1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ছাত্রলীগের সম্মেলন: নেতৃত্ব বাছাইয়ে ‘শর্ট লিস্ট ও গোয়েন্দা জরিপ’

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২

প্রায় সাড়ে চার বছর পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন হতে যাচ্ছে আজ মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর)। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব কারা পাচ্ছেন, তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। বিভিন্ন সূত্র বলছে, এই চার পদে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন এক ডজন প্রার্থী।

একাধিক সূত্রমতে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই পদ চারটিতে এবারের সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের ‘শর্ট লিস্ট’ তৈরি করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতারা। পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে কাদের অবস্থান সবচেয়ে ভালো, সেটি জানতে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা জরিপও চালাচ্ছে।

শর্ট লিস্ট তৈরিতে থাকা আওয়ামী লীগের চার নেতা হলেন— প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও বি এম মোজাম্মেল হক। তাদের মধ্যে প্রথম দুইজন ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নিয়ে কথা বলতে সোমবার রাত ৮টার দিকে গণভবনে যান বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে।

ওই চার নেতার একজন এবং গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র বলছে, গুরুত্বপূর্ণ এই চার পদে প্রার্থী তালিকা দীর্ঘ হলেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এক ডজন পদপ্রত্যাশীর নাম রয়েছে। এটি শর্ট লিস্ট না হলেও এদের মধ্য থেকেই আসতে পারে ছাত্রলীগের আগামীর নতুন নেতৃত্ব। এ জন্য গোয়েন্দা জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতেও আলাদা তালিকা হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের আরেক নেতা জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্রলীগের এবারের নতুন নেতৃত্ব বাছাই করা হবে। নির্ধারিত সময়ের আড়াই বছর পর এই সম্মেলন হওয়ায় ভালো নেতৃত্ব নির্বাচনে বয়সসীমায় এক বছর ছাড় দেওয়া হতে পারে। তবে ছাত্রলীগের ভবিষ্যৎ কান্ডারী নির্বাচনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন সংগঠনটির অভিভাবক আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তার হাতেই আমরা একটি শর্ট লিস্ট তুলে দেবো। এছাড়াও গোয়েন্দা জরিপের ফলাফল তো আছেই।

জানা যায়, ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থিতার ফরম জমা দিয়েছেন মোট ২৫৪ জন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৯৬ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৮ জন রয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এই শীর্ষ দুই পদেও পদপ্রত্যাশীর সংখ্যা তিন শতাধিক বলে জানা গেছে। দুই কমিটির ক্ষেত্রেই উভয়পদে ফরম জমা দেওয়া নেতাদের সংখ্যাও কম নয়।

আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও গোয়েন্দা জরিপের তথ্য অনুযায়ী, পদপ্রত্যাশী সক্রিয় নেতাদের মধ্যে জোর আলোচনায় আছে একডজন জন। তারা হলেন- ঢাবি ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক এজিএস সাদ্দাম হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান রাকিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাহসান আহমেদ রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, বরিকুল ইসলাম বাঁধন, সাংঠনিক সম্পাদক ও ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, আইন সম্পাদক ফুয়াদ হাসান শাহাদাত, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান সানি,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক হামজা রহমান অন্তর, মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহিন, সমাজসেবা উপ-সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ-সম্পাদক সবুর খান কলিন্স, জিয়া হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হোসেন শান্ত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচনে সাহসী নেতৃত্ব, সততা, ছাত্রত্ব, মেধা, দক্ষতা, নেতৃত্বের সক্ষমতা, বিতর্কমুক্ত থাকাসহ নানা বিষয় বিবেচনা করা হয়। মূলত একটি বৃহৎ ও আদর্শিক ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নেতৃত্ব নির্বাচন সেরাদের সেরা বেছে নিতে হয়। আলোচনায় অনেকেই থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে নেতৃত্বে কারা আসছেন, সেটি দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে কমিটি ঘোষণার আগপর্যন্ত।

এদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদেরও বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।

প্রসঙ্গত, প্রথমে এই সম্মেলনের জন্য ৩ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তা স্থগিত করা হয়। সে সময় সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছিল, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে জাপান সফরের যাওয়ার কথা ছিল, যদিও পরে বাতিল করা হয়েছে। সেই সফর থেকে প্রধানমন্ত্রীর ফেরার কথা ছিল ৩ ডিসেম্বর। আর সে কারণেই ছাত্রলীগের সম্মেলন ৩ ডিসেম্বরের বদলে ওই মাসের অন্য কোনও দিন নির্ধারণের নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি।

পরে নতুন করে ৮ ও ৯ ডিসেম্বর সম্মেলনের আয়োজনের কথাও জানানো হয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে। গত ২০ নভেম্বর ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনির সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, ৮ ডিসেম্বর সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। আগের সিদ্ধান্ত থেকে দুই দিন এগিয়ে ৬ ডিসেম্বর সম্মেলনের নতুন তারিখের কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের মে মাসে। ওই বছরের জুলাইয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানী দায়িত্ব পান। তারা পদ হারালে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সভাপতি পদে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক পদে লেখক ভট্টাচার্য আসেন। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ‘ভারমুক্ত’ হন তারা।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ