জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) প্রেসিডেন্ট মি. কাজুশিজি নবোতানি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ কথা জানান।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেট্রোর প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই জাপানের অটোমোটিভ প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং জাপানি আইটি সংস্থাগুলো এ কর্মী নিতে আগ্রহ প্রকাশ করছে।
এছাড়াও জেট্রোর প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কর্তৃক আইসিটি খাতসহ বিভিন্ন খাতে বাস্তবায়িত বিশাল অবকাঠামো উন্নয়ন ও কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বৈঠকে তাঁরা জাপান-বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কিভাবে যৌথভাবে কাজ করা যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এছাড়াও বৈঠকে জাপানী বেসরকারি খাত ও বাংলাদেশী আইটি ফার্মগুলোর মধ্যে ব্যবসায়িক সহযোগিতা বাড়ানো এবং স্টার্টআপ এক্সচেইঞ্জ বিষয়ও আলোচনা করা হয়।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানান, এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্পের মাধ্যমে আইসিটি বিভাগ জাপানের আইটি খাতের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। তিনি বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কগুলোতে জাপানি বিনিয়োগ আনতে জেট্রোর সহযোগিতা কামনা করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সর্বশেষ অগ্রগতি এবং ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপরেখা তুলে ধরেন। বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী জানান আমরা কার্যকর স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছি।
পলক জেট্রোর প্রেসিডেন্টের সাথে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং ও ন্যনোটেক ডিজাইনিং এবং সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী জাপানি ভাষায় লিখিত বঙ্গবন্ধুর জীবনী,জেট্রো-আইসিটি বিভাগের যৌথ অংশীদারিত্বের একটি স্যুভেনিয়ার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে লিখিত বই জেট্রো চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেন।
এসময় আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিনসহ জেট্রোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।