1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পাবনার লিলি বেগমের চোখের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩

পাবনার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী লিলি বেগম। চোখের দৃষ্টি হারানোর পর স্বামী ছেড়ে চলে যান। সন্তান নিয়ে আশ্রয় নিতে হয় বাবার বাড়িতে। তার বাবা এক টুকরো জমি বেচে তার চোখের চিকিৎসা করালেও, সুস্থ হননি। একসময় অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যায় চিকিৎসা।

বুধবার (৯ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর উপহার পান দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী লিলি বেগম। এ সময় লিলি বেগমের কথা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে তার চিকিৎসা করানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার (৯ আগস্ট) সকালে গণভবন থেকে দেশের তিনটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে চতুর্থ ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের উপকারভোগী হলেন লিলি বেগম।

লিলি বেগম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মনের কথা ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমার জামাই আমাকে ফেলে চলে গেছে। আমার বাবা-মা আমার চিকিৎসা করিয়েছে কিন্তু এখন টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারি না। আমি প্রতিবন্ধী ভাতা পাই। আমি এখন আপনার দেওয়া রাজপ্রসাদে (উপহারের ঘর) আছি। এখন আমার আট বছরের সন্তান বলতে পারে এটা আমাদের জমি, এটা আমার মায়ের ঘর। আমি দোয়া করি আপনি সারাজীবন বেঁচে থাকন।’

এ সময় তিনি আবেগআপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমার সন্তানের বয়স যখন সাত মাস, তখন চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমার চোখের দৃষ্টি চলে যায়। আমার ছেলের বয়সে এখন আট বছর।’

বক্তব্য শেষ করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিলে তিনি শেখ হাসিনা আবার লিলির কাছে তার চিকিৎসা বন্ধ হওয়ার কারণ জানতে চান এবং কোথায় চিকিৎসা নিতেন, তাও জানতে চান।

লিলি বলেন, ‘আমি ঢাকার গাজীপুরে থাকতাম, গার্মেন্টসে চাকরি করতাম। ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএসএমইউ) চিকিৎসা করাতাম। কিন্তু করোনার পর আমার বাবা আর আমার চিকিৎসা করাতে পারছিল না। তখন আমাকে দেশে (গ্রামে) নিয়ে এসেছে। আমি এখন দেশেই থাকি।’

সবকিছু শুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওকে চক্ষু ইনস্টিটিউটে দেখালে ভালো হতো।’

তখন পাবনার জেলা প্রশাসক মু আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সব ব্যবস্থা করবো, স্যার। যা যা করার দরকার আমরা করবো।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘ওকে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পরীক্ষা করাও।’

পরে লিলি বেগম বলেন, ‘আমি খুবই ধন্য আপনি আমার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন। আজকে আপনি আমার মা-বাবার মতো আমার পাশে দাঁড়ালেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তোমার চিকিৎসা করায়ে দেবো, তুমি ভালো হয়ে যাবে। আমরা দেখবো চেষ্টা করে।’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ