1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

আরও জাপানি বিনিয়োগ আসবে

নাজিম আজাদ : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২১

ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগ আসবে। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হবে। অবকাঠামোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই ইকোনমিক জোন হবে এশিয়ার শ্রেষ্ঠ ইকোনমিক জোন। তারপর মিরসরাইয়ে আরেকটি জাপানি ইকোনমিক জোন হবে।

তিনি বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের সংগঠন ডিকাব আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। ডিকাবের সভাপতি পান্থ রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনউদ্দিন।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপানি বিনিয়োগ পাওয়ার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ প্রয়োজন। উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হলে বাংলাদেশ হবে বিনিয়োগের নতুন ফ্রন্টেয়ার।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সব সময়েই মিয়ানমারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে জাপান। এই সম্পৃক্ততা উচ্চ পর্যায়ে যাতে প্রত্যাবাসন করা যায়। কারণ রোহিঙ্গা সংকট থাকলে এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে পারে।

এতে করে উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক গড়ে তোলা কঠিন হবে। তাই জাপান আন্তরিকভাবে চায় রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হোক। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়ে এই সংকটের সমাধানের বিষয়ে জাপানের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট।

এটা বাস্তবায়ন করতে রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা দেবে জাপান। তিনি বলেন, ভাসানচরে ইউএনএইচসিআর যোগ দেওয়ায় বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অপেক্ষাকৃত ভালো সমন্বয় হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ইতো নাওকি বলেন, ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে অংশীদার হিসাবে বাস্তবসম্মত ভূমিকা পালন করতে হবে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে প্রথম কোয়াড সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কোয়াড কোনো একক দেশকে টার্গেট করে করা হয়নি। কোয়াড যে কোনো দেশের জন্য উন্মুক্ত। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, জাপান বাংলাদেশকে কোভ্যাক্সের আওতায় করোনার আরও টিকা সরবরাহ করবে।

জাপানের পরিকল্পনায় এটি রয়েছে। ঠিক কত টিকা দেওয়া হবে সেটি এই মুহূর্তে আমি বলতে পারব না। তবে আশা করছি এটা নভেম্বরে আসতে পারে।

বাংলাদেশকে দেওয়া অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার বিষয়ে ইতো নাওকি বলেন, জাপান বাংলাদেশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ মিলিয়ন (৩০ লাখ) ডোজ টিকা দিয়েছে।

দুই মাসের মধ্যে পাঁচ চালানে এসব টিকা বাংলাদেশে এসেছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের জন্য যখন অনেক বাংলাদেশি অপেক্ষায় ছিলেন তখন জাপান বাংলাদেশকে টিকা সরবরাহ করেছে।

বাংলাদেশ ভালোভাবে টিকাগুলো কাজে লাগিয়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, কোভিড-১৯ একটি বৈশ্বিক সংকট। এ সংকট সমাধানে একে অন্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে।

জাপান সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে ও সব সময় থাকবে। জাপান সরকার করোনার টিকা ছাড়াও অন্যান্য মেডিকেল সরঞ্জাম সরবরাহ করবে, যা পাইপলাইনে আছে। এগুলো বিভিন্ন হাসপাতাল ও কিছু ইনস্টিটিউটকে দেওয়া হবে।

এদিকে গত ২৪ জুলাই জাপান থেকে উপহারের অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ টিকার প্রথম চালান দেশে পৌঁছায়। এরপর ৩১ জুলাই দ্বিতীয় চালানে সাত লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ টিকা দেশে আসে। গত ২ আগস্ট আসে উপহারের আরও ছয় লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ টিকা।

এরপর ২১ আগস্ট চতুর্থ চালানে সাত লাখ ৮১ হাজার ৪৪০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ঢাকায় আসে। সবশেষ পঞ্চম চালানে গত ২৮ আগস্ট আসে আরও ছয় লাখ ৩৪ হাজার ৯২০ ডোজ টিকা।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো বন্ধু এবং উন্নয়ন অংশীদার। আগামী বছর আমরা দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করবো।

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ অতিমাত্রায় যুক্ত থাকার ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া চাইলে জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ তার টেকসই অর্থনৈতিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের লক্ষ্যে যে কোনো দেশের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ