পরিবেশ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে বাংলাদেশের জন্য ২৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই অর্থায়ন বাংলাদেশকে পরিবেশ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের পরিবেশ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী এবং সবুজ বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে এই অর্থায়ন অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পে এই ঋণ ব্যবহার করা হবে। দূষণ রোধে এবং পরিবেশগত মান উন্নত করতে পরিবেশগত বিধিবিধান এবং প্রয়োগের উন্নতিতেও প্রকল্পটি সহায়তা করবে। প্রকল্পের লক্ষ্যবস্তু সবুজ বিনিয়োগ উন্নীত করার জন্য নতুন অর্থায়নের পথ সৃষ্টি। এটি বায়ুদূষণ কমাতে সবুজ বিনিয়োগকে সমর্থনে আর্থিক খাতকে উৎসাহিত করার জন্য একটি গ্রিন ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমও প্রতিষ্ঠা করবে। প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন দূষণ মোকাবিলায় সাহায্য করবে। বৃহত্তর ঢাকা এবং তার বাইরে বসবাসকারী ২১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
বাংলাদেশ ও ভুটানের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান চেন বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। পাশাপাশি নগরায়ণের ফলে দূষণের সৃষ্টি হচ্ছে। দূষণ শুধু যে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে তা নয়, এটি দেশের অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার ক্ষমতাও নষ্ট করছে। পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অংশীদার। এই প্রকল্প দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য দেশের পরিবেশ সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী করবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বার্ষিক প্রায় ৪৬ হাজার যানবাহন পরিদর্শনের জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে চারটি যানবাহন পরিদর্শনকেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করবে। বার্ষিক সাড়ে তিন মেট্রিক টন ই-বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করার জন্য একটি ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটির লক্ষ্য এক মিলিয়ন টন গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন কমাতে সহায়তা করা। পরিবেশগত বিধিবিধান এবং কঠোর পরিবেশগত প্রয়োগ বেসরকারি খাতকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং সবুজ বাড়াতে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করবে প্রকল্পটি। দেশকে ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-শূন্য নির্গমনের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশকে এই ঋণ বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে দেওয়া হবে। যা পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। প্রচলিত ঋণের শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।