পিইআইসি সভা সূত্র আরও জানায়, মিরসরাইয়ে এক হাজার ১৩৮.৫৫ একর এলাকার উপর বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ চলছে। ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম পর্যায়ে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৭৫০ কোটি ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে গত বছরের জুনে প্রকল্প মেয়াদে সেটি একনেক সভায় অনুমোদন পায়। পরবর্তীতে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প প্লটের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৪ জানুয়ারি একনেক সভার অনুমোদন নিয়ে প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়। এসময় দ্বিতীয় পর্যায় হিসেবে প্রকল্পটির সংশোধিত প্রকল্প ব্যয় ১ হাজার ৩০২ কোটি ৯১ লাখ ১১ হাজার টাকা ধরা হয়। সংশোধিত প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত।

প্রকল্প পরিচালক জানান, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য সব ধরনের ইউটিলিটি সার্ভিসসহ মোট ৫৩৯টি শিল্প প্লট তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিটি ৩ হাজার ৬০০ বর্গ মিটার আয়তনের। ২টি স্ট্যান্ডার্ড ফ্যাক্টরি বিল্ডিং নির্মাণ করা হবে। এখানে ৪ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ২ হাজার ৬৯৬.৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) সংগ্রহ করা হবে। ৩ হাজার ২৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয় বৃদ্ধি করা হবে।

এছাড়া বৃষ্টির পানি সংগ্রহের জন্য প্রায় ২৫.২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ড্রেইনেজ নেটওয়ার্ক তৈরি ও ৪৫ একরের জলাধার নির্মাণ করা হবে। পরিবেশকে সুরক্ষার জন্য একটি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ও ৪টি কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পাইপ লাইন স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন যার ঋণ ৬০ শতাংশ এবং ইক্যুইটি ৪০ শতাংশ।

বেপজার নির্বাহী চেয়াম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান পিইসি সভায় বলেন, ‘মাটি ভরাটের কাজ দ্রুত করার জন্য গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে মাটি ভরাট কাজগুলোর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশনের কাজের গতি খুবই ধীর। মাটি ভরাট করা এলাকায় অতিসত্বর লেভেলিংয়ের মাধ্যমে ভূমির নির্ধারিত লেভেল নিশ্চিত করতে হবে। চলমান মাটি ভরাট কাজ শেষ করে লেভেলিং কাজ আরম্ভ করতে হবে। ১১টি গ্রুপের সব কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে। তা না হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ডিবার করাসহ চুক্তির শর্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক সভায় বলেন, ‘প্রকল্পের অফিসার্স ডরমিটরি, স্টাফ ডরমিটরি, সিকিউরিটি ব্যারাক, সিকিউরিটি ওয়াচ টাওয়ার, মেইন গেট, কাস্টমস ও সিকিউরিটি ভবন নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। জোন সার্ভিস ভবন ও আনসার ব্যারাকের কাজ চলতি বছরের নভেম্বরে শেষ হবে। ইনভেস্টর্স আবাসিক ভবন ও ইনভেস্টর্স ক্লাব ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২৩ সালের এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে। এছাড়া বি, সি ও ডি টাইপ আবাসিক ভবন কাজগুলো ২০২৩ সালের এপ্রিলের দিকে শেষ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্পে ২টি কারখানা ভবন নির্মাণের সংস্থান রয়েছে। এরমধ্যে কারখানা ভবন নং-৫ এ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চুক্তি সম্পাদন না করায় দরপত্রের জামানত বাবদ ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরে দরপত্রে রেসন্সিভ ঠিকাদার না পাওয়ায় সংশোধন করে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।’

পিইসি সভায় অংশ নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের প্রতিনিধি বাবুলাল রবিদাস বলেন, ‘চলমান কাজের চুক্তি মেয়াদের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজ বাস্তবায়ন পরিকল্পনা দাখিলের অনুরোধ করা যেতে পারে। এতে একদিকে প্রকল্প বাস্তবায়নে কত সময় প্রয়োজন হবে তা জানা যাবে। অন্যদিকে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলোও এই সময়ের মধ্যে কাজ বাস্তবায়নের জন্য দায়বদ্ধ থাকবে।’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত