1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দিনাজপুরে নতুন খনির অবস্থান নিশ্চিতে খনন চালাচ্ছে জিএসবি

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০২২

দিনাজপুরে নতুন খনির অবস্থান নিশ্চিতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য খনন কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)। খনির অবস্থান নিশ্চিত হতে এই কাজ চলবে আগামী চার মাস। সন্ধান মিললে এই জেলায় খনির সংখ্যা হবে ছয়টি। গত এক সপ্তাহ ধরে খনন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পার্বতীপুর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নিয়ে আনা হয়েছে। সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে টানানো হয়েছে সাইনবোর্ড।

চলতি মাসের শেষ সপ্তাহের দিকে কূপ খনন কাজ উদ্বোধন হতে পারে। মঙ্গলবার দেখা যায়, ভূগর্ভের অভ্যন্তরে সম্পদের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য কূপ খননের প্রস্তুতি শুরু করেছে দপ্তরের একটি অনুসন্ধানী দল। চার মাস কূপ খনন করে চালানো হবে খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান। কুতুবপুর চেয়ারম্যানপাড়া গ্রামের আকতার, হবিবর রহমান হবি এবং কানছিয়া মন্ডলের জমিতে ড্রিলিং কার্যক্রম পরিচালনা চলছে। সেখানে অস্থায়ী ছাউনি, তার দিয়ে বেড়া ও আনুষঙ্গিক স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। খনির অবস্থান নিশ্চিত হতে এই কাজ চলবে আগামী চার মাস

সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এখানে লোহার কাঁচামাল আকরিক পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লোহার কাঁচামাল আকরিকের পুরুত্ব অনেক বেশি। তাই লোহার সঙ্গে তামাসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশাও করছেন তারা।
চলতি মাসের শেষের দিকে কূপ খনন কাজ উদ্বোধন করবেন জিএসবির মহাপরিচালক।
তবে সম্ভাব্য খনি এলাকায় উপস্থিত ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) কোনও কর্মকর্তা বা কর্মচারী কূপ খনন সম্পর্কে কথা বলতে রাজি হননি। খনন কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, মহাপরিচালক খনন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন, তখন তিনি বিষয়টি জানাবেন। এর আগে এই খনন সম্পর্কে কোনও কিছু জানানো নিষেধ রয়েছে।

খনন কার্যক্রম পরিচালনায় অবস্থানকালীন কর্মকর্তাদের আনুষঙ্গিক সহায়তা, নিরাপত্তা, তথ্য- উপাত্ত সরবরাহ, যাতায়াত ও পথ প্রদর্শন প্রদানে সহযোগিতায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত প্রতিষ্ঠান জিএসবি’র পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন শাখা থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের অনুরোধ করা হয়েছে। এই চিঠি দেওয়া হয়েছে পুলিশ সুপার, পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পার্বতীপুর থানা ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে।

মোস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান প্রামানিক বলেন, এখানে খনির সন্ধানে খনন কার্যক্রম চলছে। এই কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য জিএসবি’র পরিচালক আলী আকবর স্বাক্ষরিত একটি চিঠির অনুলিপি পেয়েছি। পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, খনন কার্যক্রম করা হবে জানিয়ে গত এক সপ্তাহ আগে আমাকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে শুধু তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্যই বলা হয়েছে।

এর আগে ২০২১ সালের ২ এপ্রিল পাশ্ববর্তী চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়ন কেশবপুর মৌজায় একটি খনির সন্ধানে খনন কার্যক্রম শুরু হয়। পরে প্রায় এক মাস কার্যক্রম শেষে তা সমাপ্ত করে চলে যান ভূতত্ত্বের কর্মকর্তারা। তারও আগে ২০০১ সালে পার্শ্ববর্তী উপজেলার পার্বতীপুরের আমবাড়ীতে তামার খনি পাওয়ার আশায় কূপ খনন করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, দিনাজপুরে বর্তমানে পাঁচটি খনি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে উৎপাদনে রয়েছে পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও মধ্যপাড়া পাথর খনি। এছাড়া প্তলবাড়ি উপজেলা ও নবাবগঞ্জ উপজেলাতে রয়েছে একটি করে কয়লা খনি।
প্তলবাড়ি কয়লা খনি উন্মুক্ত পদ্ধতিতে চালু করার প্রক্রিয়ায় ২০০৬ সালে আন্দোলন করে স্থানীয় জনগণ, যাতে ওই প্রকল্পটি এখন বন্ধ আছে। আর নবাবগঞ্জ উপজেলার দিঘিপাড়া কয়লা খনিতে উত্তোলনের প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া হাকিমপুর উপজেলার মুর্শিদপুরের ভূগর্ভে রয়েছে একটি ম্যাগনেটাইট নামক লোহার খনি, যেখানে অন্যান্য খনিজ উপাদানও রয়েছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ