1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

লেজার পার্লারের আড়ালে তৃতীয় লিঙ্গ রূপান্তরের অবৈধ কারবার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০২২

লেজার বিউটি পার্লারের আড়ালে তৃতীয় লিঙ্গ রূপান্তরের অবৈধ কারবার। এমনকি অবৈধভাবে ঠোঁট ফোলানো, শরীর ফর্সা করা এবং সিলিকন ব্রেস্ট ইমপ্লান্টও করা হতো। সম্প্রতি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন সহযোগীসহ প্রতারকচক্রের ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে। জব্দ করা হয়েছে বিপুল সার্জিক্যাল সরঞ্জাম ও ওষুধ।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, ভিক্ষাবৃত্তি ও দল ভারী করতে অন্তত ১০০ জনকে তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তর করেছে হিজরাদের একটি চক্র।

কোনো নিউরোসার্জন কিংবা কসমেটিক সার্জন নয়। তারপরও নিজেকে পরিচয় দেন স্বীকৃত মেডিকেল চিকিৎসক হিসেবে। আর ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে খুলে বসেন লেজার বিউটি পার্লার। যেখানে লাখ টাকার বিনিময়ে করে থাকেন তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তর, লেজার, থ্রেড, বোটক্স, ঠোঁট ফোলানো, শরীর ফর্সা করা এবং সিলিকন ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট ।

অভিযোগ পেয়ে রাজধানীর মালিবাগের হাসান টাওয়ারের একটি লেজার বিউটি পার্লারে অভিযান চালায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় ভুয়া চিকিৎসক হাদিউজ্জামান ও তার তিন সহযোগীকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দারা। জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ সার্জিক্যাল সরঞ্জাম ও ওষুধপত্র।

ভুয়া চিকিৎসক হাদিউজ্জামান বলেন, খুলনায় এক চিকিৎসকের সঙ্গে কাজ করতাম। সেই চিকিৎসকের কাছ থেকে শিখেছি।

পুলিশ জানায়, ভিক্ষাবৃত্তি আর নিজেদের দল ভারী করতে তৃতীয় লিঙ্গদের মধ্যে একটি গ্রুপ প্রলভন দেখিয়ে পুরুষের লিঙ্গ কেটে তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তর করে। আর সেই কাজটি করছিল এ প্রতারকচক্র।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের সমাজে যারা একটু মেয়েলিস্বভাব। তাদের বেশির ভাগ তৃতীয় লিঙ্গের সঙ্গে মিশেন। এদের একজন গুরুমা রয়েছেন। গুরুমা তাদের প্রেশার দিয়ে নিয়ে আসেন। তিনি চিকিৎসক ও কসমেটিকস সার্জনও না। রোগীদের কাছ থেকে এক লাখ করে নিয়ে তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তর করে থাকেন। এ পর্যন্ত ১০০ জনকে তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তর করেছেন। সিলিকন ব্রেস্ট ইমপ্লান্টসহ বিভিন্ন অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন তিনি।

আটকরা শতাধিক মানুষের কাছ থেকে অবৈধ উপায়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিষয়টি স্বীকারও করেছে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে।

এ চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকি সদস্যদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ