1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দেশের সম্ভাবনাময় খাত হয়ে উঠেছে ওষুধ রপ্তানি

বাণিজ্য প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৩

বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়াসহ ১৩১টি দেশে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানি খাত থেকে আয় হয়েছে ১৭ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। এর মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ১ কোটি ৫২ লাখ ডলারের ওষুধ। বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা মূল্যের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে এ তথ্যচিত্র গর্বের।

ওষুধ রপ্তানি সবচেয়ে বেশি হচ্ছে প্রতিবেশী দুই দেশে। বিদায়ী অর্থবছরে দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারকরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে সর্বোচ্চ ২ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের ওষুধ রপ্তানি করেছেন। বাংলাদেশি ওষুধের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার শ্রীলঙ্কায় রপ্তানি হয়েছে ২ কোটি ১৯ লাখ ডলারের ওষুধ। মিয়ানমার এবং শ্রীলঙ্কার পর শীর্ষ ১৫ আমদানিকারকের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন, আফগানিস্তান, কেনিয়া, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, নেপাল, নাইজেরিয়া, ডেনমার্ক, সোমালিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া। যদিও প্রতি বছর বাংলাদেশের ওষুধপণ্য রপ্তানির পরিমাণ প্রত্যাশিত মাত্রায় বাড়ছে না, তবু স্থানীয় উৎপাদকরা বিশ্বজুড়ে তাদের বাজার বৈচিত্র্যময় করছেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ১৭ কোটি ৫৪ লাখ ডলার হলেও আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ওষুধ কোম্পানির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, মাত্র দুই দশক আগে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি বাজার ৩০টির কম দেশে ছিল। এখন এটি ১৩০টির বেশি দেশে সম্প্রসারিত হয়েছে। বাংলাদেশের ওষুধ দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে রপ্তানির আশা করছেন রপ্তানিকারকরা। স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় ওষুধের ৯০ শতাংশ ছিল আমদানিনির্ভর। সে চিত্রের অবসান ঘটিয়ে দেশের জন্য প্রয়োজনীয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ওষুধ দেশে উৎপাদিত হচ্ছে। রপ্তানি পণ্য হিসেবে ওষুধ স্বপ্ন দেখাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি ওষুধের বাজার সম্প্রসারণ ইতিবাচক হলেও রপ্তানি সে হারে বৃদ্ধি না পাওয়া হতাশাজনক। এ বিষয়টি পর্যালোচনা করে করণীয় নির্ধারণ করা হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশ থেকে চলতি অর্থবছরে ৩৪ আইটেমের পণ্য রপ্তানি হয়েছে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে। এ পণ্য থেকে আয় হয়েছে তিন কোটি ৮৮ লাখ ডলার। এর মধ্যে শুধু ওষুধ রপ্তানি হয়েছে দুই কোটি ৭৬ লাখ ডলারের, যা মিয়ানমারে মোট রপ্তানির প্রায় ৭১ শতাংশ। আবার ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ১৪০টি দেশে মোট ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের ওষুধ রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওষুধ রপ্তানি হয়েছে মিয়ানমারে। ওষুধ রপ্তানিতে এর পরই আছে শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্র। দেশগুলোতে গত অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানি হয়েছে যথাক্রমে ২ কোটি ৩২ লাখ, ২ কোটি ২৬ লাখ ও ১ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের। আগের অর্থবছরেও বাংলাদেশ থেকে ওষুধ রপ্তানির শীর্ষ দেশ ছিল মিয়ানমার।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশীয় ৪৬ কোম্পানির ৩০০ ধরনের ওষুধপণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি হয়। বিশ্ববাজারে এখন ওষুধের বার্ষিক ব্যয় ৯৫ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। ইপিবির তথ্য বলছে, সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানি হয়েছে ১৩ কোটি ৫৭ লাখ ডলারের। আগের বছরের চেয়ে ওষুধ রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। করোনায় ওষুধের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দেশের পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার দামের পালেও হাওয়া লেগেছে। মে ও জুনের শেয়ার লেনদেনে ওষুধ খাত ব্যাপকভাবে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। তবে এই ইতিবাচক দিকের মধ্যে দুঃখজনক সংবাদ হচ্ছে অভ্যন্তরীণ বাজারে ওষুধের দাম বৃদ্ধি ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি। আমরা মনে করি, নিয়মিত বাজার তদারকির ব্যবস্থা না থাকলে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ওষুধের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা দেশের জন্য সুখবর। যে করেই হোক এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং এর কোনো বিকল্প নেই।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ