1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় ছাত্রলীগ

দীপক চৌধুরী : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১২ জুন, ২০২২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের সুন্দর সেবা দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার ছাত্রলীগের শিক্ষার্থীরা। ১৮টি হলের নেতারা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। অংশগ্রহণকারী আগত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদেরও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হয়েছে।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্রের তথ্য জানিয়ে দেওয়া এবং কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার কাজটিও তারা করেছেন। ছোটখাটো সমস্যা যে কতটা প্রকট হয়ে উঠতে পারে তা ভোক্তভোগীরাই জানেন। এক্ষেত্রে আমারও ‘দীর্ঘ অতীতের’ একটি অভিজ্ঞতা রয়েছে। একটা সময় এই ‘সার্ভিস’টি এটি ছিল কল্পনার বাইরে। এটাকেই বলে বাস্তবতা।

ছাত্রলীগের কেউ কোনো অপরাধ করলে বা কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেই ঝাঁপিয়ে পড়ার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করে থাকি। কিন্তু এই ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটি যখন ভালো ও চমৎকার উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো কাজ করে তা আমরা না দেখার ভান করি। এটাই হয়ে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। সাদাকে ‘সাদা’ আর কালোকে ‘কালো’ বলতে আমরা কেনো অভ্যস্ত হতে পারিনি এ প্রশ্নটা ছোট নয়। আমি মনে করি, কিছু কিছু ইতিবাচক পরিবর্তনও তুলে ধরা উচিৎ সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার ঢা.বিসহ দেশের ৮ বিভাগীয় শহরে একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক-ইউনিটে ১ হাজার ৮৫১টি আসনের বিপরীতে প্রায় ১ লাখ সাড়ে ১৫ হাজার পরীক্ষার্থী অংশহণ করেছে। ঢাকায় প্রায় ৬৩ হাজার এবং বাকি ৫৩ হাজার ঢাকার বাইরে পরীক্ষা দিয়েছে।

ছাত্রলীগ ‘জয় বাংলা’ বাইক সার্ভিসের মাধ্যমে ভুল কেন্দ্রে চলে আসা শিক্ষার্থীদের দ্রুত সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছে। শিক্ষার্থীদের বহনকৃত মোবাইল, মানিব্যাগ, ঘড়ি, ব্যাগসহ সকল জিনিস-পত্র টোকেন সিস্টেমের মাধ্যমে নিরাপদে রেখে এবং পরীক্ষার শেষে দায়িত্ব নিয়ে আবার ফিরিয়ে দেওয়া, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের এডমিট কার্ড না আনা শিক্ষার্থীদের এডমিট কার্ড প্রিন্ট করে দেওয়া হয়েছে। যে সকল শিক্ষার্থী কেন্দ্র সম্পর্কে অবগত নয় তাদেরকে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা, শিক্ষার্থীদের জন্য মাক্স, কলম, পানির সুব্যবস্থা রাখা ।
তাদের অভিভাবকদের জন্য প্যান্ডেল তৈরি করে চেয়ারে বসার ব্যবস্থা করা । আগত শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের জন্য মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা করা, তাৎক্ষণিকভাবে কেউ অসুস্থ হলে মেডিকেল সেন্টারের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থাকরা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১৮ টি হলের ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা নিশ্চিতকরণে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের সহায়তা ও তথ্য কেন্দ্র কলাভবন (প্রধান ফটক)- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগ, বঙ্গমাতা হলের সামনে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ছাত্রলীগ, মোকাররম ভবন- শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগ, গণিত ভবন- অমর একুশে হল ছাত্রলীগ, কাজী মোতাহার হোসেন ভবন- জগন্নাথ হল ছাত্রলীগ, উদয়ন স্কুল- সলিমুল্লাহ হল ছাত্রলীগ, বসুনিয়া চত্ত্বর- স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট- মুহসীন হল ছাত্রলীগ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ- বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগ, ক্যাম্পাস শ্যাডো সূর্যসেন হল ছাত্রলীগ, কার্জন হল (১) সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগ, কার্জন হল (২)- ফজলুল হক হল ছাত্রলীগ, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি- রোকেয়া হল ছাত্রলীগ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবন- শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় মসজিদ শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগ, কলাভবন (পেছনের গেট)- মুক্তিযোদ্ধা হল ছাত্রলীগ, মধুর ক্যান্টিন- কবি জসীম উদ্দীন হল ছাত্রলীগ, কলাভবন (অপরাজেয় বাংলা) শামসুন্নাহার হল ছাত্রলীগ, সমাজকল্যাণ অনুষদ- বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগ, চারুকলা অনুষদ- চারুকলা অনুষদ ছাত্রলীগ, ইনস্টিটিউট অফ লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি লেদার ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগ, হাকিম চত্ত্বর গেট- আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগ।

নিজেদের মতো করে শিক্ষার্থীদের গড়ে ওঠার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সবসময় চামচ দিয়ে খাইয়ে দেওয়ার দরকার নেই। নিজেদের মতো করে তারা বড় হলে দক্ষতা ও সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে।’
অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে আমরা খবর পেয়েছি, তারা কোনও ধরনের সমস্যা ছাড়া যথাযথভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করছেন। আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলেছি, প্রশ্নপত্রের মান ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’ পরিবেশ-ব্যবস্থাপনার বিষয়ে গুণী এ অধ্যাপক বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আসা আমাদের শিক্ষার্থীরা এবং স্বেচ্ছাসেবকরা পরিবেশকে সুন্দর রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট ছিল।’

অভিভাবকদের ক্যাম্পাসে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়েছেন উপাচার্য। দেশের খ্যাতিমান এই অধ্যাপকের মতে, সমাজ, মানুষ, জাতি, সংস্কৃতির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নানাভাবে পরিচয় ঘটুক। এতে করে তারা দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হওয়ার জন্য শক্তি পাবে।

দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোর বিষয় বৈচিত্র দেখলে বিস্মিত হতে হয়। তারুণ্যের বহুবিধ সুঅনুভূতির চিন্তা ও কর্মকাণ্ড আমরা দেখতে পাই। সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িকতা নেই, বিশেষ ধর্মের ভাবধারা নেই। এ কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও অপূর্ব মিলন ও মানবিকতা দেখা যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের যে, দেশটির স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী ও হত্যার প্রশ্রয়কারীদের নিয়ে তৈরি সংগঠন ‘দলীয় রাজনীতি’র সুযোগে গলা উঁচিয়ে স্লোগান দিতে পারে। বাঙালির প্রাণের স্লোগান ‘জয় বাংলা’কে দাবিয়ে রাখার চিন্তা ও রাজনীতি এখানে বিচরণ করে কীভাবে– এমনটা ভাবতেও অবাক লাগে।

লেখক : দীপক চৌধুরী – সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও কথাসাহিত্যিক।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ