1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

শেখ হাসিনার কাছেই বেশি প্রত্যাশা আমাদের

অধ্যাপক ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন প্রায়। যতটুকু জানা যায় ২০২৪ সালে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হবে কাঙ্ক্ষিত সেই জাতীয় নির্বাচন। টানা ততৃীয় মেয়াদে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র-ক্ষমতায় আছে। এই দীর্ঘ সময়ে দেশে স্থিতিশীলতা বিরাজ করায় সর্বস্তরে ব্যাপক উন্নয়নও সম্ভব হয়েছে। এই উন্নয়নদৃষ্টে আমরা এও উপলব্ধি করি যে, একটি দেশের উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীল পরিবেশ অনিবার্য। আমাদের মনে আছে, ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে জাতির সম্মুখে একটি স্বপ্নমাখা রূপকল্প প্রস্তাব করেছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেসময়ে প্রদত্ত সেই রূপকল্পটি প্রকৃতপক্ষে ছিল বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের এক স্বপ্ন, জাতিকে আত্মমর্যাদাশীল করার এক বস্তুনিষ্ঠ পরিকল্পনা। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে একটি নির্দিষ্ট স্তরে উন্নীত করার অঙ্গীকারই প্রকৃতপক্ষে রূপকল্প বা ‘ভিশন ২০২১’- বহুল উচ্চারিত ‘ভিশন টুয়েন্টি টুয়েন্টি ওয়ান’। স্বপ্ন-কল্পনা আর বাস্তবের অভিঘাতে সৃষ্ট এই স্লোগানটি যে সেসময় যথেষ্ট চিত্তাকর্ষক ছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ‘ভিশন টুয়েন্টি টুয়েন্টি ওয়ান’-এর লক্ষ্যমাত্রার কোনো কোনো সূচকে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

২০২১ সালে আমরা যখন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করি তখন পূর্ববর্তী বছরগুলোর তুলনায় এদেশের দারিদ্রের হার বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছিল- বর্তমানেও এ ধারা অব্যাহত আছে। আশা করা যায় পরিবেশ অনুকূল থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তা প্রায় শূন্যের ঘরে নেমে আসবে। তখন আমরা আমাদের বক্তব্য-বিবৃতি ও ভাষণে অতীতচারিতার আশ্রয় নিয়ে হয়তো বলবো ‘একদা আমরা দরিদ্র ছিলাম’। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিজয়ী আওয়ামী লীগের সরকার ঘোষণা করেছিল ‘রূপকল্প ৪০৪১’ বা ‘ভিশন ফোরটি ফোরটি ওয়ান’। বর্তমানে চলমান এই রূপকল্পের পশ্চাতে ক্রিয়াশীল রয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার দেখানো ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে’র স্বপ্ন। ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে’র স্বপ্ন-অভিযাত্রায় আমাদের উৎসাহ অন্তহীন। একটি ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে’র নাগরিকে পরিণত হওয়ার জন্য আমাদের স্বপ্ন দুর্বাররূপে কার্যকর আছে। শেখ হাসিনা আমাদেরকে স্বপ্ন দেখিয়ে আমাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য অন্তর্গতভাবে সক্রিয় করে তোলেছেন। দূরদৃষ্টি সম্পন্ন তার সকল দিগনির্দেশনা কিংবা রূপকল্প বাস্তবায়নে জননেত্রীর দেওয়া ফর্মুলা-মতো কাজ করলে ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে’র ঠিকানার সন্ধান পেতে আমাদেরকে ৪০৪১ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না একথা দৃঢ়তার সাথে বলা যায়। স্বপ্ন পূরণে মনোযোগ নিবড়ি হলে আমরা আমাদের লক্ষ্যবিন্দু স্পর্শ করতে সক্ষম হবো আরো দ্রুততম সময়ে। আর তা যখন সম্ভব হয়ে উঠবে তখন কেউ যদি বাঙালির দরিদ্র চেহারা দেখতে চায় তবে তাকে সত্যি সত্যিই ‘জাদুঘরে’ যেতে হবে। দরিদ্র বাঙালির সন্ধান করতে চাইলে হয়তো ঐতিহাসিক বা প্রত্নতাত্ত্বিক গভীর খননের আশ্রয়ও নিতে হতে পারে! এ আমাদের আবেগনির্ভর বক্তব্য হলেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাঙালির দারিদ্র অতীত হবে, বাঙালির অশিক্ষা অতীত হবে, পুষ্টির অভাব অতীত হবে, বাঙালির বাসস্থানের অভাব দূল হবে। যাবতীয় স্বাচ্ছন্দের আলিঙ্গনে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে এক উন্নত সমৃদ্ধ এবং মানবিক একটি রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্র বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই- বিকল্প নেই আওয়ামী লীগের মতো একটি সুসংগঠিত এবং ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলেরও।

কিন্তু স্বপ্নের মতো একটি দেশ গড়তে হলে কিংবা উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের বাস্তবায়ন দেখতে হলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। আমাদের বিবেচনায় এটিও খুব কঠিন কোনো কাজ নয়। নানা কারণে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের এই প্রত্যাশা দিন দিন গভীরতর হচ্ছে। বিশ্ব রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে জননেত্রীর অবস্থান, মানবতার পক্ষে তার আপোষহীন মনোভাব শেখ হাসিনাকে তামাম দুনিয়ার অবিসংবাদিত নেতায় উত্তীর্ণ করেছে। এছাড়া, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের নিরীহ মানুষকে হত্যা, খুন ও ধর্ষণের মতো অমানবিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অপরাধে যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাও জননেত্রী শেখ হাসিনার অনন্য রাজনৈতিক অবদান। মহান মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা শেখ হাসিনার এ অবদানের কথা কেমন করে ভুলে যাবেন? উল্লেখের কোনো অবকাশ নেই যে, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হলে এমন বীরত্বপূর্ণ ও নায়কোচিত ভূমিকা অন্য কারো পক্ষে পালন করা সম্ভবই হতো না। রাষ্ট্র-নায়কোচিত তার অসীম সাহস, দূর দৃষ্টি সম্পন্ন প্রজ্ঞা এবং নৈতিক মনেবলের জন্যই তিনি এমন অসাধ্য সাধন করতে সক্ষম হয়েছেন। একদিকে বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা ধরনের হুমকি এবং অপরদিকে বিএনপির আন্তর্জাতিক লবিস্টদের নানা অপতৎপরতা আর তদীয় দুষ্টচক্রের বশংবদ গণমাধ্যমের হুংকারজনিত চোখ রাঙানি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে টলাতে পারেনি বিন্দুমাত্র। শুধু তাই নয়- দেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নেও চোখ-ধাধানো সাফল্য-ধারা তিনিই সৃষ্টি করেছেন। তাই সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমাদের সহজ সরল প্রত্যাশা এই যে, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতার লাগামটি থাকুক। দায়িত্বশীল সহিসের ভূমিকা পালনের মধ্য দিয়ে তিনিই আমাদের পৌঁছে দিন উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের সিংহদ্বারে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের কাণ্ডারি বিশ্বনেতা ও বিশ্ব মানবতার জননী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই প্রত্যাশা আমাদের।

জননেত্রীর কাছে ব্যাপক ও বিপুল পরিমাণ প্রত্যাশা থাকলেও আমাদের মনে মাঝেমধ্যে কিছু আশংকাও উঁকি ঝুঁকি মারে! এই আশংকা সাধারণ মানুষের ভোট নিয়ে নয়- দুঃখজনক হলো আমাদের মনে এই আশংকা জাগ্রত হয় আওয়ামী লীগের ভেতরকার সাংগাঠনিক দুর্বলতা দেখে, কখনো কখনো কিছু কিছু নেতাকর্মীর কর্মকাণ্ড দেখে। আরো নির্দিষ্ট করে বললে বলতে হয় স্থানীয় পর্যায়ে কোথাও কোথাও দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের চেহারা দেখে আমরা শংকিত হয়ে উঠি। আবার শুধু কোন্দল বা সাংগাঠনিক দুর্বলতাই নয়- তার বাইরেও কিছু কিছু বিষয় আছে যা নির্বাচনকালে জনগণের ভোটে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে থাকে। এসবের মধ্যে অন্যতম সেবা- নাগরিক সেবা। আওয়ামী লীগের সরকার এদেশের জনগণকে সরাসরিভাবে উপভোগ্য কীরূপ সেবা নিশ্চিত করতে পেরেছে সে হিসেবটিও সাধারণ ভোটারদের বিবেচনায় ওঠে আসবে। বরাবরই সাধারণ ভোটার বা নির্বাচনী পরিভাষায় ফ্লোটিং ভোটার বা ‘ভাসমান’ ভোটাররা ভোটদানের পূর্বে বিগত বছরগুলোতে পাওয়া সরকারি সেবা তথা নাগরিক সুবিধাদির কথা বিবেচনায় রাখে। এটিই নিয়ম- সবসময়ই তা হয়ে থাকে। নাগরিক সুবিধার মধ্যে অন্যতম বাজার স্থিতিশীল রাখা- দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা।

কিন্তু আওয়ামী লীগের তৃতীয় মেয়াদের শেষার্ধে এসে আমরা বাজার ও দ্রব্যমূল্যের যে লাগামহীন অস্থিতিশীলতা দেখছি তাতে সরকার বা দলের গৃহীত পদক্ষেপ আমাদের আশান্বিত করতে পারেনি, আমাদের মনে হতাশা জন্মেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিও পশ্চাতে আড়াই বছরের করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রায় নয়মাসের যুদ্ধসহ বৈশ্বিক নানা পরিস্থিতির কথা বলা হলেও আমাদের অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সম্পর্কে কিছু বলা হয় না- শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও দৃষ্টিগোচর হয় না। বাজার ও দ্রব্যমূল্যের পরে যে বিষয়টি আমাদের তাড়া করে ফেরে তা হলো যোগাযোগ।

আমরা আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন দেখেছি। শুধু পদ্মা সেতুই নয়- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী বিভিন্ন বিভাগে একদিনে একসাথে ১০০টি সেতুও উদ্বোধন করেছেন। সম্প্রতি কর্ণফুলি নদীর গহ্বরে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ উদ্বোধনের ফলে নদীসমূহের এক পারের সাথে অপর পারের সহজ যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে মাইল ফলক উন্নয়ন সন্দেহ নেই। কিন্তু দেশের সড়ক পথের হাল অনেক স্থানেই করুণ। রাজধানীর ভেতরকার ট্রাফিক জামের কারণে একস্থান থেকে যেমন অন্যস্থানে যাতায়াত তথা যোগাযোগ এখন আর ঘড়ি ধরে সম্ভব হয় না। আবার, এই ট্রাফিক জামের পাশাপাশি রয়েছে রাস্তার বেহাল অবস্থা। রাজধানী সবার নজরে থাকার পরও নগরীর এই অবস্থা হলে রাজধানীর বাইরের সড়কপথের অবস্থা খুব ভালো হবে না তা বুঝা যায়। দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে যেসসব অঞ্চলে সড়কের মেরামত বা পুনর্নির্মাণ চলছে সেখানকার যাতায়াতের দুর্ভোগ যে কী পরিমাণ অমানবিক পর্যায়ের তা টঙ্গি থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত তাকালে বোঝা যায়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে স্বাভাবিক থাকলেও মাঝেমধ্যে গুম-খুনের ঘটনা সাধারণকে উদ্বিঘ্ন ও বিরক্ত করে তোলে। সামাজিক অপরাধের কৌশল ও সংখ্যা বৃদ্ধিও জনগণের মনে অস্বস্তির ছায়াপাত ঘটায়। আমাদের শংকা এই যে, সেই অস্বস্তির প্রকাশ নির্বাচনে ঘটে গেলে তা হবে জাতীয় প্রত্যাশার মূলে ছুরিকাঘাত! সুতরাং বিভিন্ন সেক্টরে বিচ্যুতি থাকলেও আগামী এক বছরের মধ্যে সরকারকে সব সমন্বয় করে ফেলতে হবে।

দলীয় বা ফ্লোটিং যে ধরনের ভোটারই হোক না কেন আগামী নির্বাচনে তারা কিছুটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় থাকবেন বলেই আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে। বিগত প্রায় চৌদ্দ বছরের শাসনকালে দলটি কতটুকু সাংগাঠনিক দক্ষতা অর্জন করেছে তার পরিচয়ও পাওয়া যাবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে। কিন্তু সে পরিচয়ের অভিজ্ঞতা যদি তিক্ত হয় তবে আমাদের স্বপ্ন, আশা আকাঙ্ক্ষা সবই ধুলিস্মাৎ হবে। এসব দুঃশ্চিন্তা আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীদের মধ্যে কতটুকু আছে, কিংবা আদৌ আছে কি না জানি না। তবে বিরাটসংখ্যক সাধারণ ভোটার তথা ফ্লোটিং ভোটারদের দুঃশ্চিন্তা আছে। বিগত বেশ কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনে ভোটারদেরকে নানা ভাবেই বিভ্রান্ত করেছেন সরকার দলীয় নেতা ও কর্মীরা। দলীয় কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে একই দল থেকে যখন বিদ্রোহী কেউ প্রার্থী হয়েছেন স্বাভাবিকভাবেই সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটের দ্বিধাবিভক্তি ঘটেছে। অনেক সময় দেখেছি সাধারণ ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যাওয়া থেকে নিজেদেরকে বিরতও রেখেছেন। ফলে, অনেক এলাকায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে একেবারেই নিঃষ্প্রাণভাবে। আবার, দুঃখজনক যে, এরকম বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হার মেনে পরাজয় বরণ করে নিতে হয়েছে সরকার সমর্থিত প্রার্থীদের। এতে সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং একইভাবে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ কিছুটা হলেও সাধারণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আবার এমন কথাও বাজারে চালু আছে যে, সাধারণ মানুষ কখনো খুশি হয়ে বিএনপিকে ভোট দেয় না- তারা আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মীর ওপর বিরক্ত হয়ে বিএনপি বা অন্যত্র ভোট প্রদান করে। অতএব আওয়ামী লীগ যদি নিজে সংগঠিত ও সুশৃঙ্খল থাকতে পারে তবে আগামী নির্বাচনেও তার কোনো আশংকা থাকবার কথা নয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ কী উপায়ে দলের কোন্দল মিটাবে, কীভাবেই বা দ্রব্যমূল্য ও বাজারসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে তা আমরা জানি না। শুধু জানি স্বল্পতম সময়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং যোগাযোগের দুর্ভোগ কমিয়ে সাধারণের মন থেকে অস্বস্তিবোধের প্রশমন করতে হবে। আরো জানি যে, আগামী নির্বাচনে ভোট দেওয়া-নেওয়ার ক্ষেত্রে এসব অংকই সাধারণের মাথায় থাকবে। আওয়ামী লীগ তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে সরল, জটিল সব অংকের সহজ মীমাংসার মাধ্যমে জনপ্রিয়তায় আবারো ভূমিধ্বস বিজয় অর্জন করে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের পানে এগিয়ে যাবো- তার কাছেই আমাদের এই প্রত্যাশা।

লেখক : ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম – অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ