1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বাংলাদেশ-ভারত সিইপিএ চুক্তির আলোচনা শিগগিরই

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আগামী মাসের শেষের দিকে ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠক বসবে। বৈঠকের প্রথম ইস্যু প্রস্তাবিত সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ)। এরপরই রয়েছে বাংলাদেশী পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর থেকে এন্টি-ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার। আলোচনা হবে বাংলাদেশের কিছু পণ্যের ওপর থেকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, নিত্য পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং আরো কিছু বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে।

বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের পর্যায়ে রয়েছে। এই অবস্থায় প্রতিবেশী এবং গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আরো জোরদার করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। বাণিজ্যের একটি নতুন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং সরবরাহ চেইন গড়ে তোলার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও জোরদার করতে একটি চুক্তি সইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১৮ সালে। সে বছরই বাংলাদেশ ও ভারত সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) সই করতে সম্মত হয়। এরপর কয়েক বছর বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যদিয়ে এগিয়েছে।

দুই দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ে সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল ২০২২ সালের মার্চে, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে। পরে বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিইপিএ বিষয়ে একটি যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চালানো হয়।

এই সমীক্ষায় পরামর্শ দেয়া হয় যে, সিইপিএ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের টেকসই বৃদ্ধিতে একটি শক্তিশালী ভিত্তি যোগাবে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, জীবনযাত্রার মান বাড়াবে এবং বাংলাদেশ ও ভারতে ব্যাপক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করবে।
সমীক্ষার পর দুই প্রতিবেশী বৃহত্তর অর্থনৈতিক সুবিধার স্বার্থে সিইপিএ নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে নয়াদিল্লিতে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে চুক্তির বিষয়টি স্থান পায়। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে দু’দেশের আলোচনায় সিইপিএ’র গুরুত্ব উঠে আসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উভয় পক্ষের বাণিজ্য কর্মকর্তাদের সিইপিএ নিয়ে আলোচনা দ্রুত ও যথাসময়ে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।

সেই ধারাবাহিকতায় মার্চের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে সিইপিএ সইয়ের প্রক্রিয়া নেওয়ার ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বৈঠক থেকেই আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা বেশ জোরালো।
উল্লেখ্য, ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। গত পাঁচ বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৯ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য হয়ে উঠেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি ছিলো ৯.৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ৬৬% বৃদ্ধি পেয়ে ১৬.১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানিও গত কয়েক বছরে আকর্ষণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিলো ১.২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা ১.৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ