1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ইউক্রেন যুদ্ধে পুরোনো টি-৫৫ ট্যাংক পাঠিয়েছে রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা চালায় রুশ সেনারা। এরপর কেটে গেছে এক বছরেরও বেশি সময়। এখনো যুদ্ধ চলছে। বাড়ছে তীব্রতা। যুদ্ধে অসংখ্য অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করছে রুশ বাহিনী। এতে তাদের ভান্ডারে থাকা বিপুল অস্ত্রসস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে এখন নিজেদের পুরোনো অস্ত্র ব্যবহার করছে রুশ সেনারা।

খবরে বলা হয়েছে, মার্চের শেষ দিকে সোভিয়েত আমলের টি-৫৫ মডেলের ট্যাংকগুলো পুরোনো গুদাম থেকে বের করে রুশ বাহিনী। যেগুলো ১৯৪৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের রেড আর্মি ব্যবহার করত। এই ট্যাংকগুলো এতই পুরোনো যে এগুলো এখন অনেক দেশের জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। তবে ট্যাংকগুলো পুরোনো হলেও এখনো বেশ কার্যকর বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

রেড আর্মির জন্য তৈরি এ যুদ্ধট্যাংক পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী রপ্তানি করা হয়। সহজে ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণের কারণে মিসর, চীনসহ অনেক দেশ এ ট্যাংক কেনে। বর্তমানে কিছু দেশে ট্যাংকগুলো এখনো সচল রয়েছে।

তবে যুগ বদলের সঙ্গে সঙ্গে এ ট্যাংকগুলোর শক্তি ও সামর্থ্য দুটোই কমেছে। ১৯৯১ ইরাকি বাহিনীর ব্যবহৃত এ ট্যাংক ২৩ কিলোমিটার দূর থেকে হামলা করে ধ্বংস করে রেকর্ড সৃষ্টি করে আধুনিক মার্কিন ট্যাংক।

রাশিয়ার কাছে যেসব টি-৫৫ ট্যাংক ছিল সেগুলোকে ১৯৮০ সালের পর থেকে অবসরে পাঠানো শুরু হয়। তবে ট্যাংকগুলো ধ্বংস করার বদলে রেখে দেয় মস্কো। তারা ভেবেছির, প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে। এখন তা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, রাশিয়ার কাছে টি-৫৫ মডেলের অন্তত ২৮ হাজার ট্যাংক আছে।

রাশিয়ার টি-৫৫ ট্যাংকগুলো আর্সেনভ ঘাঁটিতে রাখা ছিল। স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবিতেও দেখা গেছে এই ঘাঁটি থেকে পুরোনো ট্যাংক বের করছে দেশটি। এছাড়া কয়েকদিন ধরে যুদ্ধের সম্মুখভাগেও এগুলো দেখা যাচ্ছে।

রবার্ট লি নামে যুক্তরাষ্ট্রের একজন সামরিক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের আগে রাশিয়ার ৩ হাজার আধুনিক ট্যাংকের বিশাল বহর ছিল। কিন্তু ইউক্রেনীয়দের হামলায় তাদের চার ভাগের তিন ভাগ ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন যুদ্ধের মধ্যে তাদের যে পরিমাণ ট্যাংক দরকার সেই অনুযায়ী নতুন ট্যাংক তৈরি করতে পারছে না দেশটি। ফলে পুরোনো ট্যাংক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধের ময়দানে টি-৫৫ ট্যাংক ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করেনি। কিন্তু সামরিক ব্লগারদের প্রকাশিত সাম্প্রতিক ছবিতে এসব ট্যাংক যুদ্ধক্ষেত্রে দেখা গেছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ