1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বাস সার্ভিসে স্বস্তি, বাড়ছে যাত্রী সংখ্যা

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

রাজধানীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যেখানে যানজটে বসে থাকতে হয়, সেখানে মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। যানজটের এই শহরে যেন একটুখানি প্রশান্তি এনে দিয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। তবে উদ্বোধনের পর থেকে এই সুবিধা সীমিত ছিল শুধু ব্যক্তিগত গাড়িতেই। এ নিয়ে আক্ষেপও ছিল উত্তরা-ফার্মগেট এলাকায় যাতায়াতকারীদের। অবশেষে সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে গত পাঁচ দিন ধরে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলছে বিআরটিসির বাস সার্ভিস।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর চালু হওয়ার প্রথম দিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রী চলাচল করেছেন বিআরটিসির বাস সার্ভিসে। প্রতিদিনই এ সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে নিয়মিত যাতায়াত করা যাত্রীর সংখ্যাও, এই শাটল বাস সার্ভিসে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন তারা।

শনিবার বিকালে রাজধানীর খামারবাড়ী প্রান্তে খেজুর বাগান অংশে বিআরটিসির বাস সার্ভিসের টিকিট কাউন্টারে ঘুরে যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। তাদের অনেকেই প্রথমবারের মতো এসেছেন অভিজ্ঞতা নিতে। আবার নিয়মিত যাতায়াত করা যাত্রীর সংখ্যাও কম নয়।

কাউন্টারে থাকা টিকিট বিক্রেতারা বলেন, প্রতিদিনই যাত্রীসংখ্যা বাড়ছে। অধিকাংশ চাকরিজীবী যাত্রীরা এই সেবায় নিয়মিত হচ্ছেন।

তারা বলেন, শুরুতে আটটি বাস দিয়ে চলাচল করলেও পাঁচ দিনের মাথায় সেই সংখ্যা বেড়ে ১৩টি হয়েছে। ১০ মিনিট পরপর বাসগুলো ছেড়ে যায়। প্রতিটি বাসই দৈনিক গড়ে ছয়টি করে ট্রিপ দেয় (আসা–যাওয়া)।

রাতে যতক্ষণ পর্যন্ত যাত্রী পাওয়া যাবে, ততক্ষণই পর্যন্তই বিআরটিসির বাস চলাচলের কথা থাকলেও আপাতত রাত ৯টা পর্যন্ত এই সার্ভিস চালু রেখেছেন বলেও জানান তারা।

এদিকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিআরটিসির বাস সার্ভিসে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তারা বলেন, ২০ থেকে ৩০ মিনিটে ফার্মগেট থেকে উত্তরা জসীমউদ্দীন পৌঁছানো এক অসম্ভব বিষয়। সেই অসম্ভব বিষয়টিকে সম্ভব করেছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। আর বিআরটিসির বাস রাজধানীর অন্য বেসরকারি বাসের চেয়ে তুলনামূলক যাত্রীবান্ধব। এছাড়া এই রুটের বিআরটিসির বাস সার্ভিসের ব্যবস্থাপনাও ভালো। এরকম ব্যবস্থাপনা রাজধানীর অন্যান্য রুটের বাসেও পাওয়ার প্রত্যাশা করেন যাত্রীরা।

মামুন হায়দার নামে এক চাকরিজীবী যাত্রী বলেন, গত তিন দিন ধরে এই বাস সার্ভিস ব্যবহার করছি। অফিস শাহাবাগ হলেও কষ্ট করে খেজুর বাগান এসে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে করে বাড়ি ফিরি। জ্যাম না থাকলে ২০ মিনিটেই এয়ারপোর্ট চলে যাই। আর জ্যাম থাকলে ৩০-৩৫ মিনিট লাগে। তাতেও সমস্যা নেই। অন্যান্য বাসে গেলে সন্ধ্যার দিকে প্রায় দুই-আড়াই ঘণ্টা সময় লেগে যায়।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জার্নিটা চমৎকার মন্তব্য করে আরেক যাত্রী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী টুটুল বলেন, ‘প্রথমদিন চড়েছিলাম, আজ আবার যাবো। এদিকে নিয়মিত কাজ থাকলে প্রতিদিনই এক্সপ্রেসওয়েতেই আসতাম। চমৎকার জার্নি। আর বিআরটিসির দোতলা বাস অন্য যেকোনও বাসের চেয়ে ভালো। এই বাসে করে যাতায়াতে একটি স্বস্তি পাওয়া যায়। ওঠা নামায় কোনও হুড়োহুড়ি নেই, সুন্দর ব্যবস্থা।

উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ বিমানবন্দরে এলাকার কাওলা থেকে ফার্মগেট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরদিন থেকেই মোটর সাইকেল ও তিন চাকার যানবাহান ছাড়া অন্যান্য সব যানবাহানের জন্য খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) সাধারণ যাত্রীদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করে।

আপাতত বাসগুলো খামারবাড়ী খেজুর বাগান এলাকা থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয় ব্যবহার করে উত্তরার জসীমউদ্দীন পর্যন্ত যাবে। মাঝে বিমানবন্দরে একটি স্টপিজ রয়েছে। আবার একই পথ ধরে খামারবাড়ী ফিরে আসবে। সকাল ৭টা থেকে রাত যতক্ষণ যাত্রী পাওয়া যাবে, ততক্ষণই পর্যন্ত বিআরটিসির বাস চলাচলের কথা রয়েছে। এই পথে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে খামারবাড়ি–বিমানবন্দর ৩৫ টাকা ও খামারবাড়ি-উত্তরার জসীমউদ্দীন পর্যন্ত ৪০ টাকা।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ