1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল চলবে তেইশের জুন থেকে 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২২

২০২৩ সালের জুনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরুর প্রত্যাশা করছে। প্রকল্প কাজের ৬৯ শতাংশ কাজই এখন শেষ। বাকি আছে ৩১ শতাংশ কাজ। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, করোনার প্রভাব না পড়লে চলতি বছরেই রেলপথ নির্মাণকাজ শেষ হতো। তবে করোনার কারণে কাজের গতি কিছুটা কমে যায়। এখন জোরেশারে চলছে প্রকল্প কাজ। এতে আগামী বছরই ট্রেন চলাচল শুরুর প্রত্যাশা বেড়েছে।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের মেয়াদ আরেক দফা বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হলেও ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে। কারণ প্রকল্প কাজের গতি এখন অনেক বেড়েছে। ২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্প কাজ অবজারবেশনে রাখা হবে। এ সময় দেখা হবে ট্রেন চলাচলে কোনো ত্রুটি বিচ্যুতি হচ্ছে কি না।

রেলওয়ের সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথের কাজ দ্রুত এগোচ্ছে। প্রকল্পের ৬৯ শতাংশই কাজই এখন শেষ। বাকি ৩১ শতাংশ কাজ আগামী বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার প্রত্যাশা করছে রেলওয়ে। আর আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে চলবে ট্রেন। প্রকল্প কাজে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিরামহীভাবে চলছে কাজ। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের কাজে কোনো ধরনের ধীর গতি নেই। প্রকল্প বাস্তবায়নে দিন-রাত কাজ করছেন শ্রমিকরা। এক সঙ্গেই চলছে রেললাইনে মাটি ভরাট, ব্রিজ ও পাস নির্মাণ, রেলস্টেশন তৈরির কাজ। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রেলপথ ৩২০ কিলোমিটার। চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার।

প্রকল্প কাজে জড়িত এক প্রকৌশলী জানান, রেললাইনের পাশাপাশি স্টেশন নির্মাণকাজ এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও, চকরিয়া, হারবাং এবং রামু এলাকায় ২৫ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৭৫ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের পাশাপাশি চলছে সিগনেলিং তার টানার কাজও। মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে ৮৫ শতাংশ। ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে মেজর ও মাইনর ব্রিজ এবং কালভার্টগুলোর। তাই প্রকল্প কাজের বড় কোনো বাধা আর নেই।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ৬ জুলাই চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের ঘুমধুম সীমানা পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। প্রকল্পের অধীনে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রামু পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কথা ছিল। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এর প্রায় ৮ বছর পর ২০১৮ সালে ডুয়েলগেজ সিঙ্গেল ট্র্যাকের এই রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। তবে মিয়ানমার সরকারের সম্মতি না থাকায় আপাতত রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার রেললাইনের কাজ হচ্ছে না। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রামু পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। পরে ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।

কক্সবাজার সদর থেকে ৭ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন। আইকনিক স্টেশনটিকে সৈকতের ঝিনুকের আদলে তৈরি করা হচ্ছে। আইকনিক রেলস্টেশন ভবনটির আয়তন ১ লাখ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয়তলা এ ভবনটির বিভিন্ন অংশে অবকাঠামো নির্মাণে কাজ চলমান আছে। নির্মাণাধীন এই আইকনিক ভবন ঘেঁষে হচ্ছে রেলওয়ের প্লাটফর্ম। এর পাশেই রেলওয়ের আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে আটটি ভবনের কাজ শেষ পর্যায়ে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার এখন সিঙ্গেল লাইন স্থাপন করা হলেও ভবিষ্যতে ডাবল লাইন স্থাপনের জায়গা অধিগ্রহণ করা আছে। চাহিদা অনুযায়ী যে কোনো সময় এটি ডাবল লাইন করা হবে। তখন সিঙ্গেল লাইন দিয়েও ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেনে ৮ ঘণ্টায় যাতায়াত করা সম্ভব হবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ