1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পিটার হাস ও সাংবাদিকতার ইথিকস

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিকদের ‘মিথ্যা বলা, লেখার’ সাংবিধানিক অধিকার আছে। মার্কিন সংবিধান ‘মিথ্যার স্বাধীনতা’ এজন্য নিশ্চিত করছে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যেন কোনো প্রভাবওয়ালা ব্যক্তি, গোষ্ঠী ‘মিথ্যা লিখেছেন’ দাবিতে হেনস্থা করতে না পারে। যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর মুক্তকথা প্রকাশের দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেই দেশের ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জানান, ভিসানীতির আওতায় ঢাকার গণমাধ্যমও থাকছে। রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে ১৯০ জন বিশিষ্ট নাগরিক যে বিবৃতি দিয়েছেন, সাংবাদিক হয়ে ওই বিবৃতিতে সমর্থন না জানানোর যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। আশ্চর্যজনক হচ্ছে, অনেক সাংবাদিক বিবৃতির বিরোধিতা করছেন।

বিবৃতির তালিকায় থাকা বুদ্ধিজীবীদের মতামত, বিশ্বাসের সঙ্গে কারো দ্বিমত থাকতে পারে। হতে পারে, কোনো কোনো সাংবাদিকের কাছে প্রত্যাশিত বিষয়ের সময় ভূমিকা না রেখে তাঁরা চুপ ছিলেন। ফলে তাঁদের প্রতি একধরনের ‘অভালো লাগা’ আছে। তাঁদের সবশেষের বিবৃতি সাংবাদিক সমাজের পক্ষে। সাংবাদিক হয়ে সাংবাদিকতার স্বার্থে একে সমর্থন না করার দ্বিতীয় পথ খোলা নেই। কোনো কোনো বুদ্ধিজীবী জাতীয় প্রশ্নে অনেক সময় ভূমিকা না রেখে নিরব থাকেন। এতে নানা কারণ থাকতে পারে। সিপাহি বিদ্রোহের খবর জার্মানিতে পৌঁছালে কার্ল মার্কস ১৮৫৭ সালের ৩০ জুন ‘নিউ ইয়র্ক ডেইলি ট্রিবিউন’ পত্রিকায় লেখেন, ‘এই প্রথম ভারতবাসী সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।’ তখন ভারতবর্ষে থেকেও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এই বিদ্রোহ নিয়ে কোথাও কিছু লেখেননি।

সিপাহি বিদ্রোহে ইসলাম ও সনাতন ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িকতা যুক্ত হয়। বিদ্যাসাগরের সংগ্রাম ছিলো ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে। ধর্মান্ধরা চটবেন বলে তিনি লেখেননি, এ যুক্তি খাটে না। সব দেশের বুদ্ধিজীবীর বেলায় এ চিত্র কম-বেশি দেখা যায়। প্রত্যাশিত কোনো বিষয়ে কেউ বক্তব্য না দিলে তাঁর প্রতি জমে থাকা ‘মতবিরোধের অভিমানের’ কারণে নিজের জন্যই ক্ষতিকর, এমন কিছুকে সমর্থন করা যায় না। বলা হচ্ছে, সামনের সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হতে যারা বাধা দেবেন, তারা পড়বেন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির আওতায়। সুষ্ঠু নির্বাচনের যত প্রক্রিয়া আছে, কোনোটার সঙ্গেই সাংবাদিকরা জড়িত নন। ভোট দিতে বাধা, ভোট কেন্দ্রে না যেতে হুমকি, কেন্দ্র দখল সাংবাদিকরা করেন না। পিটার হাস নিশ্চয়ই তা জানেন।

সংবাদমাধ্যমের নীতিমালা নির্ধারণ করেন মালিকরা। সাংবাদিকরা সেখানে চাকরি করেন।

(সাংবাদিক হাসান শান্তনুর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে)


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ