1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেড়েছে নির্বাচনি প্রচারণা

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৪

দিন যতই যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারও তত বাড়ছে। মানুষের জীবনের সঙ্গে আরও বেশি জড়িয়ে পড়ছে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউবের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। শুধু ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা বিনোদনই না, সংসদ নির্বাচনের প্রচারেও ব্যবহার হচ্ছে এই প্ল্যাটফর্ম। তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করার পাশাপাশি সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে এসব মাধ্যমে প্রচার করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। টানা দশবছর সংসদের বাইরে থাকা বিএনপিও অনলাইনেই প্রচার করছেন তাদের কার্যক্রম।

ফেসবুক, ইউটিউব ঘুরে দেখা গেছে, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনি প্রচার শুরু করার নিয়ম থাকলেও অনলাইন এবং ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে আরও অনেক আগে থেকেই। প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন কেনার সময়ই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শুরু হয় কৌশলী প্রচারণা। মনোনয়নপত্র কেনার পরই প্রার্থী বা তাদের সমর্থকরা, তা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের নানা মাধ্যমে পোস্ট করে মাঠে থাকার কথা জানান দিয়েছেন।

আবার কোনো কোনো দল নির্বাচনি প্রচারণায় বিজ্ঞাপনী সংস্থা, বিজ্ঞাপন নির্মাতা এবং ডিজিটাল মার্কেটিং যারা করেন, তাদেরও যুক্ত করেছেন বলে জানা গেছে। আলাদা টিম গঠন করা হয়েছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রচার চালাতে।

বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার জন্য ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ বানানো হয়েছে। চোখে পড়েছে আকর্ষণীয় ‘স্টিল’ বিজ্ঞাপনও। আবার পছন্দের প্রার্থীর পোস্টার হাতে নিয়ে অভিনেত্রী-অভিনেতাদের ছবি পোস্ট করতে দেখা গেছে ফেসবুকে।

এই ডিজিটাল মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচারণায় এগিয়ে আছে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ। দলের অফিসিয়াল পেইজের ভিউ এখন ৩.৪ মিলিয়ন। পেজে বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা প্রোগ্রামের লাইভ, ভিডিও। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও উন্নয়ন-ভাবনা চুম্বক আকারে তুলে ধরা হচ্ছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। রয়েছে দলের নানা কার্যক্রমের সঙ্গে রয়েছে সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রচার।

পেশাদার কন্টেন্ট ক্রিয়েটর দিয়ে তৈরি করা অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভিডিও ক্লিপও রয়েছে পেজে। আছে স্টিল বিজ্ঞাপন আকারে প্রচারের পোস্টারও।

অন্যদিকে সংসদ সদস্য প্রার্থীরাও নিজ নিজ ফেসবুক পেজে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থী ছাড়াও সঙ্গের নেতাকর্মীরা লাইভ করছেন। তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করার সঙ্গে সঙ্গে আছে সব ধরনের ভোটারকে আকৃষ্ট করার নানা ভিডিও ক্লিপ ও টেমপ্লেট।

দলের প্রার্থীদের কেউ কেউ নিজস্ব ওয়েবসাইট, ই-মেইল, এসএমএস, ফেসবুক ইউটিউবের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ খুলে ক্যাম্পেইন করছেন। আর এসব প্রচারণায় নিজের দল এবং প্রার্থীদের ইতিবাচক দিক তুলে ধরার পাশাপাশি বিরোধীমতের দল ও প্রার্থীদের নেতিবাচক দিকও তুলে ধরে ভোটারদের আকর্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে কাছের জেলা নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক)। তার সঙ্গে লড়ছেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। আরও আছেন শাহজাহান ভুইয়া, গাজী গোলাম মূর্তজা, জয়নাল আবেদীন চৌধুরীসহ মোট ৯ জন।

৩ লাখ ৮৫ হাজার ৬২৫ জন ভোটারের ভোট পেতে প্রার্থীরা শুধু বাড়ি বাড়িতেই যাচ্ছেন না। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে জোরেশোরে ক্যাম্পেইন চালাচ্ছেন। আর এই দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে সরকারের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)। উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ভিডিও, শর্টসের পাশাপাশি স্থিরচিত্র সম্বলিত বিজ্ঞাপন। আর সেসব বিজ্ঞাপনে ব্যাপক সাড়াও দিচ্ছেন মানুষ। ভোটার কিংবা ভোটার ছাড়াও মানুষ শুভ কামনা জানাচ্ছেন নানা কমেন্ট করে।

এদিকে টানা দশ বছর সংসদের বাইরে থাকা অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপিও প্রচারের জন্য বেছে নিয়েছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। সরকার হটানোর দাবি নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে বিএনপি। তাদের ফেসবুক পেজের ভিউ ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন। দলের পুরা পেজ জুড়ে দেখা গেছে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে নির্বাচন বর্জনের জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সরকারবিরোধী ভিডিওবার্তার পাশাপাশি দেখা গেছে দলীয় নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনার ভিডিও। পেজটিতে দলের অংগসংগঠনের নানা কার্যক্রম ও লাইভ ভিডিও দেখা গেছে।

এদিকে ‘তৃণমূল বিএনপি’র ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলের একাংশ বেশ জোরেশোরেই নির্বাচনি ক্যাম্পেইন চালাচ্ছেন। তবে এখনও ব্যাপক আকারে কার্যক্রম চোখে পড়েনি

নির্বাচনি ক্যাম্পেইনে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে জাতীয় পার্টিও। দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নির্বাচনি এলাকা রংপুর-৫ মিঠাপুকুরের প্রার্থী আনিসুর রহমান আনিসের গণসংযোগে বক্তব্য দেন। তার পুরোটাই লাইভ করা হয় দলীয় ফেসবুক পেজে। পুরো পেজে রয়েছে দলের নানা ধরনের কার্যক্রম।

এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনপ্রকার অপপ্রচার, গুজব এবং নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকলে সেগুলো খুঁজে বের করতে দেশের সব মোবাইল অপারেটর এবং বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন প্রক্রিয়া যাতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে ব্যহত না হয়, সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিতে সম্প্রতি মোবাইল অপারেটর এবং বিটিআরসির সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন।

বৈঠকে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ