1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙা শিল্পের প্রশংসায় নরওয়ের রাষ্ট্রদূত

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ৩ মার্চ, ২০২৪

বিগত দিনের চাইতে বর্তমানে বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙা শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে বলে মন্তব্য করেছেন নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন।

রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে সীতাকুণ্ডের শীতলপুরের কবির শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটিজ পরিদর্শনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাষ্ট্রদূত জানান, নরওয়ে এ শিল্পের উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা করছে। সরকারের সহযোগিতা দরকার। আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। নরওয়ের জাহাজ মালিকরা আগ্রহী হচ্ছেন বাংলাদেশে শিপ রিসাইক্লিং করতে।

এ সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন নরওয়ের সাবেক ক্লাইমেট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট মিনিস্টার এরিক সোলেইমি, ঢাকার নরওয়ে দূতাবাসের সিনিয়র অ্যাডভাইজর মোরশেদ আহমেদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক করিম উদ্দিন, পরিচালক আবদুল করিম দুলাল, কবির গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম, গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, ইয়ার্ড সমন্বয়ক নেভাল ইঞ্জিনিয়ার আল আমিন ও টেকনিক্যাল সমন্বয়ক পার্থ সারথী গুহ।

নরওয়ের সাবেক ক্লাইমেট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট মিনিস্টার এরিক সোলেইমি বলেন, ‘জাহাজ ভাঙা শিল্পে চমৎকার উন্নয়ন হয়েছে। ২০১০ সালে এ শিল্প দেখতে এসেছিলাম। বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই হংকং কনভেনশন বাস্তবায়নের জন্য।’

কবির গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গ্রিন ইয়ার্ড করার জন্য ২০১৪ সালের জুলাই থেকে কাজ শুরু করি আমরা। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক আমাদের জানিয়েছিল ইয়ার্ডের উন্নয়ন করতে হবে। তখন আমরা গ্রিন সার্টিফিকেট পেতেও কাজ শুরু করি। ২০২২ সালের অক্টোবরে প্রথম গ্রিন সার্টিফিকেট পাই। এখন তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রিন সার্টিফিকেট পেয়েছি।

তিনি বলেন, এ মুহূর্তে লোকাল মার্কেটে স্ক্র্যাপের ডিমান্ড কম। ডলারের সংকটে জাহাজ আমদানিও কম। এ সুযোগে বেশিরভাগ ইয়ার্ড ডেভেলপ হচ্ছে। গ্রিন ইয়ার্ড করার আমরা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা এবং আর্থিক বিনিয়োগ করেছি। যেন ৩০ কোটি খরচ হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য পরিবেশ ও জনশক্তির নিরাপত্তা।

‘আমরা স্ক্র্যাপের পাত, টুকরা লোড-আনলোড করছি অটোমেটিক, ম্যাকানিক্যাল মেশিনে। ৭৮০ দিনে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে আরও উন্নতির জন্য সরকারি সহযোগিতা দরকার। টিএসডিএফ করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটা করতে হবে।’

কবির শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটিজ আইএসও সার্টিফাইড, এইচকেসি ২০০৯ কমপ্লায়েন্ট গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটি ভুক্ত এবং হংকং কনভেনশন অনুসারিত নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ ফ্যাসিলিটিভুক্ত।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ