অনলাইন ডেস্কঃ
তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এক ব্লগারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম আসাদুজ্জামান নূর ওরফে আসাদ নূর। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, আসাদ নূরের বিরুদ্ধে এ বছরের ১১ জানুয়ারি বরগুনার আমতলী থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা (নম্বর ১৪) দায়ের করা হয়। মামলার বাদী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমতলী শাখার সভাপতি মুফতি ওমর ফারুক। মামলায় আসাদের বিরুদ্ধে মহানবী হজরত মুহম্মদের (সা.) বিরুদ্ধে কটূক্তির অভিযোগ আনা হয়েছে। ঢাকার ইমিগ্রেশন পুলিশ ও আমতলী থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বরগুনার আমতলী থানার ওসি শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘ব্লগার আসাদ নূর ও তার এক সহযোগী লিমন ফকিরের বিরুদ্ধে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে মামলা হয়েছিল। মামলার পরপরই লিমন ফকিরকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু আসাদ নূর পলাতক ছিলেন। সোমবার তিনি বিমানবন্দর দিয়ে নেপালে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। আমাদের টিম তাকে আনার জন্য ঢাকায় রওয়ানা হয়েছে।’
ওসি বলেন, ‘এর আগে আসাদ নূর কিছু দিন ভারতে গিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। আমরা তার বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশকে জানিয়ে রেখেছিলাম।’
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, আসাদ নূর নেপালের কাঠমাণ্ডু যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চ্যানেল পার হচ্ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই রেড নোটিশ থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আমতলী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মাধব চন্দ্র দে বলেন, ‘আসাদ নূরের বাড়ি আমতলীর উত্তর টিয়াখালী। তার বাবার নাম তোফাজ্জল হোসেন।’
উল্লেখ্য, ব্লগার হিসেবে পরিচিত হলেও এই আসাদ নূর মূলতঃ ফেসবুকে ভিডিও আপলোড দিতেন। গতবছর তিনি একটি ভিডিওতে পবিত্র কোরান শরীফের উপরে মলমূত্র ত্যাগের ঘোষণা দিলে দেশব্যাপী তুমুল উত্তেজনা দেখা দেয়। তাঁর ফাঁসির দাবীতে মিছিল মিটিং পর্যন্ত হয়। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার গ্রাঊণ্ডে মামলা দায়ের করা হয় ৫৭ ধারায়। সেই মামলার পলাতক আসামী হিসেবেই গ্রেপ্তার হন আসাদ।