1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

রমজান ঘিরে হিলি বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ছোলা, মশুরের ডালসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য আমদানি শুরু হয়েছে। খোলাবাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগে থেকেই এসব পণ্যের আমদানি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যেই এর প্রভাবে দেশের বাজারে পণ্যদুটির দাম কমতে শুরু করেছে। তবে ব্যাংক থেকে চাহিদামাফিক এলসি দিলে পণ্য আমদানি আরও বাড়বে এবং দাম কমে আসবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

বন্দরের বিভিন্ন আমদানিকারকদের ঘরে ও বন্দরের ভেতরে প্রতি কেজি ভারতীয় ছোলা এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৭ থেকে ৮৮ টাকা দরে, মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২২ থেকে ১২৪ টাকা কেজি দরে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক ললিত কেশেরা বলেন, ‘আর দেড় মাস পরেই শুরু হচ্ছে রমজান মাস। রমজান মাস এলেই দেশে বেড়ে যায় ছোলাসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা। সেই সময়ের বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবার কিছুটা আগে থেকেই এসব পণ্যের আমদানি শুরু করেছেন হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। অনেক আমদানিকারক এলসি খুলেছেন। ইতোমধ্যেই তার বিপরীতে বন্দর দিয়ে ছোলাবুট ও মশুর ডাল আমদানি শুরু হয়েছে। যার কারণে এই দুটি পণ্যের দাম কমতির দিকে রয়েছে। সেই সঙ্গে ভারতের বাজারেও দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। কিন্তু সমস্যা হলো, আমরা চাহিদা মোতাবেক পণ্যের এলসি খুলতে পারছি না। সেই সঙ্গে ডলারের মূল্যও বেশি। কোনও ব্যাংক ডলারের মূল্য ধরছে ১১৫ টাকা আবার কেউ ধরছে ১২৩ টাকা। আবার কোনও কোনও ব্যাংক এলসি খুলছে না। আমরা এলসি খুলতে না পারলে পণ্য আমদানি কীভাবে করবো। এখন কিছু কিছু ব্যাংক ছোট ছোট করে এলসি দিচ্ছে, তার বিপরীতে পণ্য আমদানি করা হচ্ছে। যদি ব্যাংকগুলো চাহিদা মোতাবেক আমাদের এলসি দেয় তাহলে বন্দর দিয়ে এই জাতীয় পণ্য আমদানির পরিমাণ বাড়বে।’

অপর আমদানিকারক শেরেগুল মুন্সি বলেন, ‘আসন্ন রমজানকে ঘিরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ছোলাবুট ও মশুর ডাল আমদানি শুরু করেছেন আমদানিকারকরা। কোনও দিন দুই ট্রাক আবার কোনদিন চার ট্রাক আমদানি হচ্ছে। এই আমদানির পরিমাণ সামনে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে অনেকটা বাড়বে। রমজান মাসে এসব পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি পায়। আর ছোলা, বুট ও মশুর ডালসহ অন্যান্য ডাল শুল্কমুক্ত পণ্য। তাই দ্রুততার সঙ্গে এসব পণ্যের এলসি খোলার বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার। পর্যাপ্ত পরিমানে আমদানি করা হলে রমজানে দেশের বাজারে পণ্যগুলোর দাম বাড়বে না। বর্তমানে ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো চাহিদামাফিক এলসি দিচ্ছে না।’

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মাঝে পণ্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি রমজানকে ঘিরে নতুন করে চলতি মাসে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এক হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন ডাল এবং ২ হাজার ১৯১ মেট্রিক টন ছোলা আমদানি হয়েছে।’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ