1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কমিশন অচিরেই হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০২২

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাঙালির শোকের শ্রাবণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নেপথ্য অপনায়কদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠনের দাবি জানায় বক্তারা।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কমিশন অচিরেই হবে বলে জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ‘আমরা কমিশনের রূপরেখা তৈরি করেছি। ২০১৯ সালে যখন (কমিশন গঠনের) প্ল্যান করলাম, তখন করোনার সংক্রমণ শুরু হলো। কমিশন গঠনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কন্যা ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। এক্ষেত্রে তার আদেশ শিরোধার্য। তিনি হয়তো পরিমার্জন করবেন, সেজন্য এর আগে আমি এটি জনসম্মুখে আনতে চাই না।’

‘বঙ্গবন্ধু হত্যা কোনও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয়, বরং এটা ষড়যন্ত্রমূলক হত্যাকাণ্ড’, মন্তব্য করে আনিসুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হবে এটা কেউ ভাবতেও পারেনি। যারা তাকে হত্যা করেছে, তারা বুঝতে পেরেছিল, যে ব্যর্থ রাষ্ট্র তারা করতে চেয়েছে, তার পরিবারের এক ফোঁটা রক্ত থাকলে সেটা তারা করতে পারবে না। এ থেকেই বোঝা যায় এটি পূর্বপরিকল্পিত, ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু নিজেকে সাধারণ মানুষ ভাবতেন। তবে তিনি মোটেও সাধারণ মানুষ ছিলেন না। তিনি বিশ্ব নেতৃত্বে স্থান করে নিয়েছিলেন সাধারণ মানুষের নেতৃত্ব দিয়ে।’

‘দেশে অবাধ বাকস্বাধীনতা রয়েছে’ দাবি করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক চেয়ারম্যানের কাছে কিছু মানবাধিকার কর্মী বলেছে, বাংলাদেশ নাকি পুলিশি স্টেট। অথচ এরা টকশোতে যায়, তারা অসভ্য ভাষা পর্যন্ত ব্যবহার করে। আমরা বাধা দিই না, এটাই বাকস্বাধীনতা। এটাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক বলেন, আমরা আত্মতৃপ্তির জন্য বলে থাকি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা কি তাই? বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের ঘটনায় অত্যন্ত শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।

বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে এই হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য গায়েব করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো তো খুঁজে বের করা চাট্টিখানি কথা নয়। সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল, তা নয়, তার আদর্শকেও হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা একটি গণহত্যার শামিল। এই হত্যাকাণ্ড তো হঠাৎ করে ঘটেনি। এর একটি বিশাল প্রেক্ষাপট ছিল। সেই গোষ্ঠী এখনও এদেশে রাজনীতি করছে।

বিশেষ অতিথি সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ছাড়া পেলেন কারাগার থেকে, তিনি লন্ডন পৌঁছালেন, সেখানে তিনি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তিনি এ দেশের মানুষকে ভালোবাসতেন, আর ভালেবেসেই তাকে জীবন দিতে হয়েছিল।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় আলোচনা সভাটির সভাপতিত্ব ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল এটির সঞ্চালনা করেন।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ