‘হোম অফ ক্রিকেট’ নামে পরিচিত শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান চলমান সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে দেখা যায়নি কোনো বাংলাদেশি পাকিস্তানি সমর্থককে।
এদিন বাংলাদেশের কেউ পাকিস্তানি পতাকা নিয়ে এলে বা জার্সি পরলে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছিল ‘পাকিস্তানি দালাল রুখবে তারুণ্য’ নামের একটি সংগঠন। এর আগেও তারা ঢাকায় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে অবস্থান নিয়েছিল।
সংগঠনটির আহ্বায়ক হামজা রহমান অন্তরের নেতৃত্বে শনিবার সকাল ১০টা থেকে জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইরে অবস্থান নেয় তারা। ব্যানার হাতে অবস্থান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে নারকীয় জেনোসাইডের জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায়।
হামজা রহমান অন্তর জানান, তারা বিকেল ৫টা পর্যন্ত মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানি জার্সি ও পতাকাবাহীদের প্রতিহত করবেন।
অন্তর বলেন, ‘তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ও প্রথম টেস্টে সফল কর্মসূচির পর আজ মিরপুর মাঠে একজন বাংলাদেশি পাকিস্তান সমর্থকও পাকিস্তানের জার্সি-পতাকা নিয়ে আসেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, মহান বিজয়ের মাসে এটি একটি অর্জন। যেহেতু আমাদের বার্তাটা তাদের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি।’
তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়ায় সবার প্রতি শুভেচ্ছাও জানিয়েছে তারা।
তবে পাকিস্তানের কোনো নাগরিক তার নিজ দেশের সমর্থনে মাঠে আসলে কোনো ধরনের বাধা দেবেন না বলে জানিয়েছে ‘পাকিস্তানি দালাল রুখবে তারুণ্য’।
অন্তর বলেন, ‘বাংলাদেশে এসে অবশ্যই তারা তাদের নিজ পতাকা, জার্সি পরতে পারে। আমরা শুধু বাংলাদেশের নাগরিকদের পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বনের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধের বিপক্ষে।’
মাঠের চিত্র দেখে আপাতত কর্মসূচি স্থগিত করেছেন সংগঠনটি। তবে গ্যালারিতে নজর রাখবে তারা।
হামজা বলেন, ‘যদি পাকিস্তানের বাংলাদেশি সমর্থকদের আস্ফালন চোখে পড়ে তবে আমরা আবার মাঠে ফিরে আসব।’