1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

১৩৭ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর: আগ্রহ বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

প্রতিষ্ঠার ১৩৭ বছরে পর্দাপণ করলো চট্টগ্রাম বন্দর। এ বছর গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের উদ্যোগকে চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছেন ব্যবহারকারীরা। শুধু তাই নয় এবার অপার সম্ভাবনার বন্দর হিসেবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নজরও কেড়েছে এই বন্দর। এ ছাড়া আগামীর বন্দর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ২২ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প বে টার্মিনালকে ধরা হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সোপান হিসেবে।

খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় চট্টগ্রাম বন্দরের গোড়াপত্তন হলেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় ১৮৮৮ সালে। প্রায় ১৩৭ বছরে বন্দরে সক্ষমতা বেড়েছে বহু গুণ। ১২৫ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক বাণিজ্যের ৯০ ভাগই পরিচালিত হচ্ছে দেশের প্রধান এই সমুদ্র বন্দর দিয়ে।

বর্তমানে বছরে ৩০ থেকে সবোর্চ্চ ৩২ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হচ্ছে এই বন্দরে। বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যবস্থাপনায় এসেছে আমূল পরবির্তন। মাতারবাড়িতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের উদ্যোগ এবং আগামীর বন্দর হিসেবে অপার সম্ভাবনা জাগানো বে টার্মিনাল টেনে এনেছে বিদেশি বিনিয়োগ।

চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় প্রকল্প বে টার্মিনাল নির্মাণে ইতিমধ্যে ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে বিশ্বব্যাংক, দুবাইয়ের ডিপি ওয়ার্ল্ড , সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি পিএসএ। এ ছাড়া পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় এসেছে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ ফ্রেইটফরওয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি খায়রুল আলম সুজন বলেন, ‘যুগোপযোগী করে বন্দরগুলো গড়ে তুলতে হবে। কারণ কর্ণফুলী বন্দর যেইটা আছে এইটা আমাদের নদী কেন্দ্রীক বন্দর। যেখানে জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করে জাহাজ পরিচালিত হয়। এদিকে বে টার্মিনালে জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করে কার্গো খালাস করতে হয় না। যা আমাদের জন্য বড় একটা সুবিধা।’

২০০৫ সালে যেখানে বন্দরে ৪টি গ্যান্ট্রি ক্রেন ছিল সেখানে বর্তমানে ১৮টি গ্যান্ট্রি ক্রেন জাহাজ থেকে পণ্য উঠানামায় গতি বাড়িয়েছে বগুহুণ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের উদ্যোগ ১৩৭ বছরে বন্দরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাফল্য। এতে আমদানি রপ্তানি পণ্য পরিবহনে আর ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরের উপর নির্ভর করতে হবে না। কমবে পণ্য পরিবহনের সময় ও খরচ ।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. ওমর হাজ্জাজ বলেন, ‘বে টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ি বন্দর যত তাড়াতাড়ি চালু করা যাবে শুধু ব্যবসায়ীরা না বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষ উপকৃত হবে।’

এদিকে বিশ্বের শীর্ষ টার্মিনাল অপারেটররা চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনায় যুক্ত হওয়ায় অপারেটরদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে। এতে সক্ষমতাও বাড়বে বন্দরের।

চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য মো জাফর আলম বলেন, ‘একটাই বন্দর যেখানে জাহাজ আসবেই। যখন দুই তিনটা বন্দর হবে তখন প্রতিযোগিতা বাড়বে। তখন জাহাজের রেট কমবে এবং বন্দর পরিচালনার ব্যয়ও কমবে।’

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন হ্যান্ডলিং ও অপারেটিং এর সক্ষমতা বাড়লেও, শুল্কায়ন ও খালাস কার্যক্রমে প্রত্যাশিত গতি আসেনি। তাই বন্দরের পাশাপাশি কাস্টমসের কার্যক্রমে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনার দাবি তাদের।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ