1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

শীতের শুরুতেই কর্মমুখর সিরাজগঞ্জের কম্বল পল্লী

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩

শীত আসতে না আসতেই জমে উঠছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের কম্বল পল্লী। চাহিদা বাড়ায় রাত-দিন কম্বল তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা। প্রতি বছরই বাড়ছে স্থানীয় এই শিল্পের পরিধি, তাই কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে অনেক বেকার যুবকের। তবে বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে বিক্রি কমে গেছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। লেনদেনের সুবিধার্থে স্থানীয় বাজারে একটি ব্যাংক স্থাপনের দাবি ব্যবসায়ীদের।

কাজিপুরের কম্বল পল্লী ঘুরে দেখা গেছে, বাহারি রকমের কম্বল তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছের কারিগররা। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও ঘরে বসে কম্বল তৈরির কাজ করছেন।

জানা গেছে, দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার শিমুলদাইড়, ঢেকুরিয়া, কুনকুনিয়া ও ছালাভরাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে গড়ে উঠেছে কম্বল তৈরির কারখানা। কম দামে ভালো মানের কম্বল পাওয়ায় এখনকার কম্বলের চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। তাই প্রতি বছরই পরিধি বাড়ছে এই শিল্পের। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে গ্রামের কয়েক হাজার বেকার যুবক ও শিক্ষার্থীর।

গ্রামের নারীরাও ঘরে বসেই গার্মেন্টসের ছোট ছোট টুকরা কাপড় সেলাই করে তৈরি করছে এ কম্বল। এতে সংসারের কাজের ফাঁকে বাড়তি আয়েই সুযোগ পাচ্ছে তারাও। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকাররা ভিড় করছে কম্বল কিনতে।

কম্বল তৈরির সঙ্গে জড়িত কলেজ শিক্ষার্থী হাসান আরিফ বলেন, ‘আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি কম্বল কারখানায় কাজ করি। এতে আমার পড়াশুনার খরচ হয়ে যায়। আমার মতো অনেক শিক্ষার্থীই এর সঙ্গে জড়িত।’

আরেক কর্মী মমিন খান বলেন, ‘কারখানাগুলোতে শীত আসার ৫ থেকে ৬ মাস আগে থেকেই কম্বল তৈরির কাজ শুরু হয়। এখানে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরা তাদের বাড়ি বসেই এই কাজ করে থাকে।

কম্বল ব্যবসায়ী সোহেল জানান, দিন যত যাচ্ছে এ ব্যবসার প্রসার ঘটছে। এখানকার কম্বলের চাহিদা থাকায় বেচাকেনাও বাড়ছে। একই সঙ্গে কম্বল শিল্প এই অঞ্চলের কয়েক হাজার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। তবে দেশের চলমান হরতাল অবরোধের কবলে পাইকার কম আসায় বিক্রি কমে গেছে। এতে লোকসানের মুখে রয়েছে স্থানীয় সম্ভাবনাময় এই শিল্প।

আর সিরাজগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিসের প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্য বলেন, ‘কম্বল শিল্পের প্রসার ঘটাতে স্বল্প সুদে ঋণ ও স্থানীয় বাজারে একটি ব্যাংক স্থাপনের প্রয়োজন। তাহলে পাইকার ও ব্যবসায়ীরা নিরাপদে আর্থিক লেনদেন করতে পারবে।’

কাজিপুরের পাইকারি এ কম্বল পল্লীতে সর্বনিন্ম দেড়শ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের কম্বল পাওয়া যায়। আর প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকার কম্বল বিক্রি হয় এখানে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ