1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সাত মার্চের ভাষণ এক মহাকাব্য

অভিজিৎ বড়ুয়া অভি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ৬ মার্চ, ২০২২

সাত মার্চ ১৯৭১ সাল, ঢাকার রমনায় রেসকোর্স ময়দানে এক মহানায়ক দৃঢ়, কুণ্ঠাহীন, বলিষ্ঠ পাদবিক্ষেপে এসে দাঁড়ালেন, চারিদিক শ্লোগানে শ্লোগানে হলো মুখরিত। জনসভায় জনস্রোতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করলেন, রচনা করলেন এক মহাকাব্য, ঐতিহাসিক ভাষণ। তখন দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট। ভাষণ শেষ হলো বিকেল ৩টা ৩মিনিটে; ১৮ মিনিট স্থায়ী ভাষণে রচিত হলো একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন। যে ভাষণ জাতিসংঘ কালজয়ী বলে উল্লেখ এবং বিশেষ স্বীকৃতি দিয়েছে। সেদিন সকাল থেকে রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ মানুষ অপেক্ষা। সবার আশা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন। মঞ্চে চলছে গণসঙ্গীত। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা এবং ছাত্র নেতাদের ভিড়। দুপুর ২টায় আব্দুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদসহ তরুণ নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু বাড়ি থেকে রওনা হলেন জনসভার উদ্দেশ্যে। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা বঙ্গবন্ধুকে বললেন, ‘তুমি যা বিশ্বাস করো, তাই বলবে।’ বঙ্গবন্ধু কথা রাখলেন। সেই ভাষণ নিজের চিন্তা থেকেই দিলেন, ভাষণটি লিখিত ছিলো না, যা বললেন সবই তার মনের খাতায় লেখা, ভাবাবেগের, একটি জাতির প্রতি ভালোবাসার। ‘এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দিব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ্। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা, জয় বাংলা।’

যার মধ্য দিয়ে ছিলো একটা গেরিলা মুক্তিযুদ্ধের দিক নির্দেশনা। বজ্রকণ্ঠের ভাষণে সাড়ে সাত কোটি মানুষের দাবী এক করে দিলো, তারা শপথ নিলেন দেশ স্বাধীন না করে ঘরে ফিরবেন না। সেদিন বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণই মুক্তিযুদ্ধের প্রকাশ্য আহ্বান। ভাষণে এমনভাবে শব্দ প্রয়োগ করলেন যাতে মনে না হয় তিনি সরাসরি সশস্ত্র সংগ্রাম বা আন্দোলনকে উস্কে দিচ্ছেন, বরং সুনির্দিষ্ট প্রবাহানুসারে কথাগুলো বললেন। প্রারম্ভে ইতিহাস, দ্বিতীয়ার্ধে অত্যাচার অন্যায়ের ব্যথা এবং হুশিয়ারির সাথে সাথে আলোচনার আহ্বান আর শেষ অংশে জনগণের প্রতি দিক-নির্দেশনা।

এশিয়ার এই অঞ্চলের দেশগুলো নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র শুরু ভারতবর্ষ বিভক্তের মধ্য দিয়ে। মুসলমান আর হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগ করে পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন হয়। ভারতকে ভাগ করার দায়িত্ব পালন করেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন, শুরু হয় এই অঞ্চলের আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হবে তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হলো। ১৯৪৮ সালেই রাষ্ট্রপ্রধান মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এসে ঘোষণা করলেনÑ উর্দু শেল বি দ্য স্টেট ল্যাঙ্গুয়েজ অব পাকিস্তান। চারিদিক মুখরিত হয়ে আওয়াজ উঠল ‘নো’, ‘নো’, নো। শুরু হলো রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাভাষাকেও মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে তীব্র ছাত্র গণ-আন্দোলন। ১৯৫২ সালে ভাষার দাবিতে মিছিলে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে গুলি চালাল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশবাহিনী। সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবীকে রক্তে রাঙ্গিয়ে দেওয়া হলো। বাঙালিদের পক্ষ থেকে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত দাবি তুললেন উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিতে হবে। বিপুলসংখ্যক শহীদের রক্তদানের পরে পাকিস্তান সরকার তথা প্রাদেশিক সরকার রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বাংলাকে মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে বাধ্য হলো। ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। এরপর সুদীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের রাজপথ আর জেল নির্যাতনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় নেতা, জাতির পিতার শেখ মুজিবুর রহমানের অভ্যুদয় ঘটেছিল এক মহা কাব্যের জনকের। ১৯৫২- ভাষা আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, কমিউনিস্ট পার্টি, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দল, মুসলিম লীগ অংশগ্রহণ করে-যা সর্বদলীয় আন্দোলনে পরিণত হয়।

সেই রক্তের পথ ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে লাহোরে উপস্থাপন করেন ঐতিহাসিক ছয় দফা। ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে আইয়ুব খানের পতন ঘটে। কিন্তু শুরু হয় সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের শাসন। এরপর ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে জয়লাভ করে। জেনারেল ইয়াহিয়া খান পূর্ব পাকিস্তানে এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসেন। বঙ্গবন্ধু একদিকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে রাখেন, অন্যদিকে আলোচনার টেবিলে বসেন। বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয় না। বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক চাপ, আমেরিকার হুমকি উপেক্ষা করে ১৯৭১-এর ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে দৃঢ় প্রত্যয়ে, বলিষ্ঠ কিন্তু শান্ত বজ্রকঠিন কণ্ঠে ঘোষণা করলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধু সুকৌশলে ডাক দিলেন স্বাধীনতার, রচনা করলেন মহাকাব্যের। এরপর বঙ্গবন্ধু ১৯৭১-এর ২৬ মার্চ রাতে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন, তাই ২৬-এ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। যার পরিণতি নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জন্ম, আমাদের বিজয় দিবস। এই সুদীর্ঘ যাত্রাপথে দৃঢ় হস্তে এই শিশুকে ধরে রেখেছিলেন, স্বাধীনতার স্বপ্নকে তিল তিল করে বাস্তবে রূপ দিয়েছিলেন যিনি তিনি আমাদের বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তা-ই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে…। তোমরা আমার ভাই… আর আমার বুকের ওপর গুলি চালাবার চেষ্টা করো না। সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবে না। আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন কেউ আমাদের দমায়ে রাখতে পারবে না। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ্। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

১৯৭১-এর ৭ মার্চ যে মহাকাব্য রচিত হয়েছিলো, যার পথ ধরে যাত্রা শুরু হয়েছিলো এক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের, তাই থমকে গেলো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একদল সদস্য সামরিক অভ্যুত্থানে শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডি ৩২-এর বাসভবনে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে। কতটুকু নিষ্ঠুর হলে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা যায়। কি নিষ্ঠুরতা, যে মহান মানুষটা সারা জীবন ত্যাগ করে গেলো এই দেশের জন্য, তার প্রতিদান এই ভাবে দিলো, সবাইকে হত্যা করে? ছেলেদের, গর্ভবতী পুত্রবধূদের। গর্ভবতী মায়েদের গুলি করার সময় একবারের জন্য বুক-হাত কাপঁলো না। ছোট্ট শিশু, বঙ্গবন্ধুর ছোট্ট ছেলে, তাকেও কি, নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা খুবই প্রয়োজন ছিলো? কি বুঝতো ও রাজনীতি? প্রতিটি বুলেটের আঘাতে কতই না কষ্ট পেয়েছে। একবারের জন্যও কি কঁচি মুখটা দেখে মায়া হলো না। প্রতিটি বুলেট যখন ছোট্ট দেহে ঢুকিয়ে দিচ্ছিলো তখন কতই না কষ্ট পেয়েছিলো সে শিশু। বেঁচে যাওয়া যারা তারা সহ্য করে কিভাবে এই শোক?

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ যে মহাকাব্য যে ভাষণ, তাকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রের যাত্রা শুরু। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত সব সরকার চেষ্টা করেছে জাতির পিতার নাম আর এই মহাকাব্যকে মুছে দিতে। এই ভাষণ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ছিল দীর্ঘকাল। টেলিভিশনে যুদ্ধাপরাধীরা ভাষণ দিতো। কিন্তু বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম, ছবি, ভাষণ সবই ছিল নিষিদ্ধ। তখন বঙ্গবন্ধুর নামে তেমন কাব্য, উপন্যাস, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা রচিত হতো না। যে কয়জন লিখতেন তারা বিভিন্ন নির্যাতন আর বাঁধার সম্মুখীন হতেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা ভুলে গিয়েছিলো, ১৯৭১-এর ৭ মার্চ মহাকাব্যের সাথে জড়িয়ে আছে একটি স্বাধীন জাতি ও দেশের নাম। ওই ভাষণ মুছে দেওয়ার অর্থ একটি জাতিকে একটি দেশকে মুছে দেওয়া, যা শুধু অসম্ভব নয়, অবাস্তব। তাইতো সাধারণপূর্বাব্দ ৪৩১ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার বছরে সারা বিশ্বের ইতিহাসের সেরা ভাষণগুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৪ সালে প্রকাশিত গ্রন্থ ‘উই শ্যাল ফাইট অন দ্য বিচেস- দ্য স্পিচেস দ্যাট ইন্সপায়ার্ড হিস্টোরি’ তে ‘দ্য স্ট্রাগল দিস টাইম ইজ দ্য স্ট্রাগল ফর ইন্ডিপেন্ডেন্স’ শিরোনামে স্থান পায় বঙ্গবন্ধু জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ। আজ যা ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’ এ অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্ব প্রামান্য ঐতিহ্যের’ স্বীকৃতি লাভে করেছে। ইউনেস্কো তাদের ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ (এমওডব্লিউ) কর্মসূচির উপদেষ্টা কমিটি ৭ মার্চের ভাষণসহ মোট ৭৮টি দলিলকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করার সুপারিশ এরমধ্য দিয়ে এই ঐতিহাসিক ভাষণকে ওয়ার্ল্ডস ডকুমেন্টারি হেরিটেজ-এ অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ৩০ অক্টোবর সোমবার ২০১৭ ইউনেস্কো মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার সীমা ছাড়িয়ে এখন বিশ্বসভায় সমাদৃত, তাইতো তাকে ‘রাজনীতির কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে নিউজওইক সাময়িকী ১৯৭১-এর এপ্রিল সংখ্যার কভার স্টোরি করে। এ ভাষণ স্বতঃস্ফূর্ত, এ রাজনীতির মহাকাব্য। মোট ১১০৮টি শব্দ উচ্চারণ, মিনিটে গড়ে ৪৮ থেকে ৫০টি শব্দচয়ন, কোনো প্রকার শব্দের পুনঃউচ্চারণহীন, বাহুল্যবর্জিত, রাজনৈতিক ক্যারিশমেটিক উপস্থাপনা, স্বতঃস্ফূর্ত বাক্য বিন্যাসে গাঁথা একটি মহাকাব্য। তাইতো কবি নির্মলেন্দু গুণ ‘স্বাধীনতা এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো’ কবিতার লিখেন ‘একদিন সব জানতে পারবে; আমি তোমাদের কথা ভেবে লিখে রেখে যাচ্ছি সেই শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প../শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে/রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে/অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন/কে রোধে তাহার বজ্রকণ্ঠ বাণী?/ গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তার অমর কবিতাখানি/এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম/এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম/সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের’। ৭ মার্চের ভাষণ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দীনের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

লেখক : অভিজিৎ বড়ুয়া অভি – কথাসাহিত্যিক, কবি, গবেষক ও প্রাবন্ধিক।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ