ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলা মোকাবিলায় তিন লাখ রিজার্ভ সেনা ডেকেছে ইসরায়েল। সোমবার (৯ অক্টোবর) ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি এ ঘোষণা দেন।
এর আগে এক লাখ রিজার্ভ সেনা ডাকার কথা জানা গিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় তা তিন লাখে উন্নীত করা হয়েছে।
এদিকে, এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি।। অন্যদিকে, এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯০ জনে দাঁড়িয়েছে, আহত হয়েছে প্রায় তিন হাজার।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরে ইসরায়েল লক্ষ্য করে একসঙ্গে ৫ হাজারেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হামাস। সেই সঙ্গে ইহুদী রাষ্ট্রটির ভেতরে ঢুকে হামলা শুরু করে। এতদিন ইসরায়েলের বিপক্ষে শুধুমাত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছে হামাস। শনিবারই প্রথমবারের মতো আগে ইসরায়েলে হামলা চালালো সংগঠনটি।
এর আগে সোমবার (৯ অক্টোবর) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গাজা উপত্যকায় সর্বাত্মক অবরোধ আরোপের ঘোষণা দেন। সেখানে খাবার, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকার জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে।
জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ সতর্ক করে বলেছে, অবশিষ্ট জ্বালানি দিয়ে হাতে গোনা কয়েক দিন মাত্র চলা যাবে। এমনকি সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার আগেও, গাজার বাসিন্দারা আগে থেকেই ব্যাপক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, চলাচলে বিধি-নিষেধ ও পানির সংকটে ভুগছিল।
হামাসের সশস্ত্র গোষ্ঠী আল-কাশেম ব্রিগেডস হুমকি দিয়েছে, গাজায় বোমা হামলা চালিয়ে নিরীহ বেসামরিক মানুষ হত্যা বন্ধ না করলে কোনো ধরনের আগাম সতর্কবার্তা ছাড়াই জিম্মি ইসরায়েলিদের মেরে ফেলা হবে।
২০০৭ সাল থেকেই বায়ু, স্থল ও সমুদ্র তিন দিক থেকেই অবরোধের অধীনে রয়েছে গাজা। হামাসের হামলার পর থেকে গাজার ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা পানি, বিদ্যুৎ সংকটের পাশাপাশি ওষুধের অভাব ও অস্ত্রোপচারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।