একসময় বিএনপির বন্ধু ছিল চীন। সেই বন্ধুত্ব টুটে গেছে। ঠিকাদার দেশ চীন যেখানে যে সরকার থাকে তার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে এবং বজায় রাথে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের সম্পর্ক বরাবর বৈরী। এই বৈরী সম্পর্ক আর ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে চীন-রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতা সম্পন্ন দুই পরাশক্তি রাষ্ট্র এখন বাংলাদেশ তথা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের পক্ষে।
ভারতের সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক। নরেন্দ্র মোদী প্রমান করেছেন আওয়ামী লীগের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক কংগ্রেসের নয়, ভারত সরকারের। বিএনপির নেতৃত্বে এন্টি আওয়ামী লীগ দলগুলোর ঐক্য আন্দোলন, এক দফা ঘোষনা স্বত্ত্বেও কোন মোমেন্টাম সৃষ্টি করতে পারেনি। মির্জা ফখরুলকেও পেয়ে গেছে গ্রেফতারের ভয়। প্রথম দিকে ইউনূস ইউনূস করলেও অতঃপর তারাও বুঝে গেছেন ইউনুসে তাদের লাভ নেই। মার্কিন ক্রীড়নক ইউনূস ক্ষমতায় আসতে চান নিজের জন্য। বিএনপির জন্যে নয়। দেশে থাকলে ইউনূসও গ্রেফতার হবেন। দিল্লি থেকে ফেরার পর শেখ হাসিনার বডি ল্যাংগুয়েজ নির্দেশনা দেবে আগামী দিনের রাজনীতির। দেশে বিএনপিবিহীন আরেকটি নির্বাচন হবার সম্ভাবনা বেশি।
লেখক : ফজলুল বারী – প্রবাসী সাংবাদিক