1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

গাজীপুরে নির্মিত হচ্ছে কমলাপুরের চেয়ে পাঁচগুণ বড় কনটেইনার ডিপো

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

রাজধানীর অদূরে গাজীপুরের ধীরাশ্রমে নির্মিত হচ্ছে কমলাপুরের তুলনায় পাঁচগুণ বড় ইন্টারনাল কনটেইনার ডিপো (আইসিডি)। এর জন্য আগামী অক্টোবর থেকেই শুরু হচ্ছে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া। এটি নির্মিত হলে  বর্তমানে ঢাকার কমলাপুরের আইসিডির তুলনায় ৫ গুণ বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। এর ফলে সড়কপথের মাধ্যমে কনটেইনার পরিবহনের চাপ কমবে।

অপরদিকে পুবাইল থেকে রেললিংকের মাধ্যমে সরাসরি ধীরাশ্রম আইসিডিতে কনটেইনার পরিবহনের ফলে ঢাকায় কনটেইনারবাহী ট্রেন আসার প্রয়োজন হবে না। ফলে ঢাকায় কনটেইনারবাহী সড়ক যান চলাচলের প্রয়োজনীয়তা কমে যাওয়ায় যানজটও হ্রাস পাবে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে,  সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘ধীরাশ্রম আইসিডি নির্মাণের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণসহ পুবাইল-ধীরাশ্রম রেল লিংক নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪০২ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের অক্টোবরে শুরু হয়ে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে রেলপথ মন্ত্রণালয়। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে পুরো ব্যয় নির্বাহ করা হবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ধীরাশ্রমে পরিকল্পিত আইসিডি নির্মাণের লক্ষ্যে ২৩১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। পুবাইল থেকে ধীরাশ্রম পর্যন্ত ৭ দশমিক ১৬ কিলোমিটার রেল লিংক নির্মাণ করা হবে। মূলত এই উদ্দেশ্যেই প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

অপরদিকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় ২৩০ দশমিক ৯৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। ৭ দশমিক ১৬ কিলোমিটার রুট নির্মাণ করা হবে। মেজর ব্রিজ-১৭৫ মিটার, মাইনর ব্রিজ-৩৫ মিটার রেলওয়ে স্থাপনা নির্মিত হবে। প্রকল্পটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় উচ্চ অগ্রাধিকার বিশিষ্ট প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সূত্র জানায়, প্রকল্পটি সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এর কারণ ব্যাখ্যা করে পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অধ্যায় ৬ এর অনুচ্ছেদে ৬.৫.১ অনুযায়ী ৭৯৮ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ, ৮৯৭ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকিং ও ৮৪৬ কিলোমিটার রেলপথ পুনর্বাসন বা মানোন্নয়ন, নতুন আইসিডি নির্মাণ, লেভেল ক্রসিং গেটের মানোন্নয়নের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।

এছাড়া, আলোচ্য প্রকল্পটি এসডিজির নবম লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। এছাড়াও প্রকল্পটি ২০০৪ সালের এপ্রিলে প্রকাশিত জাতীয় ভূমি পরিবহন নীতি (এনএলটিপি) এর  ধারা ৮.৩, ধারা ৮.৪.৪, ধারা ৮.৭.৩ এর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

প্রকল্পটি অনুমোদনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলা হয়েছে— প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকার বর্তমান কমলাপুর আইসিডির ৫ গুণ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। ফলে সড়কপথের মাধ্যমে কনটেইনার পরিবহনের চাপ হ্রাস পাবে। অন্যদিকে পুবাইল থেকে রেল লিংকের  মাধ্যমে সরাসরি ধীরাশ্রম আইসিডিতে কনটেইনার পরিবহনের ফলে ঢাকায় কনটেইনার ট্রেন আসার প্রয়োজন হবে না। ফলে ঢাকায় যানজট হ্রাস পাবে। কনটেইনার ট্রেন পরিচালনা লাভজনক হওয়ায় অধিক সংখ্যক কনটেইনার পরিবহনের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকার শিল্পাঞ্চলে দ্রুততম সময়ে সাশ্রয়ী মূল্যে কনটেইনার পরিবহন করা হলে শিল্পায়নে বেগবান হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানিয়েছেন, দেশে ব্যবসা বাণিজ্যের পরিধি বেড়েছে। বেড়েছে কনটেইনার ডিপোর চাহিদা। রাজধানীর ভেতরে বিদ্যমান কমলাপুরের আইসিডির পরিধি আর বাড়ানো সম্ভব নয়। তাই প্রয়োজন দেখা দিয়েছে নতুন আইসিডি নির্মাণের। এজন্য জমি প্রয়োজন বলে প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জানান, এটি নির্মিত হলে  সড়কপথের মাধ্যমে কনটেইনার পরিবহনের চাপ কমবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ