1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ঈদের ছুটিতে সুন্দরবনে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩

প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের ছুটিতে পর্যটকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে এসেছেন সুন্দরবনে। ঈদের দিন সকালে তেমন লোকজন না আসলেও মূলত পরের দুদিনে রবিবার (২৩ এপ্রিল) ও সোমবার (২৪ এপ্রিল) থেকেই সুন্দরবনের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে প্রায় হাজারখানেক পর্যটক এসেছেন করমজলে। তারা এখানে হরিণ, বানর, কুমিরসহ নানা প্রজাতির প্রাণীসহ বনের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেছেন। মুগ্ধ হয়েছেন বনের জীববৈচিত্র্য দেখে। এতে অন্যান্য দিনের চেয়ে ঈদের ছুটিতে রাজস্ব আয় বেশি হবে।’

পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে করমজলে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা ও অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। সুন্দরবনের স্পটগুলোকে আকর্ষণীয় করে সাজানো হয়েছে বলে জানান তিনি। সুন্দরবন বিভাগ জানায়, এখন সুন্দরবনে ভ্রমণ মৌসুম নয়। তাপরও ঈদের ছুটি কাটাতে দূর-দূরান্ত থেকে সুন্দরবনে ছুটে এসেছেন দর্শনার্থীরা। ঈদের ছুটিকে স্মরণীয় রাখতে কেউ এসেছেন বন্ধুবান্ধব নিয়ে আর কেউ পরিবার নিয়ে।

সিরাজগঞ্জ থেকে বন্ধুদের নিয়ে সুন্দরবনে প্রথমবার এসেছেন বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইয়াসির আরাফাত (২৯)। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এতো সুন্দর পর্যটন স্পট বাদ দিয়ে কেন আমরা বিদেশ যাই, এখানে এলেই যেকোন মানুষের মন ভালো হবে। আমরা আবার সুযোগ পেলে আসবো।’

পাবনা থেকে এসেছেন জাহিদুর রহমান (৪৮)। পেশায় সরকারি চাকরীজীবী। দুই মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে ঈদের ছুটিতে সুন্দরবনে এসেছেন। গত ঈদেও তারা সুন্দরবন ঘুরে গেছেন। সুন্দরবনের অপরুপ সৌন্দর্য তাদের মন কেড়েছে তাই আবার ছুটে আসা বলে জানান তিনি।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ‘বনের কচিখালীতে আছে সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্যের হাতছানি। ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য কচিখালী হচ্ছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান। এরপর কটকা ও হিরণ পয়েন্ট। এ তিনটি পয়েন্টে মোংলা থেকে ট্রলারে করে পৌঁছাতে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা সময় লাগে। বনের কটকাতে রয়েছে হরিণের অভয়ারণ্য। আছে ওয়াচ টাওয়ার। এ টাওয়ারে উঠে এক নজরে দেখা যায় অপূর্ব সুন্দর সুন্দরবন। আর করমজলে আসা পর্যটকদের মন কাড়ছে সেখানকার সৌন্দর্য। তবে মৌসুম না হলেও ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে এ বনে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায়।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) মোংলার আহ্বায়ক নুর আলম শেখ বলেন, ‘সুন্দরবন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের তালিকায় নিঃসন্দেহে সেরা। এজন্য দেশ-বিদেশের ভ্রমণ পিপাসু মানুষ একটু সুযোগ পেলেই ছুটে আসেন এখানে। যারা সুন্দরবনে প্রথম এসেছেন সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে তারা বার বারই ছুটে আসেন।’

মোংলা ট্যুরিস্ট পুলিশ সুন্দরবন জোনের ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের দিন পর্যটকরা না আসলেও পরদিন থেকেই পর্যটকরা আসা শুরু করেছেন। দূর দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা মোংলা থেকে ছোট নৌযানে করে সুন্দরবন ভ্রমণে রওনা হচ্ছেন। তাদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আমরা তৎপর আছি।’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ