1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

গবেষণা : দেশে চাকরিতে বেড়েছে ডিজিটাল দক্ষতার চাহিদা

তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) যৌথ জরিপ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, চাকরির বাজারে ডিজিটাল দক্ষতার চাহিদা বেড়েছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বাংলাদেশসহ চারটি দেশের ৭৫ শতাংশ নিয়োগকর্তা মনে করেন, নতুন কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে গত ৫ বছরে তারা সংশ্লিষ্ট কর্মীর ডিজিটাল দক্ষতাকে প্রাধান্য দিয়েছে।

নতুন এ জরিপ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, চাকরির ক্ষেত্রে এখন কর্মীদের প্রাথমিক ডিজিটাল জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা জরুরি। কেউ যদি ডিজিটাল ক্ষেত্রে আরও বেশি দক্ষ হন, তবে চাকরিতে তিনি বাড়তি সুবিধা এবং দ্রুত উন্নতি করতে পারবেন।

এডিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘ডিজিটাল জবস অ্যান্ড ডিজিটাল স্কিলস : এ শিফটিং ল্যান্ডস্কেপ ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী নিয়োগে বেশি মনোযোগ দিয়েছে করোনার সময়। করোনা পরবর্তী সময়ে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান ‘ডিজিটাল কর্মক্ষেত্রে’ পরিণত হচ্ছে। বিভিন্ন শিল্প খাতে চাকরি ও চাকরিপ্রার্থীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতার ভূমিকা কীভাবে রূপান্তরিত হয়, সে বিষয়টি প্রতিবেদনে আলোকপাত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেনে বলা হয়েছে, এখানকার নিয়োগকর্তারা গত ৫ বছরে প্রতি ১০ জন চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে এমন ৯ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন, যাদের অন্তত প্রাথমিক পর্যায়ের ডিজিটাল জ্ঞান ও দক্ষতা আছে। ফিলিপাইনে ৬ জন। ভারত ও ইন্দোনেশিয়ায় এই সংখ্যা ১০ জনে ৮ জন। গত ৫ বছরে বাংলাদেশের নিয়োগকর্তারা প্রতি ১০ জন চাকরিপ্রার্থীর ৫ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন, যাদের ডিজিটাল জ্ঞান ও দক্ষতা উচ্চপর্যায়ের। ফিলিপাইনে ২ জন। ভারত ও ইন্দোনেশিয়ায় এই সংখ্যা ১০ জনে ৪ জন।

এডিবির টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত বিভাগের মহাপরিচালক ব্রুনো কারাসকো জরিপের বিষয়ে বলেন, আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ যথাযথ ডিজিটাল জ্ঞান অর্জন করতে পারছেন কি না। এ ক্ষেত্রে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন না।

ডিজিটাল জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের নিয়োগকর্তারা মনে করেন, চাকরির ক্ষেত্রে যেকোনো প্রার্থীর ইন্টারনেটের মৌলিক জ্ঞান ও প্রাথমিক ডিজিটাল জ্ঞান থাকতেই হবে। যদি কোনো কর্মীর কোডিং কিংবা প্রোগ্রামিংয়ের দক্ষতা থাকে তবে তার গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায়।

এ পরিবর্তন উপলব্ধি করে ইতোমধ্যে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলো ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির মানোন্নয়ন ঘটানোর উদ্যোগও নিয়েছে এডিবি। প্রতিষ্ঠানটি চাকরির বাজারের শিক্ষাবিস্তারে ৫ শতাংশ বিনিয়োগ ২০২৪ সাল নাগাদ ১০ শতাংশে উন্নীত করবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ