1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

স্বাধীন দেশের গান ও আমাদের অঙ্গীকার

অধ্যাপক ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২

‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম/ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে শুরু হয়েছিল বাঙালির স্বাধীনতার সংগ্রাম। তাঁর এই আহ্বানের সুর বাঙালিচিত্তকে মথিত করেছে। তাই মাতৃভূমি রক্ষার জন্য সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এদেশের আপামর মেহনতি মানুষ। বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে ছিল বাঙালির শাশ্বত সঙ্গীতের মতোই অনবার্য। স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল দেশমার্তৃকা রক্ষার সংগ্রাম- মাতৃভূমি রক্ষার সংগ্রাম, অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম। আগ্রাসী ও আক্রমণকারীর কবল থেকে নিজ নিজ অঞ্চল, জন্মভূমি তথা মাতৃভূমি রক্ষার সংগ্রাম, দূরাগত শক্তির অধীনস্থতা থেকে মাতৃভূমির মর্যাদা রক্ষার সংগ্রাম বহু প্রাচীন এক মানবিক সংবদ্ধতার দৃষ্টান্ত।

জন্মস্থান, জন্মভূমি, মাতৃভূমি, দেশ বা রাষ্ট্র প্রভৃতি শব্দগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক নানা প্রপঞ্চ যুক্ত থাকলেও এর সাথে মানুষের মানবীয় আবেগের সম্পর্কও অনেক গভীর। সুপ্রাচীনকাল থেকে জন্মস্থান বা জন্মভূমিকে মাতৃতুল্য রূপেই কল্পনা করা হতো। তাই প্রাচীনকালের শিল্পসাহিত্যে দেখা যায় এই অঞ্চলে বহুল প্রচলিত কাব্যের ভেতর স্থান করে নিয়েছে : ‘জননী, জন্মভূমি- স্বর্গাদপি গরিয়সী’ আপ্তবাক্য। এককথায়- জন্মভূমি ও জননীকে সমান্তারালভাবে প্রতিস্থাপন করে চিন্তার প্রকাশ বোধ করি সভ্যতার শুরু থেকেই। প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাঙালি কবিরাও জন্মভূমির প্রতি এরূপই মহান চিন্তার অনুগামী ছিলেন। তারা তাদের কাব্যকীর্তির ভেতর দিয়ে সেই আবেগের প্রকাশই মূর্ত করেছেন। জননীর বন্দনা যেমন কাব্যসাহিত্যে করেছেন তেমনই বন্দনা করেছেন মাতৃভূমির- বন্দনা করেছেন মাতৃভাষারও।
শুধু প্রচীন বা মধ্যযুগেই নয়- আধুনিককালেও এর ব্যত্যয় দেখা যায় না। অর্থাৎ যুগ যুগ ধরে কবিসাহিত্যিকগণ তাদের সাহিত্যচর্চায় মাতৃভূমি, মাতৃভাষা এবং মাকে আরাধ্য ভেবেছেন।

মধ্যযুগের কবি আবদুল হেকিম মাতৃভাষা নিয়ে ব্যক্ত করেছেন তার গভীর আবেগ ও দেশপ্রেমের অনুরাগ। তার বিখ্যাত চরণ : ‘যে জন বঙ্গে ত জন্মে হিংসে বঙ্গবাণী/ সেজন কাহার সৃজন নির্ণয় ন জানি।’ আবার আধুনিক যুগের সূচনায় ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যে মাইকেল মধুসূদন দত্ত কী অপূর্ব দৃঢ়তার সাথে উচ্চারণ করেছিলেন : ‘জন্মভূমি রক্ষা হেতু কে ডরে মরিতে?/ যে ডরে ভীরু সে, শত ধিক তারে।’ আবার, রবীন্দ্রনাথের অজস্র গান ও কবিতায় জন্মভূমির প্রতি আকণ্ঠ নিবেদন দেখতে পাই।
স্বদেশি আন্দোলন ও বঙ্গভঙ্গ বিপর্যয়ের কাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের বাঙালির মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ বাঙালিকে শাশ্বত পথের নির্দেশনা দিয়েছেন তার কবিতা ও গানের মধ্য দিয়ে। তার দর্শনচিন্তার মধ্য দিয়ে বাঙালিকে যে কোন বিপর্যয়ের কালে সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত রবীন্দ্রনাথের বহুসংখ্যক গানে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা প্রেরণা লাভ করেছেন, সশস্ত্র যুদ্ধে নিজেদের নিবেদন করতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। রবীন্দ্রাথের এরকম অনেক গানের একটি : ‘ও আমার দেশের মাটি, তোমার পরে ঠেকাই মাথা/ […] তোমাতে বিশ্বময়ীর, তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচলপাতা।’ এই গানের মধ্যেও তিনি জন্মভূমি তথা দেশকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করেছেন। গানে আছে : ‘ওগো মা, তোমার কোলে জনম আমার, মারণ তোমার বুকে।’ বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গানও দেশকে মায়ের সাথে তুলনা করে গীত হয়েছে : ‘মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মত।’ আবার, ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি/ তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী।’ সর্বোপরি, রবীন্দ্রনাথ কায়মনে প্রার্থনা করেছেন বাঙালির জন্য। যেমনটি এই গানে ব্যক্ত : ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু বাংলার ফল/ পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান/ […] বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন-/ এক হউক, এক হউক, এক হউক হে ভগবান।’ রবীন্দ্রনাথের এরকম অনেক গান ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধকে ত্বরান্বিত করেছে। আর বঙ্গবন্ধু তো রবীন্দ্রনাথেরই ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটিকে দিয়েছেন জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা।

রবীন্দ্রনথের সমকালে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ও দেশমার্তৃকার প্রতি গভীরতম মমতায় রচনা করেন : ‘ধনধান্যপুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা/ তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা/ ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা/ […] ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি/ সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি, সে আমার জন্মভূমি, সে আমার জন্মভূমি।’ এই গানের ভেতর আছে মমতাময় মানবিক সম্পর্কের গভীর আবেগের কথা : ‘ভাইয়ের মায়ের এত স্নেহ, কোথায় গেলে পাবে কেহ / ও মা তোমার চরণ দুটি বক্ষে আমার ধরি/ আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতে মরি।’

রবীন্দ্রনাথ ও দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের মতো বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামেরও অসংখ্য গান এবং কবিতা মুক্তিযোদ্ধাদের সহাস যুগিয়েছে, প্রেরণা যুগিয়েছে। দেশমার্তৃকার স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গ করতে তরুণচিত্তকে করেছে দ্বিধাহীন। নজরুল ইসলামও দেশমার্তৃকার বিচিত্র রূপ কল্পনায় রচনা করেছেন অনেক গান। তারই একটি এরূপ : ‘একি অপরূপ রূপে মা তোমায় হেরিনু পল্লি জননী/ ফুলে ও ফসলে কাদামাটি জলে ঝলমল করে অবণী/’ কিংবা : ‘ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি আমার দেশের মাটি’ এরকম আরো কত গান! আর ‘দুর্গমগিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার’ গানটিও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বাজানো হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা সঞ্চার করতে।

পূর্বসূরী কবি ও গীতিকারদের পথ অনুসরণ করে যুদ্ধ চলাকালে অনেক কবি ও গীতিকার মুক্তিযুদ্ধ, মাতৃভূমি ও দেশপ্রেমের নানা মাত্রিক রূপ কল্পনার আশ্রয়ে অজস্র গান রচনা করেছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধের প্রত্যক্ষ আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ এবং যুদ্ধের পক্ষে মনোবল দৃঢ়তর করার অভিপ্রায়ে রচিত হয়েছে সঙ্গীত। এসব সঙ্গীতও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতি মনোনিবেশ এবং প্রয়োজনে আত্মোৎসর্গে উদ্বুদ্ধ করেছে। এরকম বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয় একটি গান : ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি/ মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি।’ এই গানে একই সাথে যুদ্ধ আবার তার বিপরীতে চমৎকারভাবে বিশ্বশান্তির কথাও ব্যক্ত হয়েছে। গীত রচয়িতার অসামান্য নৈপুণ্য প্রকাশ পায় যখন তার এই গানেই ব্যক্ত হয়ে ওঠে : ‘মোরা সারা বিশ্বের শান্তি বাঁচাতে আজকে লড়ি।’ এসময় রচিত হয়েছে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’/ হবে হবে হবে নিশ্চয়/ কোটি প্রাণ একসাথে জেগেছে অন্ধরাতে/ নতুন সূর্য উঠার এই তো সময়।’ এই গানের মধ্যে ঘোষণা করা এরূপ উদ্দীপনা : ‘আর নয়/ তিলে তিলে বাঙালির এই পরাজয়।’ আবার মুক্তিযোদ্ধাদের মনে সাহস সঞ্চারের জন্য রচিত হয়েছে : ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে/ রক্ত লাল রক্ত লাল রক্ত লাল/ জোয়ার এসেছে জনসমুদ্রে রক্ত লাল, রক্ত লাল রক্ত লাল/ […] শোষণের দিন শেষ হয়ে আসে/ অত্যাচারীরা কাঁপে আজ ত্রাসে/ রক্তে আগুন প্রতিরোধ গড়ে/ নয়া বাংলার নয়া সকাল।’

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আরেকটি গানের কথা আমরা জানি। এ গানটিও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছে বারবার। মুক্তিযোদ্ধারাও সম্মুখ সমরে বিভিন্ন সময়ে নিজেরাও গেয়েছেন, উৎসাহিত হয়েছেন। এই গানেও দেশকে মায়ের সমান্তরালেই প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। গানের বাণীগুলো এরূপ : ‘মা গো ভাবনা কেন/ আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে/ তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি/ তোমার ভয় নেই মা/ আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।’ এই গানেই বলা হয়েছে : ‘আমরা হারবো না হারবো না/ তোমার মাটির একটি কণাও ছাড়বো না।’ কী দৃঢ় প্রত্যয় মুক্তিযোদ্ধাদের! এসব সঙ্গীতে উদ্বেলিত না হয়ে পারা যায় না! এসব গানকেই স্বাধীনতা সংগ্রামরত মুক্তি সেনারা জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।

আবার যুদ্ধ শেষে যুদ্ধের ঘটনার বিবরণ ও দেশের জন্য আত্মোৎস্বর্গকারী শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি নিবেদনমূলক গানও রচিত হয়েছে। যে গান শুনলে যে কোন মানুষই মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক পটভূমি সম্পর্কে জানতে পারবে। এই গান যেন তিরিশ লাখ শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যেই নিবেদিত : ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে/ বাংলার আকাশে রক্তিম সূর্য আনলে যারা/ তোমাদের এই ঋণ কোনদিন শোধ হবে না।/ না না না শোধ হবে না।/ মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সাত কোটি মানুষের/ জীবনের সন্ধান আনলে যারা সে দানের মহিমা/ কোনদিন ম্লান হবে না/ না না না ম্লান হবে না।’ আবার নিয়তির অমোঘ এক আশংকাজাত ভবিষ্যদ্বাণীর উচ্চারণও শুনি এই গানেই : ‘হয়তো বা ইতিহাসে তোমাদের নাম লেখা রবে না/ বড় বড় লোকেদের ভীড়ে/ জ্ঞানী আর গুণীদের আসরে/ তোমাদের কথা কেউ কবে না।’ শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করে রচিত : ‘যে মাটির বুকে/ ঘুমিয়ে আছে লক্ষ মুক্তি সেনা/ দে না তোরা দে না/ সে মাটি আমার অঙ্গে মাখিয়ে দে না।’ এই গানেই আছে : ‘সে মাটি ছেড়ে অন্য কোথাও / যেতে বলিস না/ দে না তোরা দে না/ সে মাটি আমার অঙ্গে মাখিয়ে দে না/ রক্তে যাদের জেগেছিল/ স্বাধীনতার নিশা/ জীবন দিয়ে রেখে গেছে/ মুক্তপথের দিশা/ সে পথ ছেড়ে ভিন্ন পথে যেতে বলিস না/ দে না তোরা দে না/ সে মাটি আমার অঙ্গে মাখিয়ে দে না।’

বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে, বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, সর্বোপরি স্বাধীন দেশ সম্পর্কে মানুষের বিচিত্র আশা-আকাঙ্ক্ষার আশ্রয়ে রচিত হয়েছে অজস্র গান। এসব গানে আমাদের স্বাধীনতার আস্বাদ যেমন প্রিয়তর হয়ে ওঠে তেমনি এসব গানের অভ্যন্তরীণ সুর-মাধুর্য মাতৃভূমির প্রতি আমাদের সকল ধরনের নিবেদনকেও পবিত্রতর করে তোলে। আমরা যখন মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কাছে অবনমিত হই, আমরা যখন স্বাধীন ও সার্বভৌম এই রাষ্ট্রটির জন্য গর্ব অনুভব করি, আমাদের সমগ্র চিত্ত যখন দেশমাতৃকার জন্য উদ্বেল হয়ে ওঠে তখন কি আর কোনোভাবেই স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির সঙ্গে কোনোরূপ সম্পর্কেও বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারি? পারি না। আমরা কখনোই জামায়াত-শিবিরের মতো স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রচনা করতে পারি না। আমরা সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি না মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, বাঙালির স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা জাতির পিতা হিসেবে স্বীকার করতে চায় না। আমরা তাদের সাথে কোনো সম্পর্কই করতে চাই না যারা মুক্তিযুদ্ধের অমিত স্লোগান জয় বাংলাকে স্বীকার করে না। যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে, যারা শহিদ বুদ্ধিজীবিদের নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক ও তির্যক মন্তব্য করে তাদের সঙ্গে প্রকৃত স্বাধীনতায় বিশ্বাসীরা কোন বিবেচনায় এক টেবিলে বসবে? কোন বিবেচনায় আন্তরিক সম্পর্কেও সেতুবন্ধ রচনা করবে?

স্বদেশ, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সঙ্গীতের মূর্ছনা আমাদের অন্তরকে মথিত করে বলেই স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির কোনো ষড়যন্ত্রে নিজেদেরকে জড়িয়ে ফেলবো না- সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই সবাইকে সচেতন হতে হবে।

লেখক : ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম – অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ