1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

শেখ হাসিনার ভারত সফর : একটি সরল মূল্যায়ন

অধ্যাপক ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

সম্প্রতি ভারতে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই সফরকে ব্যর্থতার কালিমায় কলঙ্কিত করার জন্য একটি গোষ্ঠীর তৎপরতা দেখলে চরম হতাশ হতে হয়! একেবারে নাছোড়বান্দা হয়েই তারা যত্রতত্র নানা কিচ্ছা কাহিনির অবতারণা করছেন- প্রয়োজন-অপ্রয়াজনের সীমারেখা মানছেন না। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী অন্য একটি দেশে সৌজন্য সফরেও যেতে পারেন। সাধারণত সেটা না করে উভয় দেশ তাদের স্ব-স্ব স্বার্থ বিবেচনায় কিছু কিছু বিষয় উচ্চ পর্যায়ের এরূপ সফর চলাকালে আলোচনার টেবিলে উপস্থাপন করে থাকে। চুক্তি হয়, সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর হয়, কিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকে। এই সফরে জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পাশাপাশি কিছু ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কৃত্যও পালন করেছেন। অনেকের এরূপ ধারণা বদ্ধমূল যে, ভারতে সফর মানেই কিছু না কিছু আনতে যাওয়া! এই মানসিকতার পশ্চাতে এক ধরনের হীনমন্যতা আছে। বলার অপেক্ষা রাখে না আমাদের অনেকের মধ্যে এই হীনমন্যতাই প্রবল। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতোই জননেত্রী শেখ হাসিনা কোনো রকমের হীনমন্যতাকে প্রশ্রয় দেন না।

হ্যাঁ, ভারতের সাথে আমাদের অনেক অমীমাংসিত ইস্যু রয়েছে। সে সব ইস্যু মীমাংসার জন্য একেবারে সশরীরে সফরের দরকার হয় না। প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েও অনেক কিছু করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে উভয় রাষ্ট্রের সদিচ্ছা জরুরি। আবার আমরা এও মনে করি যে, ‘যাওয়া-আসা’র মধ্য দিয়ে বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক গাঢ়তর হয়। যে কোনো সম্পর্ককে আসলে ‘লালন’ করতে হয়- সে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক কিংবা আন্তর্জাতিক যে সম্পর্কই হোক না কেন। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। এবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করেছেন। এই আসা যাওয়ায় ফখরুল সাহেবদের মতে ‘দৃশ্যমান’ কিছু অর্জিত না হলেও বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক দৃঢ়তর হয়েছে একথা বিশ্বাস করতে আমাদের অসুবিধা হয় না।

বাংলাদেশ ও ভারত প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র। আওয়ামী লীগ মনে করে ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। অপরদিকে ভারতও শেখ হাসিনার শাসনামলের বাংলাদেশকে সুপ্রতিবেশী মনে করে। উপরন্তু, ভৌগোলিক কারণে ভারত বাংলাদেশকে কিছুটা বাড়তি গুরুত্বও দেয়- দিতে হয়। আবার, দ্বি-পাক্ষিক কিছু অমীমাংসিত বিষয়ে ভারত আন্তরিক হলে সঙ্কট অনেকাংশেই হ্রাস পেত। এর মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন অন্যতম। বলার অপেক্ষা রাখে না, তিস্তা সঙ্কটের সমাধান হলেই দেশের জনগণ অন্য ১০টি প্রাপ্তির চেয়ে বেশি খুশি হতো। সবই বলা সহজ করা কঠিন! যদিও আন্তর্জাতিক আইনে তিস্তার পানির ওপর বাংলাদেশের ন্যায্যতা থেকে ভারত আমাদেরকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত করে রেখেছে। বঞ্চিতই শুধু নয়- শুষ্ক মওসুমে পর্যাপ্ত পানি না-পাওয়ায় তীব্র খরা আর বর্ষা মওসুমে বাধ খুলে দেওয়ায় ভয়াবহ বন্যাকবলিত হয় আমাদের উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা। এটি যে ভারতের অমানবিক মনোভাবের প্রকাশ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

ভারতের ‘তিস্তা নীতি’ বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনেও নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ছোট বড় ৫৪টি নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সমস্যা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় চতুর্দিক-বেষ্টিত বলে ভারতের সাথে আমাদের সমস্যাও বেশি। আবার, সমস্যা যতই থাকুক বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত ঐতিহাসিকভাবেই ঘনিষ্ট সম্পর্কে যুক্ত। রক্তের সম্পর্কেও উভয় দেশের মধ্যে অদৃশ্য বন্ধন রয়েছে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর রক্তও আমাদের বিজয় অর্জনকে ত্বরান্বিত করেছে। এছাড়াও, জীবনযাপন এবং সংস্কার-সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ও ভারতের নৈকট্য শুধু বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়- আত্মীয়তার সম্পর্কেও ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণ অটুট ঐক্যে আবদ্ধ। দেশভাগের বিচ্ছেদ বেদনায় কাতর রক্ত-সম্পর্কের ঘনিষ্ট স্বজনেরা এখনো উভয় দেশে স্মৃতি হাতড়ে বেড়ান! ভূ-রাজনৈতিক সীমান্তরেখা কঠোর হলেও দুই পারের মানুষের মধ্যে আত্মিক বন্ধন বিচ্ছেদের হাহাকারে ধ্বনিত হয়। মানবিকতার সেই বন্ধনের গভীর উচ্ছ্বাস আমরা মাঝেমধ্যেই লক্ষ করি। উভয় দেশের মানুষের মধ্যকার ইতিহাসচারী আলোচনায় আন্তরিকতার সেই স্পর্শ অনুভূত হয়। অতীতের সুখস্মৃৃতি নিয়ে উভয় দেশের মানুষই ক্ষণিকের জন্য হলেও পুলক বোধের চেষ্টা করেন। এরূপ ঐতিহ্যিক কারণেই ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঊর্ধ্বে এবং গত এক দশকে তা আরও জোরদার হয়েছে’- বলে মন্তব্য করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেছেন ‘বিগত ৫০ বছরে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পর, উভয় দেশই ক্রমবর্ধমান বিস্তৃত সেক্টরাল সহযোগিতায় কাজ করছে।’

রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান হিসেবে পৃথিবীর যে কোনো দেশ সফরই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো প্রধানমন্ত্রী যখন ভারত সফর করেন তখন সেই সফরের দিকে সূক্ষ্ম নজর থাকে সবার, নজর থাকে তিস্তার ওপর। শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরেও দেশের আপামার মানুষ উৎসুক হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন ভারত সফর করেন তখন মানুষের মধ্যে আগ্রহ, উত্তেজনা ও ঔৎসুক্য বেশি পরিমাণে দেখা যায়। কারণ নানাবিধ। একদিকে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর শেখ হাসিনা তার সন্তানসহ ৬ বছর ভারতে আশ্রিত ছিলেন। অপরদিকে, জন্মের আতুর ঘর থেকেই বিএনপির অভিযোগ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দেবে! এটি শুধু অভিযোগ হলেও মন্দ ছিল না- এটি একটি অতিকায় ‘ভয়’ও! বিএনপি দেশের মানুষকে এই ভয় দেখিয়েই দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল- যাকে বলে ক্ষমতাকে ‘ভোগ’ করেছিল। গভীরভাবে লক্ষ করলে বোঝা যাবে, শেখ হাসিনার ভারত সফরের প্রসঙ্গ নানা কারণে নানা জায়গায় আলোচনার বিষয়ে পরিণত- আলোচনার চেয়ে নেতিবাচক সমালোচনা হিসেবেই চতুর্দিকে তা বিস্তৃত, তির্যক সমালোচনা!

একদল অতি-চেনা মানুষ ভারত বিদ্বেষকে নানাভাবে উস্কে দিয়ে সাধারণের মনস্তাত্ত্বিক জগতে ঋণাত্মক প্রভাব বিস্তারে সক্রিয়। পাশাপাশি, নানা রকমের নেতিবাচক আলোচনা ও সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে এই গোষ্ঠীটি। গণমাধ্যম এবং সাম্প্রতিককালের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তারা অত্যন্ত তৎপর। পৃথিবীর অন্যত্র সরকারি সফরের চেয়ে ভারতে সফর বেশি সমালোচনার জন্ম দেয় এই কারণে যে, আওয়ামী লীগ বিরোধীরা বিশেষত বিএনপি সব সময় জনগণকে এটাই বোঝাতে তৎপর যে, বাংলাদেশ যে কোনো সময় ভারতের অংশ হয়ে যাবে! খালেদা জিয়ার নির্বাচনী জনসভার ভাষণ কখনোই শেষ করা সম্ভব হতো না এই কথা না বললে যে, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে দেশ ভারত হয়ে যাবে! এ দেশের মসজিদে মসজিদে আজানের পরিবর্তে ৫ বার ঘণ্টার ধ্বনি বাজবে, দিল্লি হয়ে যাবে বাংলাদেশের রাজধানী ইত্যাদি কত কী! এরূপ বিষাক্ত বচনের জ্বলন্ত আগুনের মধ্যে পতঙ্গের উচ্ছ্বাসে ঝাঁপিয়ে পড়েছে এক শ্রেণির মানুষ! তারা সত্যিসত্যি বিশ্বাস করতো আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দেবে! বিএনপি এখনো এসবই সাধারণ মানুষকে বিশ্বাস করাতে চায়! কিন্তু টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পরও বাংলাদেশ যে ভারতের কাছে বিক্রি হয়নি এটিও সেই আত্মহারা অবিবেচকগণ বুঝতে চান না! বুঝতে চান না এ দেশের কোনো মসজিদে কোনো দিন কোনো ঘণ্টারও শব্দ হয়নি! তবু তাদের ধোঁকার কাছেই বোকা হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকবেন কিছু মানুষ- এটাই যেন তাদের নিয়তি! কিন্তু এসব ভাওতাবাজির রাজনীতির দিন শেষ। এখন রাজনীতিতে এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা যুক্ত হয়েছে। দেশকে, দেশের মানুষকে উন্নত জীবনের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ‘মিশন’ ও ‘ভিশন’ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। কল্পকাহিনি ও জুজুর ভয় দেখিয়ে রাজনীতির দিন আর নেই। সে কথা দেশের সাধারণ মানুষও বুঝতে শুরু করেছে।

শেখ হাসিনার ভারত সফরে এবারও তিস্তা চুক্তি সম্পাদিত হয়নি বলে অনেকে আক্ষেপ করেছেন। এটি স্বাভাবিক। কিন্তু তিস্তা চুক্তি এই সফরের এজন্ডায় থাকলে আগেই টের পাওয়া যেতো। এজেন্ডায় থাকা অবস্থায় চুক্তি না হলে আফসোস যৌক্তিক হতো। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত হয়েছে- চুক্তি সম্পাদিত হয়নি বলে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সফরকে অনেকে নিষ্ফল বলতে চাইছেন। ‘দৃশ্যমান অর্জন নেই’ বলেও বিএনপি জনগণকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে। অথচ একদা বেগম জিয়া ভারত সফর শেষে দেশে ফিরলে গঙ্গার পানি বণ্টন সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন : ‘আমার মনে ছিল না’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম না থাকলেও এ নিয়ে সে সময় রঙ্গরস ও ব্যঙ্গকৌতুক কম হয়নি! আগামী নির্বাচনে ভারতের সহযোগিতার জন্য শেখ হাসিনার এই সফর বলে বিএনপি-পন্থীরা নিন্দাও করছেন বিস্তর। কিন্তু এ প্রসঙ্গেও বলা জরুরি যে, নির্বাচনে সহযোগিতা চাইতেও শেখ হাসিনাকে সশরীরে ভারত সফরের কোনো দরকার ছিল না। বর্তমান যুগে এ প্রশ্ন উত্থাপন বোকামি ছাড়া আর কি! তবে, সম্পকর্কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়েই অমীমাংসিত বিষয়গুলো মীমাংসিত হবে এমন আশাবাদ আমাদের। আবার, বাস্তবতাও আমাদেরকে মেনে চলতে হবে। দীর্ঘদিনের সঞ্চিত সব সমস্যার সমাধান একদিনে সম্ভব নয়। এবার যে সমস্ত চুক্তি ও সমঝোতা হয়েছে তার অধিকাংশই সময়োপযোগী সন্দেহ নেই। সে বিবেচনায় শেখ হাসিনার ভারত সফর অনেকটাই সফল।

আমাদের বিবেচনায় শেখ হাসিনার এবারকার ভারত সফরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় সমঝোতার মধ্যে অন্যতম ‘তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানিতে ফ্রি ট্রানজিট পাবে বাংলাদেশ’। আমরা মনে করি ভারতের এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক সাড়া জাগবে। শুল্ক প্রদানের বিনিময়ে হলেও বাংলাদেশের এ দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। সে ক্ষেত্রে বিনা-শুল্কে ভারতে নিকট এই সুবিধা পাওয়া গেছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নেপাল ও ভুটানে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করবে! তিস্তার বিষয়ে অব্যাহত চাপ বজায় রেখে ফ্রি ট্রানজিটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয়ের ক্ষতি আংশিক হলেও বাংলাদেশ পুষিয়ে নিতে পারবে। সুতরাং সার্বিক বিবেচনায় জননেত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরকে আমরা সফল বলেই মনে করি।

প্রকৃতপক্ষে বিএনপি এবং তার সমমনা অনেকেই এ দেশের সাধারণ মানুষকে যতভাবে পারছেন বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় নিয়োজিত রয়েছেন। আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে এ কথা মনে রাখতে হবে যে, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিচারের মাধ্যমে যাদের শাস্তি কার্যকর হয়েছে তাদের জ্ঞাতি-স্বজনেরা যে যেভাবেই পারুক শেখ হাসিনা যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারেন প্রাণপণে সে চেষ্টাই করছেন। এজন্য দেশি-বিদেশি নানা এজেন্টও তারা নিয়োগ করেছেন। আওয়ামী লীগের শত্রুও এখন দেশে যেমন বিদেশেও তেমনি। তাই সাম্প্রতিককালের ভারত সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সফল চুক্তি ও সমঝোতাগুলোকে তারা হেয় প্রতিপন্ন করে সাধারণকে ভুল পথে চালিত করছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ যে এসব কৌশলকে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা হিসেবেই দেখছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

লেখক : ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম – অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ