1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

অনাবাদি জমিতে সরিষা চাষে মিলছে সুফল

খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৩

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের সরিষা চাষে বড় ধরনের সুফল পাচ্ছেন কৃষক। ভোজ্যতেলের দাম বাড়তি থাকায় সরিষা বীজ বিক্রিতেও ভালো দাম পাচ্ছেন। এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফোটেছে।

আগে এই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রথমে আমন চাষ হত, এরপর বোরো আবাদ চলত। কিন্তু বোরো আবাদে সেচের প্রয়োজন থাকায় সবজমিতেই সেই সেচ সুবিধা মিলত না। এতে বিপুল জমি অনাবাদি থাকত। এই প্রথম কৃষি বিভাগের পরামর্শে অনাবাদি সেই জমিতে সরিষা চাষ করেছেন কৃষক, এরপরই সুফল পেতে শুরু করেছেন। হাসি ফুটেছে এই কৃষকদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পগামতী ইউনিয়নের বান্দরছড়া এলাকাসহ উপজেলার প্রায় সব অঞ্চলে জমিতে এক থেকে দুটি ফসলের বেশি আবাদ হত না। সরকারের কৃষিবান্ধব নানা পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে এই উপজেলার জমিতে চাষ হচ্ছে একটি বাড়তি ফসল। আমন কাটার পর পড়ে থাকা জমিগুলোতে আবাদ হচ্ছে সরিষা। অথচ বছর খানেক আগেও পানি সংকটসহ নানা কারণে বোরো ধান কাটার পর দীর্ঘ সময় পড়ে থাকত পাহাড়ি অঞ্চলের এ সব জমি।

উপজেলার গোমতী ইউনিয়নের বান্দরছড়ায় ১শ শতক জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন কৃষক রফিকুল। তিনি বলেন, ধান চাষের পর বাকি সময় জমি পরিত্যক্ত থাকত। পরে মাটিরাঙা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমি এই জমিতে সরিষার চাষ করি। এই জমিতে আমার প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। যদি ভালো ফসল হয় তাহলে ১ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারব।

অপর কৃষক রুস্তম আলী বলেন, অনাবাদি জমি চাষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে আমি এবার ১০০ শতক জমিতে সরিষার আবাদ করি। উপজেলা কৃষি অফিস আমাকে বিনা মূল্যে সরিষার বীজ ও সার সরবরাহ করে। ফলন ভালো হলে আমি এবার বেশ লাভবান হব।

আরেক কৃষক আনছার আলী বলেন, আগে ধান কাটার পর জমি ফেলে রাখতাম। এখন ফেলে না রেখে সরিষার চাষ করছি। এতে বাড়তি আয় হচ্ছে। সরিষা বিক্রির টাকা দিয়ে চলতি মৌসুমে ধানের চাষ করব।

এদিকে মাটিরাঙা উপজেলার বান্দরছড়ায় এলাকার পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে দেখা মিলছে সারি সারি হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহ, মৌমাছির ভোঁ ভোঁ শব্দ শোনা যাচ্ছে চলতি পথেই, যেটি আগে দেখা মেলেনি।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মাটিরাঙা উপজেলায় সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩ হেক্টর জমি। বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ১৫ হেক্টর জমি। আমন ধানের পরই বোরো ধানের চাষ হয়। পানির অভাবে বোরো ধান করা হয় না। ফলে সেসব জমি সাময়িক পতিত থাকে।

সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সাময়িক পতিত জমিতে যদি সরিষার আবার করা হয় সেক্ষেত্রে কৃষকরা বড় ধরনের লাভবান হতে পারে। এ প্রেক্ষিতে এবার ৮৫০ জন কৃষকের মাঝে বিভিন্ন প্যাকেজের আওতায় বীজ ও সার বিতরণ করেছে কৃষি কার্যালয়। সেক্ষেত্রে ১১৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। অনেক জায়গায় বাম্পার ফলনও হয়েছে।

মাটিরাঙা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করতে আমরা কৃষকদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি বিনা মূল্যে বিভিন্ন জাতের সরিষা বীজ ও সার কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও আমরা কৃষকদের পরামর্শসহ সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ