1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পাকিস্তানের মাদ্রাসায় শিশুদের উপরে ভয়াবহ যৌন নির্যাতন চলছে

অনলাইন ডেস্ক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
প্রথমে হাতে দেওয়া হত মিষ্টি, পকেট মানি। মাদ্রাসার শিক্ষকদের নজরে পড়লে শুরুটা এভাবেই হত।
আর তারপরের অভিজ্ঞতাটা ভয়ঙ্কর। প্রথমে হেনস্থা, তারপর ধর্ষণ। এমনই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের এক অর্থনীতিবিদ। মাদ্রাসায় পড়াকালীন এভাবেই কেটেছে তাঁর। সম্প্রতি পাকিস্তানের মাদ্রাসায় যৌন নির্যাতন নিয়ে ‘অ্যাসোসিয়েট প্রেস’ (AP)-তে একটি লেখা প্রকাশিত হয়। আর সেই লেখা পড়ে রীতিমত চমকে যান তিনি। এ যেন তাঁরই কথা।
এপি-র ওই রিপোর্ট পড়ার পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২৮ বছরের ওই পাকিস্তানি জানিয়েছেন, ‘আজও মনে পড়লে শিউরে উঠি, কীভাবে আমাকে ধর্ষণ করার পর গোসল করে নামাজ পড়তে চলে যেতেন। কিছুদিন পর আমার তিন-চারজন সহপাঠীকে জিজ্ঞেস করে জেনেছিলাম, তাদেরকেও একইভাবে ধর্ষণ করে মুফতি।
’ 
তিনি জানিয়েছেন, কিভাবে মাদ্রাসার সঙ্গে যুক্ত নয় এমন মসজিদে নিয়ে গিয়ে তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালানো হত। বছরের পর বছর এভাবেই কেটেছে তাঁর।
তিনি জানান, এপি-র ওই রিপোর্ট দু বার পড়েন তিনি। ওই রিপোর্টে লেখা হয়েছে কিভাবে পাকিস্তানের হাজার হাজার মাদ্রাসায় এইভাবে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। আর এই অভিজ্ঞতার কথা জানাতে তাঁর ২০ বছর লাগল কারণ, তিনি ভয় পেতেন, একথা বললে হয়ত ওই ধর্মগুরুরা তাঁকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অত্যাচার করতেন।
এই রিপোর্ট পড়ার পর তিনি তাঁর প্রাক্তন সহপাঠীদের অনুরোধ করেন, যাতে সবাই এই ইস্যুতে পথে নেমে প্রতিবাদ জানান। কিন্তু, সবাই তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছে। অনেকেই বলেছে, ‘চুপ করো! এসব নিয়ে কোনও আলোচনা নয়। এগুলো তো খুব সাধারণ ঘটনা। ’
পাকিস্তান জুড়ে অন্তত ২২০০০ অনুমোদিত মাদ্রাসা রয়েছে, আর কয়েক হাজার মাদ্রাসা রয়েছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। কোথাও কোথাও বিনা পয়সায় খাবারও পায় ছাত্ররা। তবে এই ব্যক্তি কিন্তু কোনও প্রত্যন্ত এলাকায় নয়, ইসলামাবাদের এক বড় মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন তিনি। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সেখানে পড়াশোনা করতে আসতেন ছাত্ররা।
পাকিস্তানি সাংবাদিক তাহা সিদ্দিকি জানান, দেশের কোনও সংবাদমাধ্যমে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এপি-র রিপোর্টটি শেয়ার হয়েছে, কিন্তু কোনও পাক সংবাদমাধ্যম এনিয়ে কথা বলেনি। কারণ, যৌন নির্যাতন হলেও যৌনতা বিষয়টাই নিষিদ্ধ এদেশে। তাই এই ধরনের বিষয় সাধারণত কোনও জায়গা পায় না সংবাদপত্রে বা টেলিভিশনে।
 
সূত্রঃ দৈনিক কালের কন্ঠ 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ